Nobel Prize : সর্বাধিক নোবেল জয়ী পৃথিবীর মধ্যে প্রথম দশটি দেশ
সব থেকে বেশি চাওয়া-পাওয়া আন্তর্জাতিক সম্মান বিশিষ্ট পুরস্কার হল নোবেল পুরস্কার ( Nobel Prize )। ১৯০১ সালে সুইডেনের স্টকহোমে প্রথম নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছিল। তার পর থেকে প্রায় ১১৬ বছরের ও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েগিয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভাবে নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়ে থাকে। এই ভাবে এখন পর্যন্ত ১০০০ এর বেশি নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। আমরা সকলেই জানি নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছিল

‘আলফ্রেড নোবেল’ কে সান্মানিক করার জন্য। যিনি ডিনামাইট আবিষ্কারের জন্য খ্যাত। সে যাই হোক ১৯০১ থেকে বর্তমান দিন পর্যন্ত মোট নোবেল প্রাপ্য দেশের সাপেক্ষে প্রথম দশে কোন কোন দেশ স্থান পেয়েছে সেই তালিকা টি নিয়ে আমাদের আজকের বিষয়- Top 10 Countries with most Nobel Prize winners in the world. চলুন দেখে নেওয়া যাক-
১০. অস্ট্রিয়া- ২১টি
২১টি নোবেল পুরস্কার পেয়ে তালিকায় দশ নম্বরে রয়েছে অস্ট্রিয়া। এর দেশটি প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজিত হয় ১৯০৫ সালে। এখনো পর্যন্ত পাঁচটি বিভেগে নোবেল পেয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র গুলি হল- ফিজিওলোজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ইত্যাদি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডস ও সম সাংখ্যিক ২১টি নোবেল পেয়েছে।
নোবেল পুরস্কার সংক্রান্ত সকল ধরণের তথ্য জানার জন্য এখানে ক্লিক করুণ
৯. কানাডা- ২৫টি
তালিকায় ৯ নম্বরে থাকা কানাডার নোবেল বিজয়ের প্রধান ক্ষেত্র হল ‘কেমিস্ট্রি’। ৭ বার নোবেল পেয়েছে কেমিস্ট্রিতে। এরপর ৬ বার করে পিজিওলজি ও মেডিসিন বিভাগে। সম্প্রতি ২০১৫ সালে ‘আর্থার ম্যাকডোনাল্ড’ নোবেল পুরস্কারে পুরস্কিত হয়েছিলেন।
৮. রাশিয়া- ২৬টি
রাশিয়া মোট ২৬টি নোবেল পেলেও, আজারবাইজান, বেলারুশ, লাটভিয়া এবং ইউক্রেন এর সাথে এই নিয়ে একটি বিতর্ক রয়েছে। সে যাই হোক, রাশিয়া সবথেকে বেশি যেই বিভাগে নোবেল পেয়েছে সেটি হল ফিজিক্স। তারপর সাহিত্য, শান্তিতে। খুব অল্প পরিমানে ফিজিওলোজি ও অর্থনীতিতে পেয়েছে। কেমিস্ট্রিতে একমাত্র নোবেল প্রাপকের নাম- Ilya Prigogina.
৭. জাপান- ২৬টি
Kazuo Ishiguro-সাহিত্যে পান্ডিত্যের জন্য ২০১৭ সালে নোবেল পুরস্কারে সন্মানিত হয়েছেন। জাপান সবচেয়ে বেশি নোবেল পেয়েছে ফিজিক্স (১১টি), কেমিস্ট্রি এবং ফিজিওলোজি বিভাগ থেকে। বলা বাহুল্য যে, জাপান বিশ্বের প্রথম তিনটি ধনী দেশের মধ্যে একটি কিন্তু অর্থনীতি থেকে কোনো নোবেল এখন পর্যন্ত পায় নি।
৬. সুইজারল্যান্ড- ২৬টি
২০১৭ সালে কেমিস্ট্রি থেকে এই দেশ থেকে নোবেল পেয়েছে Jacques Dubochet। মোট ২৬টি নোবেল নিয়ে ৬ নম্বরে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। সুইজারলয়ান্ড থেকে সবচেয়ে বেশি নোবেল বিজয়ি হয়েছে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং ফিজিওলোজি বিভাগে।
৫. সুইডেন- ৩১টি
সাহিত্যে নোবেল পাওয়ার ব্যাপারে বিশ্বের কাছে যথেষ্ট সমীহ আদায় করেছে সুইডেন। মোট ৩১ টি নোবেল পেয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। নোবেল পাওয়ার ক্ষেত্র গুলি দেখলে এই দেশটি সবচেয়ে বেশি নোবেল পেয়েছে সাহিত্যে। তারপর যথাক্রমে ফিজিওলোজি, শান্তি, এবং রসায়নে।
৪. ফ্রান্স- ৬৮টি
সবথেকে বেশি নোবেল পেয়েছে সাহিত্যে। এছাড়াও রসায়ন, পদার্থবিদ্যা চিকিৎসাক্ষেত্রে যথেষ্ট পারদর্শীতা দেখিয়েছে ফ্রান্স। এবং শান্তি ও অর্থনীতিতে সেরকম ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি।
৩. জার্মানি- ১০৭ টি
বিশ্ব বিখ্যাত পদার্থ বিদ আইন্সটাইন এর দেশ হল জার্মানি। মোট ১০৭ টি নোবেল পেয়ে তালিকা তে প্রথম তিন এর মধ্যে

রয়েছে। জার্মানি সবচেয়ে বেশি নোবেল পেয়েছে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নে। সাহিত্য ও ফিজিওলোজি তে তুলনামুলক ভাবে ভালো ফলাফল করলেও অর্থনীতি এবং শান্তিতে সেই তুলনায় ভাল ফলাফল এখন পর্যন্ত দেখা মেলেনি হিটলারের দেশ জার্মানি থেকে।
২. ব্রিটেন- ১২৮টি
১২৮ টি নোবেল পেয়ে বিশ্বের তালিকাতে দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে ইংরেজরা। ১২৮টির মধ্যে সবচেয়ে বেশি নোবেল প্রাপ্ত হয়েছে ফিজিওলোজি বা চিকিৎসাশাস্ত্রে এবং রসায়নে। ব্রিটেনের বিশ্ব বিখ্যাত নোবেল বিজয়ীর নাম ‘আলেকজান্ডার ফ্রেমিং’। যিনি

পেনিসিলিন আবিষ্কার করেছিলেন। সাহিত্য এবং শান্তিতে আশানুরূপ ফল পেলেও অর্থনীতিতে নিরাশ করেছে ব্রিটেন কে।
১. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র- ৩৭১ টি
নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে সব থেকে বেশি ৩৭১টি নোবেল পেয়ে বিশ্বে একটি আলাদা স্থান দখল করে রেখেছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিবিদ্যাতে বরাবর বিশ্বের কাছে সমীহ আদায় করে নিয়েছে, তাই সব থেকে বেশি নোবেল এসেছে পদার্থ ও রসায়ন বিদ্যা ক্ষেত্র থেকেই। এছাড়াও শান্তি, অর্থনীতি, ফিজিওলোজি বা চিকিৎসা ক্ষেত্র থেকেও যথেষ্ট পরিমানে নোবেল পেয়ে এসেছে।
উপরি উক্ত উন্নত দেশ গুলি ছাড়াও তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলি থেকে যথেষ্ট পরিমান নোবেল পেয়ে এসেছে। উদাহরণ হিসাবে নেলসন মেন্ডেলা, দলাই লামা, মালালা ইউসুফ এনারা সকলেই বিশ্বের দরবারে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করেছেন এবং এনাদের অনুগতরা এখন সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।