‘ব্ল্যাক হোল’-এর প্রথম ছবি প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা
মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য নিয়ে আমাদের আগ্রহের কোন কমতি নেই, বরং যতই সময় সামনে এগোচ্ছে; আমরা আমাদের সৃষ্টির গূঢ় রহস্য জানতে ততই উদগ্রীব হচ্ছি। যত জানছি, আমাদের কৌতূহল তত বাড়ছে। ব্ল্যাক হোল, যাকে বাংলায় আমরা কৃষ্ণ বিবর নামেও ডেকে থাকি – সম্ভবত আমাদের সে আগ্রহের সবচেয়ে কৌতূহল জাগানিয়া আবার একই সাথে বিতর্কিত এক বিষয়ের নাম। গবেষকরা তাদের মনের মাধুরী দিয়ে বিভিন্ন সময় এই ব্ল্যাক হোলের ছবি এঁকেছেন, কিন্তু কোনোটাই বাস্তব নয়। অবশেষে সেই বিস্ময়কর বস্তুটির ছবি প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানিরা।

ব্ল্যাক হোল বা কৃষগহ্বরের প্রথম ছবি প্রকাশ করেছেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা। ১০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সকালে ব্ল্যাক হোলের এই ছবি বিশ্বের কাছে প্রকাশ করা হয়। যে ছবি এতদিন পর্যন্ত মানুষের ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত।
দুটি ব্লাকহোলকে লক্ষ্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন গবেষকরা। যার মধ্যে স্যাগিটারিয়াসের দূরত্ব পৃথিবী থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ। স্যাগিটারিয়াস সূর্যের চেয়ে ৪০ লাখ গুণ বড়। অপরটির নাম ‘এম ৮৭’। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ৫০০ মিলিয়ন ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। সূর্যের তুলনায় এর ভর ৬.৫ মিলিয়ন গুন বেশি।
গবেষণার প্রধান অধ্যাপক হেইনকো ফালকে জানিয়েছেন, এই ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে তার মাপ গোটা সৌরজগতের থেকে বড়।ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি কালো ব্ল্যাক হোল। যার চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে পেলাব জ্যোতি। ফালকে জানান, ব্ল্যাকহোলের দিকে ধাবিত অতিউত্তপ্ত গ্যাসের থেকে বেরোচ্ছে ওই জ্যোতি। যার ঔজ্জ্বল্য ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত তারা ও গ্যালাক্সির সমবেশের থেকেও বেশি। তাই এত দূর থেকেও ব্ল্যাক হোলটিকে দেখা যাচ্ছে।
ব্ল্যাক হোলের এই ছবি শিল্পীদের কল্পনা ও চলচ্চিত্র পরিচালকদের ভাবনার সঙ্গে অনেকটাই মিলে গিয়েছে। ব্রহ্মাণ্ডের দূরতম স্থানে ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলার সাফল্য মহাকাশবিজ্ঞানকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরো বিস্তারিত ভাবে জানা বা পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন।