ভারতীয় রেলওয়ের সম্পর্কে জানা অজানা তথ্যগুলি জেনে নিন | প্রথম পর্ব

পোস্টটি শেয়ার করুন
Rate this post

ভারতীয় রেলওয়ের সম্পর্কে জানা অজানা তথ্যগুলি

ভারতীয় রেলওয়ের সম্পর্কে জানা অজানা তথ্যগুলি : আমরা জানি, বিভিন্ন স্থানান্তরযোগ্য দ্রব্যসামগ্রী ও মানুষকে একস্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছে দেওয়াকে পরিবহন বলে। এবং পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত রাস্তা,যানবাহন ও নিয়মকানুনকে একসঙ্গে পরিবহন ব্যবস্থা বলে।আবার এই পরিবহন ব্যবস্থাকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। যথা- স্থলপথ,জলপথ,আকাশপথ এবং রেলপথ। 

ভারত হল এমন একটি দেশ যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেলওয়ে পরিষেবা রয়েছে। পরিহবনের এই মাধ্যম লক্ষ লক্ষ যাত্রী দৈনন্দিন বহন করে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যায়। কিন্তু ভারতীয় রেল নিয়ে এমন বহু সাধারণ তথ্য রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি না। এই তথ্যগুলি যেমন জানা জরুরি, তেমনই কিছু কিছু তথ্য মজাদারও বটে। সম্পূর্ণ তথ্যপূর্ণ বিষয়গুলিকে দুটি পর্বে ভাগ করে আলোচনা করা হল। চলুন আজ আমরা প্রথম পর্বে ভারতীয় রেলকে আরো একটু বিস্তারিত ভাবে জানি!

১. ভারতের প্রথম রেলপথ তৈরি করার প্রস্তাব গ্রহন করা হয় ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে।

২. এরপর ১৬ এপ্রিল ১৮৫৩ সালে, লর্ড ডালহৌসি এর সময়, প্রায় ৩৪ কিলোমিটার পথে ভারতের প্রথম রেল যাত্রা শুরু হয় মাত্র ৪০০ জন যাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে।

Join us on Telegram

৩. Dhapuriya Viadcta ব্রীজ, যেটি তৎকালীন বোম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত পথে ১৮৫৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি হল ভারতীয় রেলের প্রথম ব্রীজ

চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন Dhapuriya Viadcta ব্রীজ
চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন Dhapuriya Viadcta ব্রীজ

৪. ভারতের প্রথম বৈদ্যুতিক রেল চলাচল শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৫ খ্রীষ্টাব্দে। প্রায় ৯.৫ মেইল পথে বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া টার্মিনাল থেকে কুড়লা পর্যন্ত পথে।

ভারতের প্রথম বৈদ্যুতিক রেল
ভারতের প্রথম বৈদ্যুতিক রেল

৫. বিশ্বের তৃতীয় রেল ব্যবস্থা হল ভারতীয় রেল। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র (২৫০,০০০ কিমি), চীন (১২৪,০০০ কিমি) এর পর ভারতীয় রেলের স্থান (মোট ট্রেকের দৈর্ঘ্য ১১৫,০০০ কিমি)।

৬. রেলপথের দৈর্ঘ্যের বিচারে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এখানে প্রায় ৯০৭৭ কিমি দির্ঘ্য রেলপথ বিস্তারিত।

আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন এখান থেকে।

৭. ভারতের সিকিম ও আন্দামান নিকোবরে রেলপথের বিস্তার সবচেয়ে কম।

৮. ভারতের সব থেকে বেশী কর্মসংস্থান হয় এর মাধ্যমে।

৯. কথায় আছে যে, ভারতীয় রেলের ট্র্যাক বা লাইন যতটা দীর্ঘ তাতে এই গোটা পৃথিবীটার ওপরে একবার নয় দেড়বার বসিয়ে ঘিরে ফেলা যাবে।

মাধ্যমিক ২০১৮ ভূগোলের সম্ভাব্য প্রশ্ন জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন

১০. বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম প্ল্যাটফর্ম ভারতীয় রেলেই আছে। ১.৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেই প্ল্যাটফর্মের নাম গোরক্ষপুর (Gorakhpur)। স্টেশনটি উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত।

গোরক্ষপুর স্টেশন
গোরক্ষপুর স্টেশন

১১. ভারতের প্রথম জলের তলা দিয়ে মেট্রো রেলের পথ হল হুগলি নদীর নিচে, হাওড়া থেকে কোলকাতা পর্যন্ত প্রায় ১৬.৬ কিমি দির্ঘ্য পথ।

ভারতের প্রথম জলের তলা দিয়ে মেট্রো রেল
ভারতের প্রথম জলের তলা দিয়ে মেট্রো রেল চালানোর প্রস্তুতি চলছে

১২. ভারতের সবচেয়ে বড় নামের রেল স্টেশনের নাম হলোVenkatanarasimharajuvaripeta

ভারতের সবচেয়ে বড় নামের রেল স্টেশন
ভারতের সবচেয়ে বড় নামের রেল স্টেশন

১৩. ভারতের সবচেয়ে ছোট নামের স্টেশনের নাম ‘আইবি’ ‘IB’ নামের স্টেশনটি ওডিশায় অবস্থিত। এ ছাড়াও গুজরাটের এক রেল স্টেশনের নাম ‘ওডি’ (Od)

ভারতের সবচেয়ে ছোট নামের স্টেশনের নাম 'আইবি'
ভারতের সবচেয়ে ছোট নামের স্টেশনের নাম ‘আইবি’

১৪. উচ্চতায় আইফেল টাওয়ারের থেকে ৩৫ মিটারের বেশি। বিশ্বের সবথেকে উঁচু রেলব্রিজ ভারতেই আছে। উল্টোনো ‘ইউ’ আকৃতির এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের পাহাড়শ্রেণী ও চেনাব নদীর সংযোগস্থলে। ব্রিজটি ৩৫৯ মিটার উঁচু।

সকল সরকারি চাকরীর পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য এখানে ক্লিক করুন

বিশ্বের সবথেকে উঁচু রেলব্রিজ ভারতে
সৌজন্যে

১৫. ১৯৮৬ সালে ভারতীয় রেলে প্রথমবার কম্পিউটারাইজড টিকিট সংরক্ষণ বা রিজার্ভেশনের নিয়ম চালু হয়। ২০১৪ সালে ভারতীয় রেলের মোবাইল অ্যাপ চালু হয়।

ভারতীয় রেলের মোবাইল অ্যাপ
ভারতীয় রেলের মোবাইল অ্যাপ (Courtesy)

১৬. ভারতের দির্ঘ্যতম রেলপথ অতিক্রমকারী ট্রেন হল ‘বিবেক এক্সপ্রেস’। যেটি আসামের ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত পথে (প্রায় ৪২৭৩ কিমি) চলাচল করে।

ভারতের দির্ঘ্যতম রেলপথ অতিক্রমকারী ট্রেন হল ‘বিবেক এক্সপ্রেস’
ভারতের দির্ঘ্যতম রেলপথ অতিক্রমকারী ট্রেন হল ‘বিবেক এক্সপ্রেস’ Courtesy 

১৭. ভারতের দির্ঘতম রেলওয়ে টানেল হল পিরপঞ্জাল রেলওয়ে টানেল। যার দৈর্ঘ্য ১১.২১৫ কিমি। ২০১২ সালে জম্মু-কাশ্মীরে এই টানেলটি তৈরি হয়েছে।

পিরপঞ্জাল রেলওয়ে টানেল
পিরপঞ্জাল রেলওয়ে টানেল

১৮. ত্রিবান্দ্রম-নিজামুদ্দিন রাজধানী এক্সপ্রেস নামক ট্রেনটি তার ৫২৮কিমি যাত্রাপথ অতিক্রম করতে কোনো স্টেশনে দাঁড়ায় না। এটি ভাদোদরা এবং কোটার মধ্যে ননস্টপ চলে।

ধন্যবাদ! পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য নজরে রাখুন স্টুডেন্টস কেয়ারে।

যে কোনো মতামতের জন্য নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানান। আপনারাও আপনাদের মূল্যবান লেখা আমাদের পাঠিয়ে দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের নীতিমালাটি পড়ে আমাদের ইমেল ([email protected]) মারফৎ পাঠান।

Students Care

স্টুডেন্টস কেয়ারে সকলকে স্বাগতম! বাংলা ভাষায় জ্ঞান চর্চার সমস্ত খবরা-খবরের একটি অনলাইন পোর্টাল "স্টুডেন্ট কেয়ার"। পশ্চিমবঙ্গের সকল বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সমস্ত চাকুরী প্রার্থীদের জন্য, এছাড়াও সকল জ্ঞান পিপাসু জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবর্গদের সুবিধার্থে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: স্টুডেন্টস কেয়ার কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত !!