ভারতের সমস্ত রাজ্যের নামের অর্থ || ভারতের রাজ্যগুলির নামকরণ হল কিভাবে?
ভারতের সমস্ত রাজ্যের নামের অর্থ
ভারতের রাজ্যগুলির নামকরণ হল কিভাবে?
ভারত আধুনিকতা এবং ঐতিহ্য একটি অনন্য মিশ্রন, বিভিন্ন ধর্ম এবং বিশ্বাস থেকে আহ্বানকারী মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে ভারতে বসবাস করে। ভারত একটি বহুভাষী দেশ এবং এটি তার রাজ্যের নামে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, যেহেতু বেশিরভাগ নাম রাজ্যে ঐতিহাসিক স্থানীয় সংস্কৃতির সাপেক্ষে এবং সংস্কৃত শব্দগুলির মধ্যে তাদের উৎপত্তি আছে, যা আগে ভারতের প্রধান ভাষা ছিল। একটি বিশেষ অঞ্চলের ইতিহাস, ভাষা, শাসক ইত্যাদিরও নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা জানি ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে ‘অন্ধ্রপ্রদেশ’ প্রথন ভাগ হয়েছিল ‘ভাষার’ ভিত্তিতে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা ভারতের ২৮টি রাজ্য ও ৯টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নামকরণ কিভাবে হয়েছে, আমরা জানিনা ভারতের ২৮টি রাজ্যের নামের অর্থ কী। তাই আজ আমরা আপনাদের কে ভারতের ২৮টি রাজ্যের নামের বুৎপত্তিগত অর্থ বিস্তারিত জানাবো। দেখে নিন ভারতের সমস্ত রাজ্যের নামের অর্থ । বর্তমানে ভারতে ২৮ই রাজ্য ও ৯টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন এখানে ক্লিক করে।
[এই ধরণের তথ্য জানার জন্য আগে আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক করেনিন]
ভারতের সমস্ত রাজ্যের নামের অর্থ
১. অন্ধ্রপ্রদেশ
![বিশাখাপত্তনমের সমুদ্র সৈকত](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/dc-Cover-e8ocjq58f6pa9mp66640cphl81-20170312073652.Medi_.jpeg)
অন্ধ্রপ্রদেশের সংস্কৃত অর্থ ‘দক্ষিণ’ রাজ্যের উপজাতিরাও মূলত ‘আন্দ্রাস’ নামে অভিহিত হয়েছিল। মৌর্য কর্মকর্তারা, সাতভাহনকে অন্ধ্র-ভ্রুত্য নামে অভিহিত করা হয়, যার অর্থ ‘দক্ষিণের কর্মকর্তা’।
২. অরুনাচল প্রদেশ
![অরুনাচল প্রদেশের মানচিত্র](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/ARUNACHAL-PRADESH.jpg)
সংস্কৃত ভাষায়, “অরুণা” মানে “ভোরের আলো” এবং “অচল” মানে হল “পাহাড়”। অর্থাৎ অরুনাচল প্রদেশ এমন একটি প্রদেশ যেখানে পাহাড়ের কোলে প্রথম ভোরের আলো শুরু হয়। ভারতের প্রথম সূর্য এই অরুনাচল প্রদেশেই দেখা যায়।
![অরুনাচল প্রদেশের একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/china-announced-lsquo-standardised-rsquo-names-for-six-places-in-arunachal-pradesh980-1492601220_1100x513.jpg)
৩. আসাম
![আসামের চা বাগানের দৃশ্য](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/Assam.jpg)
‘আসাম’ একটি ইন্দো-আর্য শব্দ যার অর্থ ‘অসমতা’। কিছু পণ্ডিতদের মতে, ‘আহমস’, যারা আসামের শাসক ছিল, যারা প্রায় ছয় শতাব্দী ধরে এই অঞ্চলে শাসন করেছে, এদের নামানুসারেও আসামের নাম হতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘আহম’ শব্দটির উৎপত্তি ‘আসামা’ থেকে।
৪. বিহার
![বিহারের নালন্দা](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/Bihar-nalanda.jpg)
বিহার নামটি একটি সংস্কৃত উৎস ‘বিহারা’ থেকে এবং ‘বিহারা’ শব্দটির অর্থ ‘আবাস’। বিহার হল একটি পালি শব্দ। এর আগে রাজ্য বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের অব্দ বা বিহার ছিল। সময় সঙ্গে ‘বিহা্রা’ পরিবর্তিত হয়েছে বিহার। এছাড়াও বিহার নামে একটি জনপ্রিয় শহর ছিল, যেটি মুসলিম আগ্রাসকদের সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এই শহরটি এখন ‘বিহার শরীফ’ নামে পরিচিত।
[জেনেনিন পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের নামকরণ কিভাবে হল]
৫. ছত্তিশগড়
১ নভেম্বর ২০০০ সালে মধ্যপ্রদেশ থেকে একটি অংশ ভেঁঙে ছত্তিশগড় রাজ্যের উৎপত্তি। পূর্বে ছত্তিশগড় অঞ্চল দক্ষিণ কোসাল্ল নামে পরিচিত ছিল। নাম সম্পর্কে কোন উপযুক্ত প্রমাণ না থাকলেও। মনে করা হয় ছত্তীসগঢ়ে ৩৬টি দূর্গ বা প্রাসাদ রয়েছে, এই কারণেই ছত্তিশগড় নামে রাজ্যটি পরিচিত।
৬. গোয়া
![গোয়া সমুদ্র সৈকত](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/Goa-Beach.jpg)
কিভাবে গোয়া নামটি অস্তিত্বের মধ্যে এসেছিল তা স্পষ্ট নয়। এটি ইউরোপীয় বা পর্তুগিজ ভাষা থেকে উৎপন্ন হতে পারে। এটিও বিশ্বাস করা হয় যে, গোয়ার নামটি বৈদিক সংস্কৃত শব্দ ‘go’ থেকে উদ্ভূত হতে পারে যার অর্থ ‘গরু’।
৭. গুজরাট
![গুজরাত](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/gujarat.jpg)
গুজ্জর দের ভূমি গুজরাট। ‘গুজরাটের’ নাম গুজ্জরা থেকে এসেছে, যারা ৭০০ এবং ৮০০ সালে এই অঞ্চল শাসন করেছিল।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্গঠনের পড়ে ভারতের মানচিত্র কেমন দেখাবে
৮. হরিয়ানা
হরিয়ানা এর বিবর্তন দুই শব্দ থেকে হয়েছে। “হরি” এবং “আনা”, যার মধ্যে “হরি” অর্থ ‘বিষ্ণু’ (বা এমনকি ভগবান কৃষ্ণ, যেহেতু তিনি ভগবান বিষ্ণুর পুনর্জন্মের কথা বলেছিলেন) এবং “আনা” অর্থ ‘আসা ‘। মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই স্থানে আসেন, তাই হরিয়ানা রাজ্য এই কিংবদন্তি থেকে তার নাম পেয়েছেন।
[এই ধরণের তথ্য জানার জন্য আগে আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক করেনিন]
৯. হিমাচল প্রদেশ
![হিমাচল প্রদেশের হিমালয়ের একটি হিমশীতল দৃশ্য](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/himachal-pradesh.jpg)
ভারতের উত্তরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হিমাচল প্রদেশটি তুষারপাতের পর্বত এবং অনেক দেবদেবীর একটি রাজ্য। হিমাচল প্রদেশ নামটির একটি সংস্কৃত উৎস রয়েছে। ‘হিম’ মানে ‘বরফ’ এবং আচল মানে ‘পর্বত’ থেকে ‘হিমাচল প্রদেশ’ নামকরণ হয়েছে।
১০. জম্মু ও কাশ্মীর
![ভূ-স্বর্গ](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/Jammu-Kashmir.jpg)
ভারতের একেবারে উত্তরে জম্মু ও কাশ্মীর একটি সুন্দর উপত্যকা এবং ভূ স্বর্গ হিসাবে বিশ্বের কাছে পরিচিত। এই উপত্যকাটি ঋষি ‘কাশ্যিয়ার’ উপত্যকা নামেও পরিচিত, যেখান থেকে ‘কাশ্মীর’ শব্দটি আসে। ভারতের সকল রাজ্যের মত এই রাজ্যের নামের উৎপত্তি আবার সংস্কৃত অর্থ করা যার। যেমন “ক” এর অর্থ ‘জল’ এবং “শিমেরা” অর্থাৎ ‘হ্রাস করা’। অর্থাৎ কাশ্মীর কথার বুৎপত্তিগত অর্থ করলে হয় ‘জল শুকিয়ে নেওয়া ভূমি’। অপরদিকে ‘জম্মু’ শব্দটি তার শাসক রাজা ‘জাম্বু লোচনের’ নাম থেকে উৎপত্তি হয়েছে, এমনি অভিমত পন্ডিতদের।
১১. ঝাড়খন্ড
‘ঝাড়খন্ড’ হল নিম্ন বন বা ঝারি ভূমি। সংস্কৃত ‘ঝড়টি’ হল ‘বন’ এবং ‘খন্ড’ এর অর্থ হল ‘জমি’। কেউ কেউ ঝাড়খণ্ডকে ‘বনাঞ্চল’ নামেও পরিচিতি দিয়ে থাকেন।
১২. কর্নাটকা
কর্ণাটক শব্দটি কন্নড় ভাষা ‘কারু’ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। যার অর্থ ‘উজ্জ্বল’ এবং ‘নড়’ অর্থ ‘জমি’। কন্নরদের বাসভুমি হল কর্নাটকা।
১৩. কেরালা
ভৌগোলিকভাবে বলতে গেলে, কেরালা শব্দের অর্থ সমুদ্র দ্বারা েকটি আদিম ভূমি উদ্ধার করা। স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত আছে ঋষি ‘পরশুরাম’ সমুদ্র দেখে এই জমি উদ্ধার করেছিলেন। এছাড়াও, কেরালাম নামটির পিছনে দুটি তত্ত্ব রয়েছে।
![কেরালা](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/Kerala.jpg)
প্রথম তত্ত্ব অনুযায়ী, এটি “চর্না” শব্দটি থেকে উৎপত্তি হতে পারে যার অর্থ ‘যোগ করা’ এবং “আলম” যার অর্থ ভূমি।
দ্বিতীয় তত্ত্ব অনুসারে, কেরালাম নামটি ‘চরা রাজবংশের’ সাথে যুক্ত, ১ ম থেকে ৫ ম শতাব্দী পর্যন্ত এরা এই অঞ্চলে শাসন করেছিলেন। সুতরাং এটি “চেরা আলম” শব্দ থেকে এসেছে যা পরে ‘কেরালাম’ নামে পরিচিত হতে শুরু করে। কিন্তু দ্বিতীয় তত্ত্ব বিতর্কযোগ্য। সংস্কৃত ভাষায় কেরালামকে ‘ভূমি যোগ করা’ নামেও পরিচিত করা হয়।
১৪. মধ্যপ্রদেশ
‘Central Province’ এর একটি হিন্দি সংস্করণ হল ‘মধ্য প্রদেশ’ । স্বাধীনতার আগে, ব্রিটিশরা ভারতের বেশির ভাগ অংশ সেন্ট্রাল প্রাদেশিক অঞ্চল হিসাবে পরিচালনা করত। যেহেতু অঞ্চলটি সমগ্র দেশের কেন্দ্রে রয়েছে সেই থেকে একে কেন্দ্র প্রদেশ বা মধ্য প্রদেশ নামে ডাকা হয়ে থাকে।
১৫. মহারাষ্ট্র
![ভারতের প্রবেশদ্বার](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/Maharastra.jpg)
মহারাষ্ট্রেও তার নামের পিছনে অনেক তত্ত্ব আছে। সংস্কৃত মহারাষ্ট্রে “মহা” এবং “রাষ্ট্র” শব্দগুলির সংমিশ্রণ থেকে একটি ‘মহান জাতি’ অর্থ নির্গত হয়। মহারাষ্ট্রের বংশধর রাষ্ট্রসংঘ নামেও পরিচিত। এটি অশোকের কিছু শিলালিপিতে বর্ণিত হয়েছে। ‘রাষ্ট্র’ শব্দটি ‘রাট্টা’ বা আরও সঠিকভাবে রাষ্ট্রকূট থেকে উৎপন্ন হতে পারে ৪ শতকের ১০ তম শতাব্দী থেকে ভারতে এই রাজ্য শাসিত একটি রাজবংশ)। ‘রাঠী বা রাঠার’ শব্দ থেকেও ‘রাষ্ট্র’ শব্দটির উৎপত্তি হতে পারে, যার অর্থ ‘শরীয়ত’। মহারাষ্ট্রের জুহু সমুদ্র সৈকতে রাতে আলো জ্বলে ওঠে! কেন জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
১৬. মণিপুর
মণিপুর কে রত্নের দেশ বলা হয়। সেই থেকেই মণিপুর নামটির উৎপত্তি।
১৭. মেঘালয়
![মেঘালয়ের জীবিন্ত সেতু](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/MEGHALAYA.jpg)
সংস্কৃত মেঘালয় শব্দের অর্থ হলো- মেঘের নিবাস (মেঘের আলয়)।‘মেঘা’ শব্দের অর্থ ‘মেঘ’ এবং ‘আলয়’ শব্দের অর্থ ‘নিবাস বা বাসস্থান’। মেঘালয়ের সমস্ত তথ্য জানার জন্য আপনি এখানে ক্লিক করুন।
![মেঘালয়ের দাওকি নদী](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/Daoki-river.jpg)
১৮. মিজোরাম
![মিজোরামের মানচিত্র](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/Mizoram.jpg)
মিজোরাম দুটি শব্দ “মি” থেকে উদ্ভূত হয়েছে যার মানে ‘মানুষ’ এবং “জো” যার মানে উচ্চভূমি। অর্থাৎ পার্বত্যঞ্চলের অধিবাসীদের বসবাসের স্থান হল মিজোরাম।
১৯. নাগাল্যান্ড
‘নাগা’ সগব্দের অর্থ হল ‘এক ধরনের উপজাতী’ এবং ‘ল্যান্ড’ এর মানে হল ‘ভূমি’। অর্থাৎ নাগা দের বাসভুমি হল নাগাল্যান্ড।
২০. ওড়িশা
![বিশ্ব বিখ্যাত রথযাত্রা](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/rath-yatra-puri-orissa.jpg)
উড়িষ্যা সংস্কৃত শব্দ “ওড়রা বিশা” বা “ওড়রা দেশ” থেকে উদ্ভূত হয়েছে। একটি অর্থের পরিবর্তে, এটি মধ্য ভারত বাসকারী ‘Odra’ মানুষ বোঝায়। উড়িয়া ভাষাভাষির মানুষেরা বসবাস কএ বলে একে উড়িষ্যা বলা হত, সম্প্রতি নাম পরিবর্তন হয়ে ‘ওড়িশা’ হয়েছে।
২১. পাঞ্জাব
পাঁচ নদী ভূমি পাঞ্জাবের শব্দটি ইন্দো-ইরানী শব্দ “পুঞ্জ” শব্দ থেকে এসেছে, যার মানে “পাঁচ” এবং “আব” যার অর্থ জল।
২২. রাজস্থান
সংস্কৃত ভাষায় “রাজা” শব্দটিকে নৃপতি বলে। এটি পূর্বে রাজপুতানা নামে পরিচিত ছিল। ‘রাজপুতানাদের ভূমি’ হল রাজস্থান।
২৩. সিকিম
![সিকিম](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/unique-himalaya.jpg)
তিব্বত ভাষায় সিকিম ডেনজং নামে পরিচিত। লিম্বু জনজাতীর প্রাধান্য রয়েছে এখানে। দুটি শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে যার মধ্যে “সু” অর্থ নতুন এবং “খিয়াম” অর্থ প্রাসাদ।
২৪. তামিলনাডু
তামিল অর্থ ‘মিষ্টি আমৃতকর’ এবং ‘নাডু’ একটি তামিলীয় শব্দ যার অর্থ ‘দেশ’ বা ‘জাতি’। তামিলনাড়ুর মূলত তামিলদের স্বদেশ।
২৫. তেলেঙ্গানা
অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঁঙে তেলেঙ্গানা রাজ্যের সৃষ্টি। তেলেঙ্গার শব্দটি তেলেতু থেকে এসেছে। এখানকার অধিবাসীরা তেলেগু ভাষাভাষি হওয়ার ফলে এরূপ অর্থ বহন করেছে।
২৬. ত্রিপুরা
ত্রিপুরা ভারতের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য। তার নামের পিছনে অনেক তত্ত্ব আছে। ত্রিপুরা ‘টিপরা’ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, অঞ্চলটির মূল বাসিন্দা। নামটি দুটি ‘কোকবোরক’ শব্দ “তুই” এবং “প্যারা” থেকে এসেছে, যার মধ্যে “তুই” জল এবং “পারা” নিকটবর্তী। উদয়পুরের ত্রিপুরা সুন্দরী দেবীর নাম থেকে নামটি এসেছে। আরেকটি তত্ত্ব আছে, যেটি হল ‘ত্রিপুরা’ নামক এক রাজা রাজ্যের বিধানসভাটি সুপারিশ করেন, সেই রাজার নামানুসারে নাম ত্রিপুরা এবং যিনি এই অঞ্চলের শাসক ও ছিলেন।
২৭. উত্তরপ্রদেশ
নাম থেকে আপনারা সকলেই অনুমান করতে পারেছে যে, ভারতবর্ষের উত্তরের প্রদেশ বা রাজ্যটির নাম হল ‘উত্তর প্রদেশ’
২৮. উত্তরাখন্ড
![উত্তরাখন্ডের ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/valley_of_flowers.jpg)
ভারতের উত্তরঞ্চলের নতুন রাজ্যটি হল উত্তরাঞ্চল যার অর্থ ‘উত্তরের পর্বত’। ২০০০ সালে উত্তর প্রদেশ থেকে রাজ্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে উত্তরাঞ্চল নামটি পরিবর্তিত হয়ে হয় ‘উত্তরাখণ্ডে’, যার অর্থ ‘উত্তরের ভূমি’।
২৯. পশ্চিমবঙ্গ
বঙ্গ বা বাংলা নামের সঠিক উৎসটি অজ্ঞাত। এই নামের উৎস সম্পর্কে একাধিক মতবাদ প্রচলিত। একটি মতে এটি খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দে এই অঞ্চলে বসবাসকারী দ্রাবিড় উপজাতির ভাষা থেকে এসেছে। সংস্কৃত সাহিত্যে বঙ্গ নামটি অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। কিন্তু এই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা যায় না।
![হাওড়া ব্রীজ](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/Bengal.jpg)
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল স্বাধীন ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হলে এই রাজ্যের নামকরণ পশ্চিমবঙ্গ করা হয়েছিল। ইংরেজিতে অবশ্য West Bengal (ওয়েস্ট বেঙ্গল) নামটিই সরকারিভাবে প্রচলিত।
এতক্ষণ আমরা ভারতের ২৯টি রাজ্যের নামের অর্থ গুলি জানলাম। এরপর জেনে নেওয়া যাক ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির নামকরণ কিভাবে হয়েছে।.
♠ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির নামকরণ
১. আন্দামান ও নিকোবর
আন্দামানের অর্থ ‘ঈশ্বরের দ্বীপ’ এটি মূল নাম ‘হান্ডুমান’ (একটি সংস্কৃত শব্দ) যার অর্থ ‘হনুমান’। বেশিরভাগই নিকোবার চোল রাজবংশ থেকে উদ্ভূত হয়েছে এবং নাম দেওয়া হয়েছে “নকব্রাম” যার অর্থ তামিলের নগ্ন ব্যক্তি।
২. চন্ডীগড়
এই শহরটি সুন্দর চন্ডী দেবী চন্ডী মন্দিরের নাম পেয়েছে, যারা স্থানীয়দের রক্ষা করার জন্য বিশ্বাস করে।
৩. দিল্লী
দিল্লি কিভাবে নামটি পেয়েছে তা অনিশ্চিত। পশ্চিমাঞ্চলের ৫০ তম শতাব্দীতে, এই শহরটি মৌর্য রাজবংশের একজন রাজা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং সম্ভবত তিনি তার নামটি নগরভুক্ত করেছিলেন। দিল্লির হিন্দি সংস্করণ, “ধিলি” অর্থহীন এবং তামরা শাসকদের দ্বারা ব্যবহৃত হয় এই শহর. এছাড়াও, সেই সময়ের মুদ্রাগুলি “দেহিলাল্লা” নামে পরিচিত ছিল। কিছু পন্ডিতও বিশ্বাস করেন যে দিল্লির মূল নামটি ঢিলিকা ছিল।
৪. লাক্ষাদ্বীপ
![লাক্ষাদ্বীপের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ](https://www.studentscaring.com/wp-content/uploads/2018/06/lakshadweep-islands-india.jpg)
লাক্ষাদ্বীপ এর অর্থ শত শত হাজার দ্বীপপুঞ্জ।
৫. পন্ডিচেরী
পন্ডিচেরী পুডুচেরি নামেও পরিচিত, এই নামটি প্রাপ্ত করা হয়েছে তামিল শব্দ থেকে। “পুডু” অর্থ নতুন এবং “চেরি” মানে নিষ্পত্তি।
এছাড়াও আরও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে, ৬. দাদরা ও নগর হাভেলি এবং ৭. দমন ও দিউ এর নামকরণ এর অর্থ নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। এখানেই শেষ করলাম ভারতের সমস্ত রাজ্যের নামের অর্থ বিশেষ পর্বটি।
[এই ধরণের তথ্য জানার জন্য আগে আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক করেনিন]