মৌসুমি বায়ুর উপর জেট বায়ুর প্রভাব বিশ্লেষণ করো
আজকে ২০১৯ সালের উচ্চমাধ্যমিকে ইতিহাস বিষয়ে আসা বড়ো প্রশ্নের উত্তর গুলি নিয়ে আলোচনা করা হল। আজকের প্রশ্ন হল মৌসুমি বায়ুর উপর জেট বায়ুর প্রভাব বিশ্লেষণ করো. উত্তরটি নিচে দেওয়া হল-
মৌসুমি বায়ুর উপর জেট বায়ুর প্রভাব
মৌসুমি বায়ুর উপর জেট বায়ুর প্রভাব খুব গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর গোলার্ধে পূ-বালি ক্রান্তীয় জেটবায়ুপ্রবাহ দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাবর্তনকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে। ভারতের জলবায়ুতে গ্রীষ্মকালে ক্রান্তীয় পূবালি জেট বায়ু এবং শীতকালে উপক্রান্তীয় পশ্চিমী জেট বায়ুর প্রভাব দেখা যায়। এই দুই প্রকার জেটবায়ু দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ুকে অনেক বেশি সক্রিয় করে তোলে।
গ্রীষ্মকালীন অবস্থা-
মে জুন সাসে উত্তরায়ণের জন্য তিব্বতের মালভূমি অধিক উত্তপ্ত থাকে। এই জন্য উপক্রান্তীয় পশ্চিমী জেট বায়ু হিমালয়ের উত্তরে সরে যায় এবং ক্রান্তীয় পূবালি জেট বায়ু ভারতের মাঝ বরাবর অবস্থান করে। এই জেট বায়ু বলয়াকারে পশ্চিমে আরব উপদ্বীপ থেকে পূর্বে মালয়েশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
এই জেট বায়ু ভারতের মাঝ বারবর যে নিম্নচাপ সৃষ্টি করে, তার আকর্ষণেই ভারত মহাসাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ মৌসুমি বায়ু, ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করে বর্ষাকালের সূচনা করে। আকস্মিক দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমণ ঘটলে মৌসুমি বিস্ফোরণ প্রবল আকার নেয়।
ক্রান্তীয় পূবালি জেট বায়ুর শক্তির ওপর ভারতীয় উপমহাদেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ভর করে। এই জেট বায়ু সেপ্টেম্বর মাসে ভারত থেকে ফিরে যায়।
শীতকালীন অবস্থা-
অক্টোবর মাসে উপক্রান্তীয় পশ্চিমী জেট বায়ু তিব্বতের মালভূমিতে উচ্চচাপের সৃষ্টি করে। এই উচ্চচাপ ক্রমশ দক্ষিণে অগ্রসর হয় এবং দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকে প্রত্যাবর্তন করতে বাধ্য করে।
এই জেট বায়ু শীতকালে যতই দক্ষিণে সরে আসে, ততই সারা ভারতব্যাপী শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মে মাসের শেষের দিকে উপক্রান্তীয় পশ্চিমী জেটবায়ু ক্রমশ উত্তর দিকে সরে যায়।
উচ্চমাধ্যমিক ২০১৫ ইতিহাসের অন্যান্য প্রশ্ন ও উত্তর গুলি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করো
উচ্চমাধ্যমিকের বিগত বছরের প্রশ্ন ও উত্তর PDF ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করো।
Source: wbchse.nic.in