ভারতীয় রেলের সম্পর্কে জানা অজানা ৭৫টি তথ্য জেনে নিন | দ্বিতীয় পর্ব

পোস্টটি শেয়ার করুন
Rate this post

প্রথম পর্বের পর……

ভারতীয় রেলওয়ে হল এক বিশাল ব্যবস্থা! এর ট্রেনগুলো হল ভারতের পরিবহণের এক প্রধান মাধ্যম, যে-দেশে ১৩০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা রয়েছে। সাধারণত প্রতিদিন জনসংখ্যার যাতায়াত ছাড়াও, ভারতের পরম্পরাগত সংস্কৃতির জন্য লক্ষ লক্ষ লোককে, যারা নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের থেকে দূরে আছে, তাদের পারিবারিক অনুষ্ঠান যেমন জন্ম, মৃত্যু, বিভিন্ন উৎসব, বিয়ে অথবা অসুস্থতার জন্য প্রায়ই যাতায়াত করার দরকার হয়। চলুন দ্বিতীয় পর্বে আরো বেশ কিছু জানা অজানা তথ্য জেনে নেই। এগুলি বিভিন্ন সরকারি চাকুরীর পরীক্ষাতে খুবি উপকৃত হবে। 

শেষ পর্বটি পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন এখান থেকে।

Join us on Telegram

১৯. ‘নবপুর’ নামক একটি স্টেশন রয়েছে, যেটি কিনা দুটি রাজ্যেই অবস্থিত। অর্ধেক রয়েছে মহারাষ্ট্রে এবং বাকি অর্ধেক রয়েছে গুজরাটে।

one station in two states
দেখুন সেই অবিশ্বাস্য স্টেশন!

২০. ভারতীয় রেলের ম্যাসকট হল- ‘ভলু’ নাম একটি পাহারাদার হাতিকে নির্বাচন করা হয়েছে।

ভারতীয় রেলের ম্যাসকট ভলু
চিত্রে ভারতীয় রেলের ম্যাসকট ভলু

২১. নতুন দিল্লী থেকে বারানসী পর্যন্ত চলাচলরত বন্দেমাতরম এক্সপ্রেস হল ভারতের দ্রুততম ট্রেন। যার গতি ঘন্টায় প্রায় ১৮০ কিমি।

২২. কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে প্রথম রিজার্ভেশন নতুন দিল্লিতে 1986 সালে শুরু হয়েছিল

২৩. ভারতের সবচেয়ে ধীরতম ট্রেন হল Metupalayam Ooty Nilgiri Passenger। যেটি ঘন্টায় প্রায় ১০ কিমি বেগে ছুটে।

২৪. সর্বাধিক সংখ্যক সমান্তরাল ট্র্যাক / তিনটি গেজ এক স্টেশনে:- বান্দ্রা টার্মিনাস এবং অন্ধেরির মধ্যে সাতটি প্যারালাল ট্র্যাক রয়েছে যেটি প্রায়  10 কিলোমিটার বিস্তৃত।

সর্বাধিক সংখ্যক সমান্তরাল ট্র্যাক
সর্বাধিক সংখ্যক সমান্তরাল ট্র্যাক

২৫. ভারী মালবাহী জাহাজের হোল্ডিংয়ের জন্য বৈদ্যুতিক চালিত লোকোমেটিভ WAG-9 ব্যবহৃত ভারতীয় রেলওয়ে এর দ্রুতগতিতে সবচেয়ে শক্তিশালী লোকোমোটেভ।

২৬. ১৯৭২ সালে দেশে বাষ্প ইঞ্জিন উত্পাদন বন্ধ হয়ে যায়।

২৭. সবচেয়ে কম দুরত্ব অতিক্রম করা ট্রেন হল- নাগপুর থেকে আজনি পর্যন্ত মাত্র ৩ কিমি পথ চলাচল করে। মূলত অজনী ওয়ার্কশপে য়ারা কাজ করেন তাদের নাগপুর থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই রেল পরিষেবা।

২৮. হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সবচেয়ে বেশি স্টেশনে দাঁড়ায়। প্রায় ১১৫ টি।

সকল সরকারি চাকরীর পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য এখানে ক্লিক করুন

২৯. মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার শ্রীমঙ্গল ও বেলাপুর দুটি পৃথক স্টেশন রয়েছে, যেগুলি রেলওয়ে রুটের একই স্থানে অবস্থিত কিন্তু ট্র্যাকের বিপরীত দিকে রয়েছে। একপাড়ে শ্রীরামপুর স্টেশন, বিপরীত পাড়ে বেলাপুর স্টেশন।

৩০. ভারতের উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম দিকের শেষ স্টেশন: উত্তরমুখী রেলওয়ে শেষ স্টেশনটি জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা। পশ্চিমে গুজরাটে ভুজে নলিয়া। দক্ষিণতম রেলওয়ে স্টেশন হল কুমারীকুমারী, এবং তিনসুকেয়া থেকে শাখা লাইনের লডো ভারতের পূর্বের শেষ স্টেশনে।

৩১. মথুরা জাংশন থেকে সবথেকে বেশি সংখ্যক ৭টি রুট বিভক্ত হয়েগিয়েছে।

৩২. ভারতের দার্জিলিং হিমালয়ের রেলওয়ে বিশ্ব ঐতিহ্য বহনকারী রেলের স্বীকৃত পেয়েছে।

দার্জিলিং হিমালয়ের রেলওয়ে
দার্জিলিং হিমালয়ের রেলওয়ে

৩৩. ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে ব্রীজ হল Vallarpadam Bridge, ৪.৬২ কিমি কেরলে অবস্থিত

ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে ব্রীজ হল Vallarpadam Bridge
ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে ব্রীজ হল Vallarpadam Bridge

৩৪. বিশ্বের প্রাচীনতম সক্রিয় বাষ্প ইঞ্জিন হল ভারতের ফেয়ারী কুইন। ইংল্যান্ডে তৈরি এই ইঞ্জিনটি ১৮৫৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়েতে যোগ দিয়েছিল এবং ১৮৯৫ সালে এর নাম হয় ফেয়ারী কুইন। কিন্তু মনে রাখবেন ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই ইঞ্জিনের নামকরণ করা হয় “গণরাজ্য এক্সপ্রেস”।

বিশ্বের প্রাচীনতম সক্রিয় বাষ্প ইঞ্জিন হল ভারতের ফেয়ারী কুইন
বিশ্বের প্রাচীনতম সক্রিয় বাষ্প ইঞ্জিন হল ভারতের ফেয়ারী কুইন

৩৫. ভারতীয় রেলে ১৮টি আঞ্চলিক বিভাগ রয়েছে।

৩৬. সর্বনিম্ন মাথাপিছু রেল রুট কিলোমিটার সহ: কেরালা (0.03 মিটার / মানুষ)

৩৭. সর্বাধিক মাথাপিছু রেল পথ: অন্ধ্র প্রদেশ * (0.1 মিটার / মানুষ)

৩৮. যাত্রা শুরুর ৫০ বছর পর ভারতীয় রেলে টয়লেট যোগ করা হয়। এর আগে চলন্ত ট্রেনে কোনো যাত্রীর প্রকৃতির ডাক আসলে পরবর্তী স্টেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। সর্বপ্রথম অখিল চন্দ্র নামে এক যাত্রী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট এসংক্রান্ত একটি চিঠি লেখেন, যার কারণে ১৯০৯ সালে ট্রেনে টয়লেট যোগ করা হয়। নীচে চিঠিটি দেওয়া হলো-

 সর্বপ্রথম অখিল চন্দ্র নামে এক যাত্রী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট এসংক্রান্ত একটি চিঠি লেখেন
সর্বপ্রথম অখিল চন্দ্র নামে এক যাত্রী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট এসংক্রান্ত একটি চিঠি লেখেন

৩৯. ভারতীয় রেলের হেড কোয়ার্টার দিল্লিতে অবস্থিত।

৪০. ভারতের উচ্চতম রেলস্টেশন পশ্চিমবঙ্গের ঘুম ষ্টেশন [ ৭৪০৭ ফুট উচ্চতায় ]

৪১. স্বাধীন ভারতের প্রথম পূর্ণ রেলমন্ত্রী ছিলেন ডঃ জন মাথাই।

৪২. ভারতের প্রথম রেল কোম্পানী হল-  ১৮৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত – গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ে কোম্পানী।

৪৩. ভারতের প্রথম মহিলা রেলমন্ত্রী হলেন– মমতা ব্যানার্জি [ ১৩ই অক্টোবর ১৯৯৯ সালে ]

৪৪. ভারতের প্রথম মনোরেল চালু হয় ২০১৪ সালে ২রা ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ে।

৪৫. ভারতে প্রথম মহিলা স্পেশাল ট্রেন কোথায় চালু হয় পশ্চিম রেলে চার্চ গেট ও ভিরার মধ্যে । [ পৃথিবীতে সপ্তম মহিলা ট্রেন এটি ]

৪৬. প্রথম পাতাল রেল সালে শুরু হয় ২৪শে অক্টোবর , ১৯৮৪ সালে কোলকাতা মেট্রোয়

৪৭. প্রথম রেলওয়ে টানেল হল- মুম্বাইয়ের পার্সিক টানেল

৪৮. অতএব ভারতীয় রেলকে “জাতীয় জীবনরেখা” বলাটা যে যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে বিতর্কের কোনো রাস্তা নেই।

ধন্যবাদ সকলকে। ভারতীয় রেলের সম্পর্কে জানা অজানা ৪৮টি তথ্য আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এগুলি আপনাদের সকলের কাজে লাগবে আমরা আশাবাদী। আমাদের সকল পোস্টগুলি সকলের সাথে প্রচুর শেয়ার করে আমাদের মনবল দৃঢ় করুন। এর পরবর্তী পর্বের জন্য নজরে রাখুন আমাদের সাইটে।

যে কোনো মতামতের জন্য নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানান। আপনারাও আপনাদের মূল্যবান লেখা আমাদের পাঠিয়ে দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের নীতিমালাটি পড়ে আমাদের ইমেল ([email protected]) মারফৎ পাঠান।

Students Care

স্টুডেন্টস কেয়ারে সকলকে স্বাগতম! বাংলা ভাষায় জ্ঞান চর্চার সমস্ত খবরা-খবরের একটি অনলাইন পোর্টাল "স্টুডেন্ট কেয়ার"। পশ্চিমবঙ্গের সকল বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সমস্ত চাকুরী প্রার্থীদের জন্য, এছাড়াও সকল জ্ঞান পিপাসু জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবর্গদের সুবিধার্থে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।  

error: স্টুডেন্টস কেয়ার কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত !!