কোশ কাকে বলে ও কোশের গঠন PDF | STRUCTURE OF CELL

পোস্টটি শেয়ার করুন
4.5/5 - (2 votes)

কোশের গঠন

কোশের গঠন : সকল জীবদেহের গঠন, বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ ও বংশগতিমূলক তথ্য বহনকারী একক কোশ। এককোশী জীব থেকে শুরু করে সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ এক বা একাধিক কোশ দিয়ে গঠিত। জীব দেহের যে সব জৈবিক ক্রিয়াগুলি (যেমন: পরিপাক, পুষ্টি, শ্বসন, রেচন, বৃদ্ধি, জনন ইত্যাদি) সম্পন্ন হয়, সেগুলি সবই কোশে এককভাবে সম্পন্ন হতে পারে । কোশ জীবের ক্ষুদ্রতম জীবিত একক, একে জীবের নির্মাণ একক নামে আখ্যায়িত করা হয়। এছাড়া জীবনের কার্যগত ও গঠনগত একক বলা হয় অর্থাৎ একটা জীব বেঁচে থাকা অবস্থায় যত ধরনের কাজ করে সেগুলো সব তার কোষের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

কোশের সংজ্ঞা:-

অর্ধভেদ্য বা প্রভেদক ভেদ্য আবরণী বেষ্টিত, প্রোটোপ্লাজম নির্মিত, স্ব-প্রজননশীল জীবদেহের গঠনমূলক এবং জীবজ ক্রিয়াকলাপের একক যা অন্য সজীব মাধ্যম ব্যতিরেকেই নিজের প্রতিরূপ তৈরি করতে সক্ষম তাকে কোশ বলা হয়

ব্যুৎপত্তিগত অর্থ:-

‘কোষ’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘সেল’ (cell)। সেল শব্দটি লাতিন শব্দসেলুলা’ থেকে এসেছে যার অর্থ একটি ‘ছোট্ট কক্ষ’। ১৬৬৫ সালে ‘সেল’ (cell) নামটি প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী রবার্ট হুক। ১৬৬৫ সালে তার প্রকাশিত একটি গ্রন্থে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে পর্যবেক্ষণকৃত কর্ক কোষের কথা উল্লেখ করেন। এই কোষের সাথে তিনি ধর্মীয় সাধু-সন্ন্যাসীদের ঘরের তুলনা করেছিলেন। এ থেকেই জীবের ক্ষুদ্রতম গাঠনিক ও কার্যকরি এককের নাম দিয়ে দেন সেল।

কোশ সম্পর্কে কিছু তথ্য-

১. ব্যাক্টেরিয়া এবং এ ধরনের কিছু জীব এককোষী।

Join us on Telegram

২. মানুষসহ পৃথিবীর অধিকাংশ জীবই বহুকোষী।

৩. মানবদেহে প্রায় ৩৭ লক্ষ কোটি কোষ রয়েছে।

৪. একটি কোষের আদর্শ আকার হচ্ছে ১০ মাইক্রোমিটার এবং ভর হচ্ছে ১ ন্যানোগ্রাম।

৫. পৃথিবীর বৃহত্তম কোষ হল উটপাখির ডিম।

কোষের আবিষ্কার হল কিভাবে?

১. ১৬৬৫ খ্রিষ্টাব্দে রবার্ট হুক (Robert Hooke) অণুবীক্ষণযন্ত্রের সাহায্যে প্রথম কোষ আবিষ্কার করেন। তিনি একটি বোতলের কাষ্ঠাল ছিপিকে পরীক্ষা করে কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কক্ষ দেখতে পান। উল্লেখ্য ছিপির কোষগুলো মৃত থাকায় তিনি এই কোষগুলোর অভ্যন্তরে ফাঁকা জায়গা দেখতে পেয়েছিলেন।

২. লিউয়েন হুক (Antonie van Leeuwenhoek (1632 – 1723)) কোষে নিউক্লিয়াসের অস্তিত্ব আছে এমনটা ধারণ দিয়েছিলেন। ১৮০৪ খ্রিষ্টাব্দে এই সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছিলেন Franz Bauer। ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দে রবার্ট ব্রাউন (Robert Brown) একটি অর্কিড পাতা পরীক্ষা করে কোষে নিউক্লিয়াসের উপস্থিতির বিষয়টি সবিস্তারে বর্ণনা করেন। অনেকে এই কারণে রবার্ট ব্রাউন-কে অনেকে কোষের নিউক্লিয়াসের আবিষ্কারক হিসাবে উল্লেখ করেন।

৩. ১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দে জ্যাকব স্লিডেন (Matthias Jakob Schleiden ) এবং থিওডোর শোয়ান (Theodor Schwann) কোষ সম্পর্কিত এক ব্যাখ্যায় জানান যে- সকল প্রকার জীব দেহ এক বা একাধিক কোষ নিয়ে গঠিত এবং যা পূর্ববর্তন কোনো কোষ থেকে সৃষ্টি হয়। জীববিজ্ঞানে এই সূত্রটি কোষ মতবাদ নামে অভিহিত হয়ে থাকে।

কোষ তত্ত্ব

কোষের গঠন ও কাজের উপর ভিত্তি করে কোষ সম্বধে যে মতবাদ বা তত্ব তৈরী হয় তাকে কোষ তত্ত্ব বলে। কোষ সম্পর্কে জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী শ্নাইডেন, প্রাণীবিজ্ঞানী থিওডোর শভান এবং পরে রুডলফ ভির্শভ (Rudolf. Virchow) ১৮৮৫ সালে কোষ তত্ত্ব প্রদান করেন, যাতে বলা হয়েছে,

১. কোষ হলো জীবন্ত সত্তার গাঠনিক, শারীরিক ও সাংগাঠনিক একক।

২. কোষ হলো জীবনের মৌলিক একক।

৩. কোষ বংশগতির একক।

৪. সকল জীব এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত এবং পূর্বসৃষ্ট কোষ থেকেই নতুন কোষের সৃষ্টি হয় ।

কোষের গঠন

প্রাণি এবং উদ্ভিদ, দুটোরই জীবন আছে। তাই কোষ প্রাণিদেহ এবং উদ্ভিদদেহ দুটোতেই থাকে। এখন আমরা একটা প্রাণি এবং উদ্ভিদ কোষের ছবি দেখবো। ছবিটা দেখলে কোষের গঠন নিয়ে ক্লিয়ার জানা যাবে-

প্রতিটা কোষের বাইরে প্যাকেটের মত একটা আবরণ থাকে যার নাম কোষঝিল্লী। ইংলিশে একে Cell Membrane বা Plasma Membrane বলি আমরা। Membrane শব্দের মানেই হচ্ছে ঝিল্লি বা পর্দা।

কোষের ঠিক মাঝখানে একটা গোলাকার জিনিস দেখা যায়। এটি কোষের কেন্দ্র বা Center. একে নিউক্লিয়াস বলে। নিউক্লিয়াস একটা কোষের সবধরনের কাজ করে। কোষঝিল্লি এবং নিউক্লিয়াস বাদে কোষে বাকি যেই অংশটা থাকে সেটা অনেকটা জেলীর মত। এরা পুরো কোষের কানায় কানায় ভরা থাকে। এদেরকে সাইটোপ্লাজম বলে।

অর্থাৎ একটা কোষ তিনটা মেইন জিনিস নিয়ে তৈরি হয়। কোষঝিল্লি, সাইটোপ্লাজম এবং নিউক্লিয়াস। এই তিনটা অংশকে একত্রে প্রোটোপ্লাজম বলি আমরা। তবে উদ্ভিদকোষের একদম বাহিরের দিকে আরেকটা অংশ থাকে যার নাম কোষপ্রাচীর বা Cell Wall.

কিছু কিছু ব্যতিক্রমী কোষের ক্ষেত্রে কোনও কোনও অংশ অনুপস্থিত থাকতে পারে। যেমন লোহিত রক্তকণিকা কোষে কোষকেন্দ্র থাকে না। কিন্তু আদর্শ কোষ বলে আসলে কিছু নেই। মানুষের দেহ কয়েক শত ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত। যেমন স্নায়ু কোষ, রক্তকণিকা কোষ, ত্বকের কোষ বা যকৃৎ কোষ।

আদর্শ কোষ বলতে এমন একটি প্রতীকী ও কাল্পনিক কোষকে বোঝায় যাতে অধিকাংশ কোষে প্রাপ্ত সমস্ত উপাদানগুলি বিদ্যমান থাকে। যেমন-

একটি তথাকথিত আদর্শ প্রাণীকোষে চারটি উপাদান থাকে: কোষকেন্দ্র, কোষঝিল্লি বা কোষপর্দা, মাইটোকন্ড্রিয়া এবং কোষপঙ্ক (সাইটোপ্লাজম)। অন্যদিকে একটি আদর্শ উদ্ভিদকোষের উপাদানগুলি হল কোষকেন্দ্র, কোষপ্রাচীর, কোষঝিল্লি বা কোষপর্দা, কোষগহ্বর, কোষপঙ্ক, মাইটোকন্ড্রিয়া ও হরিৎ কণিকা (ক্লোরোপ্লাস্ট)।

কোশের প্রকারভেদ

কোশের গঠন বৈচিত্র্য, বিশেষ করে নিউক্লিয়াসের গঠন প্রকৃতি অনুসারে সমস্ত রকম উদ্ভিদ ও প্রাণীকোশকে প্রধানত দু’টি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যথা : [১] প্রোক্যারিওটিক কোশ বা আদি কোশ এবং  [২] ইউক্যারিওটিক কোশ বা আদর্শ কোশ ।

(১) আদি কোশ [Prokaryotic Cell]:-

জীবের যে সকল কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই তাদেরকে আদিকোষ বলে। আদি কোষ দ্বারা গঠিত জীবকে আদিকোষী জীব বলে।

আদি কোশ বা প্রোক্যারিওটিক কোশের গঠন:- আদি কোশ প্রধানত কোশপ্রাচীর এবং প্রোটোপ্লাজম নামে দু’টি অংশ নিয়ে গঠিত।

(২) প্রকৃত কোষঃ

জীবের যেসকল কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস আছে তাদেরকে প্রকৃত কোষ বলে ।প্রকৃত কোষ দ্বারা গঠিত জীবকে প্রকৃতকোষী জীব বলে । যেমন : উদ্ভিদ ও প্রাণীকোশ ।

আদর্শ কোশ বা ইউক্যারিওটিক কোশের গঠন:- আদর্শ কোশের প্রধান অংশগুলি হল : [i] কোশ প্রাচীর,  [ii] কোশ পর্দা এবং  [iii] প্রোটোপ্লাজম ।

[i] কোশ প্রাচীর [Cell Wall]:- আদর্শ কোশের চতুর্দিকে অর্থাৎ কোশ-মধ্যস্থ সজীব অংশের বাইরে যে জড়, পুরু এবং দৃঢ় একটি প্রাচীর থাকে, তাকে কোশ প্রাচীর বলে । এটি কোশের সজীব অংশকে রক্ষা করে । কেবলমাত্র উদ্ভিদ ও ব্যাকটেরিয়ার কোশে কোশ প্রাচীর থাকে ।

[ii] কোশ পর্দা [membrane]:- আদর্শ কোশের প্রোটোপ্লাজমকে ঘিরে যে সজীব, সুক্ষ্ম এবং অর্ধভেদ্য একক পর্দা থাকে তাকে কোশ পর্দা বলে । এটিও প্রোটোপ্লাজমকে রক্ষা করে ।

[iii] প্রোটোপ্লাজম [Protoplasm]:- কোশ পর্দা ঘেরা কোশ-মধ্যস্থ সমগ্র সজীব অংশটিকে প্রোটোপ্লাজম বলে । এটি  [a] নিউক্লিয়াস এবং  [b] সাইটোপ্লাজম নিয়ে গঠিত ।

[a] নিউক্লিয়াস [Nucleus]:-  নিউক্লিয়াস হল প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন, পর্দাঘেরা এবং প্রায় গোলাকার অংশ । আদর্শ কোশের সুগঠিত নিউক্লিয়াসটি চারটি অংশ নিয়ে গঠিত, যথা: (i) নিউক্লিয় পর্দা,  (ii) নিউক্লিওলাস,  (iii) নিউক্লিয়প্লাজম এবং (iv) নিউক্লিয়জালক ।

(i) নিউক্লিয় পর্দা:- নিউক্লিয়াসকে বেষ্টন করে অবস্থিত দ্বি-স্তরী পর্দা বিশেষ ;

(ii) নিউক্লিওলাস:- নিউক্লিয়াস-মধ্যস্থ সবচেয়ে ঘন অংশ ;

(iii) নিউক্লিয়প্লাজম:- নিউক্লিয়াস-মধ্যস্থ তরল ধাত্র বিশেষ ;

(iv) নিউক্লিয়জালক :- নিউক্লিয়াস-মধ্যস্থ সুক্ষ্ম সুতোর জলের মতো অংশ ।

[b] সাইটোপ্লাজম [Cytoplasm]:-  নিউক্লিয়াস ছাড়া প্রোটোপ্লাজমের বাকি অর্ধতরল, দানাদার ও জেলির মতো অংশকে সাইটোপ্লাজম বলে ।

সাইটোপ্লাজম সাধারণত দু‘টি স্তরে বিন্যস্ত থাকে । কোশ পর্দা সংলগ্ন হালকা স্বচ্ছ স্তরকে এক্টোপ্লাজম [ectoplasm] এবং কেন্দ্রের দিকে অপেক্ষাকৃত ঘন ও দানাদার স্তরকে এন্ডোপ্লাজম [endoplasm] বলে । সাইটোপ্লাজমের যে তরলে বিভিন্ন জৈব ও অজৈব উপাদান দ্রবীভূত বা ভাসমান অবস্থায় থাকে, তাকে ধাত্র বা হায়ালোপ্লাজম [hyaloplasm] বলা হয় ।

কোষ বিষয়ক প্রশ্ন উত্তর


১. কোষ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোষ হল জীবদেহের গঠন ও কাজের একক।

২. সবচেয়ে বড় কোষ কি?

উত্তরঃ উট পাখির ডিম।

৩. সবচেয়ে ছোট কোষ কোনটি?

উত্তরঃ Mycoplasma golisepticum- নামক ব্যাকটেরিয়ার কোষ।

৪. মানবদেহের সবচেয়ে ছোট কোষ কি?

উত্তরঃ শ্বেতকণিকা।

৫. সবচেয়ে দীর্ঘ কোষ কি?

উত্তরঃ মানুষের স্নায়ুকোষ (১মিটার)।

৬. একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে কোষের সংখ্যা কত?

উত্তরঃ ছয় লক্ষ কোটি থেকে দশ লক্ষ কোটি।

৭. এককোষী প্রাণীর উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা, ম্যালেরিয়া জীবাণু ইত্যাদি।

৮. নিউক্লিয়াসের গঠন অনুসারে কোষ কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ দুই প্রকার। যথাঃ ক) আদি বা প্রোক্যারিওটিক কোষ খ) প্রকৃত বা ইউক্যারিওটিক কোষ।

৯. আদি কোষের বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ আদি কোষের বৈশিষ্ট্য হলঃ

  • গঠনঃ সরল ও জটিলতা বর্জিত।
  • নিউক্লিয়াসঃ সুনির্দিষ্ট নিউক্লিয়াস নেই। DNA অণু থাকলেও সুনির্দিষ্ট নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও নিউক্লিওলাস অনুপস্থিত।
  • ক্রোমোসোম আদি প্রকৃতির। একটি মাত্র DNA অণু ক্রোমোসোমের কাজ সম্পাদন করে।
  • রাইবোজম ছাড়া অন্য কোন কোষীয় অঙ্গাণু নেই।
  • অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে কোষ বিভাজন হয়।

১০. আদি কোষের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ ব্যাক্টেরিয়া, ঈস্ট।

১১. প্রকৃত কোষের বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ প্রকৃত কোষের বৈশিষ্ট্য হলঃ

  • গঠনঃ অপেক্ষাকৃত জটিল।
  • নিউক্লিয়াসঃ সুনির্দিষ্ট নিউক্লিয়াস আছে। নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও নিউক্লিওলাস আছে।
  • ক্রোমোসোম সুগঠিত।
  • সাইটোপ্লাজমে বিভিন্ন ধরনের অঙ্গাণু আছে।
  • বিভাজন প্রক্রিয়াঃ মাইটোসিসে এবং মেয়োসস।

১২. প্রকৃত কোষের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ মানবদেহের কোষ।

১৩. উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণিকোষর পার্থক্য কি?

উত্তরঃ উদ্ভিদ কোষ (Plant Cell):

  • সেলুলোজ নির্মিত কোষপ্রাচীর থাকে।
  • প্লাস্টিড থাকে।
  • এক বা একাধিক কোষ গহবর থাকে।
  • সাধারনত সেন্ট্রোসোম থাকে না।
  • সঞ্চিত খাদ্য – স্টার্ট/শ্বেতসার।

প্রাণিকোষ (Animal Cell):

  • কোষ প্রাচীর নেই।
  • প্লাস্টিড নেই।
  • নিম্নশ্রেণীর প্রাণী ব্যতীত অধীকাংশ কোষে কোষগহবর থাকে না।
  • সর্বদা সেন্ট্রোসোম থাকে।
  • সঞ্চিত খাদ্য – গ্লাইকোজেন।

১৪. শারীরবৃত্তীয় কাজের উপর ভিত্তি করে কোষ কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ দুই প্রকার। যথাঃ ক) দেহকোষ খ) জনন কোষ

১৫. জননকোষর উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ জননকোষ দুই ধরনের। যথাঃ শুক্রাণু ও ডিম্বাণু।

১৬. কোষ প্রাচীর কি উপাদান দ্বারা গঠিত?

উত্তরঃ কোষ প্রাচীর নিম্নলিখিত উপাদান দ্বারা গঠিতঃ

  • উদ্ভিদ কোষঃ সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ, পেক্টোজ, লিগনিন, সুবেরিন প্রভৃতি কার্বহাইড্রেট।
  • ছত্রাকঃ কাইটিন নামক কার্বহাইড্রেট দ্বারা গঠিত।
  • ব্যাক্টেরিয়াঃ প্রোটিন, লিপিড ও পলিমার দিয়ে গঠিত।

১৭. কোষের কোন অংশ সকল সজীব কোষে থাকে?

উত্তরঃ সাইটোপ্লাজম।

১৮. সাইটোপ্লাজমে কি কি অঙ্গাণু থাকে?

উত্তরঃ মাইটোকন্ড্রিয়া, রাইবোজম, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, গলজি বডি ইত্যাদি।

১৯. কোন অঙ্গাণুকে কোষের প্রাণশক্তি বলা হয়?

উত্তরঃ মাইটোকন্ড্রিয়া।

২০. মাইটোকন্ড্রিয়ার রাসায়নিক উপাদান কি?

উত্তরঃ ৭৩% প্রোটিন, ২৫-৩০% লিপিড, সামান্য পরিমাণে RNA, DNA, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

২১. মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ কি?

উত্তরঃ শ্বসনের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন।

২২. কোন কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া অনুপস্থিত?

উত্তরঃ আদিকোষ।

২৩. জীবকোষের কোন স্থানে প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়?

উত্তরঃ রাইবোজম।

২৪. কোন অঙ্গাণুকে কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়?

উত্তরঃ নিউক্লিয়াস।

২৫. নিউক্লিয়াস কে আবিস্কার করেন?

উত্তরঃ রবার্ট ব্রাউন।

২৬. কোন কোষে নিউক্লিয়াস থাকেনা?

উত্তরঃ লোহিত কণিকা, অণুচক্রিকা ইত্যাদি।

২৭. কোন কোষে একাধিক নিউক্লিয়াস থাকে?

উত্তরঃ পেশিকোষ।


⇒ কোশের গঠন PDF DOWNLOAD

Students Care

স্টুডেন্টস কেয়ারে সকলকে স্বাগতম! বাংলা ভাষায় জ্ঞান চর্চার সমস্ত খবরা-খবরের একটি অনলাইন পোর্টাল "স্টুডেন্ট কেয়ার"। পশ্চিমবঙ্গের সকল বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সমস্ত চাকুরী প্রার্থীদের জন্য, এছাড়াও সকল জ্ঞান পিপাসু জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবর্গদের সুবিধার্থে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।  

5 thoughts on “কোশ কাকে বলে ও কোশের গঠন PDF | STRUCTURE OF CELL

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: স্টুডেন্টস কেয়ার কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত !!