UNESCO প্রদত্ত ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কয়টি বিস্তারিত জানুন

পোস্টটি শেয়ার করুন
Rate this post

ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট

ভারতের বিশ্ব ঐতিহ্য বহনকারী স্থানের তালিকা

UNESSCO world heritage sites in India

বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বিশেষ ১০ ধরণের মানদন্ডের সাপেক্ষে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রণীত এক বা একাধিক স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে। ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট গুলি সম্পর্কে জানার আগে আমরা জেনে নেই বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান গুলিকে চিহ্নিত করার জন্য কি কি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করা হয়।

পরিচ্ছেদসমূহ

{{এই ধরনের পোস্টের আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত হন}}

♠ বিশ্ব ঐতিহ্য নির্বাচন করার মানদণ্ডগুলি কি কি?

২০০৪ সাল পর্যন্ত, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য ছয়টি এবং প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের জন্য চারটি মানদণ্ড দিয়ে বিশ্ব ঐতিহ্য নির্বাচন করা হত। কিন্তু ২০০৫ সালে, দশটি মানদণ্ড মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সেট করা হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক ১০টি মানদণ্ড কেমন-

১. মানুষের সৃজনশীল প্রতিভার সেরা কারুকার্য শিল্পকর্ম

Join us on Telegram

২. স্থাপত্য শিল্পকলা, শহরে-পরিকল্পনার নকশা ও উন্নয়ন, দীর্ঘ ব্যাপ্তিকাল বা বিশ্বের একটি সাংস্কৃতিক যুগের মধ্যে, মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা প্রদর্শন করা;

৩. একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, যা বর্তমানে আছে বা হারিয়ে গেছে, যা একটি সভ্যতার ব্যতিক্রমী সাক্ষ্য বহন করে থাকে।

৪. একটি বিশেষ ধরনের বিল্ডিং, স্থাপত্য, ভূ-দৃশ্যর একটি চমৎকার উদাহরণ যা মানুষের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় ব্যাখ্যা করে।

৫. একটি ঐতিহ্যগত মানুষের নিষ্পত্তির, ভূমি ব্যবহার, বা সমুদ্রের ব্যবহারের একটি অসামান্য উদাহরণ, যেটি পরিবেশের সঙ্গে একটি সংস্কৃতি বা মানুষের সঙ্গে পরিবেশের আন্তসম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে বিশেষত অপরিবর্তনীয় পরিবর্তন প্রভাব অধীনে ধংসপ্রবন।

৬. সরাসরি বা বাস্তব ঘটনা বা জীবিত ঐতিহ্য, ধারনা, বা বিশ্বাস, যার সাথে শৈল্পিক ও সাহিত্যের অসামান্য সার্বজনীন সম্পর্ক যুক্ত।

৭. মহীয়ান প্রাকৃতিক শক্তি বা ব্যতিক্রমী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নান্দনিক গুরুত্ব রয়েছে এমন জিনিস।

৮. পৃথিবীর ইতিহাসের প্রধান প্রধান যুগের প্রতিনিধিত্বমূলক অসামান্য উদাহরণ,যার মধ্যে জীবনের ইতিহাস, গুরুত্বপূর্ণ চলমান মহাদেশ, উন্নয়নের ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া, বা গুরুত্বপূর্ণ ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য প্রভৃতির বৈশিষ্ট রয়েছে।

৯. চলমান উদ্ভিদ ও প্রাণীর পরিবেশগত ও জৈব বিবর্তন এবং বিশুদ্ধ জল, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়া, এবং উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার অসামান্য উদাহরণ রয়েছে এমন বস্তু।

১০. বিজ্ঞান বা সংরক্ষণ দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষন বিশেষত জৈব বৈচিত্র্য ইন-সিটু, জীব বৈচিত্র্য বিপন্ন প্রজাতির ধারণকারী এলাকা সংরক্ষণ।

[আরও পড়ুন- ভারতের সকল রাজ্যের নামকরণ কি ভাবে হল]

♠ ভারতে কয়টি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে?

১৯৮৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতে মোট ৩৮টি ইউনেস্কো দ্বারা স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে। ভারতের এই ৩৮টি স্থান কে ৩টি মানদন্ডের সাপেক্ষে বিভক্ত করে দেখানো হয়েছে। ৩টি বিভাগ নিম্নরূপ

১. প্রাকৃতিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (৭টি)

২. সাংকৃতিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (৩০টি)

৩. মিশ্র ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইট (১টি)

 নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

A. প্রাকৃতিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট

S.No. Natural World Heritage Site    Year of inclusion State
1 Kaziranga National Park 1985 Assam
2 Keoladeo Ghana National Park 1985 Rajasthan
3 Nanda Devi National Park and Valley of Flowers 1982
2005
Uttarakhand
4 Manas Wildlife Sanctuary 1985 Assam
5 Sunderbans National Park 1984 West Bengal
6 Western Ghats 2012 Maharashtra,
Goa,
Karnataka,
Tamil Nadu and
Kerala
7 Great Himalayan National Park 2014 Himachal Pradesh

ভারতের বিভিন্ন প্রাকৃতিক বৈশিষ্টের ভিত্তিতে ৭টি প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক এদের সম্পর্কে-

১. গ্রেট হিমালয়ান জাতীয় উদ্যান-

স্থান- হিমাচল প্রদেশ

স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৪

আয়তন- ৯০৫.৪ বর্গ কিমি

গ্রেট হিমালয়ান জাতীয় উদ্যান
গ্রেট হিমালয়ান জাতীয় উদ্যান

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ১৯৮৪ সালে নির্মিত হয়েছিল এটি। হিমাচল প্রদেশের কুলু অঞ্চলে অবস্থিত। উচ্চ পর্বতশৃঙ্গ, সুন্দর উপত্যকা, তৃণভূমি ও ঘন জঙ্গল দ্বারা সমৃদ্ধ। উচ্চ গিরিশৃঙ্গ থেকে উদ্ভূত হিমাবাহ গলা জল এই অঞ্চলে বহু নদীর জন্ম দেয়।

২. কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান

স্থান- আসাম

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৫

আয়তন- ৪২৯.৯৬ বর্গ কিমি

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসমের ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীরের প্লাবন সমভূমিতে অবস্থিত। ১৯০৮ সালে গণ্ডারদের বিপন্ন প্রজাতিটিকে রক্ষা করার জন্য সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে এই উদ্যান স্থাপিত হয়। এবং ১৯১৬ সালে এই বনের নাম হয় “কাজিরাঙা গেম স্যাংচুয়ারি”। এরপর ১৯৫০ সালে এই বনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “কাজিরাঙা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য”। অবশেষে ১৯৭৪ সালে অভয়ারণ্যটি ‘জাতীয় উদ্যানের’ মর্যাদা পায়। এখানে গন্ডার ছাড়াও রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর প্রচুর দেখা মেলে।

[WBCS প্রস্তুতি নিচ্ছেন? তাহলে এখানে ক্লিক করুন]

৩. কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান

স্থান- রাজস্থান

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৫

আয়তন- ২৮.৭৩ বর্গ কিমি

কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান
কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- রাজস্থানের এই উদ্যানটি ১৯০০ সালে মহারাজাদের হাঁস শিকারের জন্য সংরক্ষিত এলাকা ছিল। ১৯৫৬ সালে এটি একটি পাখিরালয়ে পরিণত হয়। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মহারাজাদের এখানে শিকার করার অনুমতি ছিল। ১৯৮১ সালে এটিকে রামসার জলাভূমি হিসাবে ঘোষিত হয়। ১৯৮২ সালে এটি জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয়। এরপর ১৯৮৫ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা লাভ করে। সমগ্র উদ্যানটি ১৭টি গ্রাম ও ভরতপুর শহর দ্বারা বেষ্টিত হয়ে রয়েছে। শীতের ঋতুতে আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, চীন ও সাইবেরিয়া থেকে প্রায় ৩৬৪টি প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এখানে ভিড় জমায়।

৪. মানস বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য

স্থান- অসম

স্বীকৃত বর্ষ -১৯৮৫

আয়তন- ৩৯১.০০ বর্গ কিমি

মানস বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
মানস বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যর গন্ডার

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- হিমালয়ের পাদদেশে ভুটান সীমান্তে মানস নদী সমভূমিতে অবস্থিত। ১৯০৭ সালে এটি সংরক্ষিত বন ঘোষিত করা হয়। ১৯২৮ সালে এটিকে অভয়ারণ্য ঘোষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালে “ব্যাঘ্র প্রকল্প”-এর অংশ হিসাবে এটিকে “ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র”-র মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পায়। ১৯৯২ সালে এই কেন্দ্রটি “বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্য” তালিকাভুক্ত হয়েছিল। বিপন্ন প্রজাতিগুলির মধ্যে এখানে রয়েছে বাঘ, পিগমি হগ, মেঘলা চিতা, স্লথ বেয়ার, ভারতীয় গণ্ডার, বুনো মহিষ, ভারতীয় হাতি, গোল্ডেন লেঙ্গুর ও বেঙ্গল ফ্লোরিকান প্রভৃতি।

৫. নন্দাদেবী ও ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স জাতীয় উদ্যান

স্থান- উত্তরাখন্ড

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৮ সালে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া হলেও ২০০৫ সালে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স কে যুক্ত করে তালিকাটি সম্প্রসারিত করে পুনরায় প্রকাশ করা হয়।

আয়তন- নন্দাদেবীর আয়তন ৬৩০.০০ বর্গ কিমি এবং ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সের আয়তন ৮৭.৫০ বর্গ কিমি।

ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স জাতীয় উদ্যান
ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স জাতীয় উদ্যান

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলি জেলার গাড়ওয়াল হিমালয়ে অবস্থিত ১৯৩৯ সালের ৭ জানুয়ারি একটি গেম স্যাংচুয়ারি হিসেবে এটি স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৮২ সালের ৬ নভেম্বর এটি জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এখানে অনেক দুর্লভ ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী বাস করে। এগুলির মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য প্রানী হোলও- এশীয় কালো ভাল্লুক, তুষার চিতা, বাদামি ভাল্লুক ও নীল ভেড়া।

৬. সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান

স্থান- পশ্চিমবঙ্গ

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৭

আয়তন- ১,৩৩০.১০

সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান এর রয়েল বেঙ্গল টাইগার
সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান এর রয়েল বেঙ্গল টাইগার

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত। ১৮৭৮ সালে সুন্দরবনের তৎকালীন ভারতীয় অংশটির সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে এখানকার মূল এলাকাটি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প রূপে ঘোষিত হয়। ১৯৮৪ সালের ৪ মে মাসে এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয়। ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য্র স্থান পায়। অঞ্চলটি গভীর ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ঢাকা।এবং বৃহত্তম রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণাগার হিসাবে পরিচিত।

৭. পশ্চিমঘাট পর্বতমালা

স্থান- গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকা, কেরালা, গোয়া ও তামিলনাডুর কিছু অংশে অবস্থিত।

স্বীকৃত বর্ষ- ২০১২

আয়তন- ১,৬০,০০০.০০ বর্গ কিমি

পশ্চিমঘাট পর্বতমালা
পশ্চিমঘাট পর্বতমালা

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- পশ্চিম ভারতের এই অংশটি একটি ‘হট স্পট অঞ্চলের অন্তর্গত (হট স্পট কি জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন)।

B. সাংকৃতিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট

S.No. Name of Cultural World Heritage Site Year of Notification State
1 Agra Fort 1983 Uttar Pradesh
2 Ajanta Caves 1983 Maharashtra
3 Ellora Caves 1983 Maharashtra
4 Taj Mahal 1983 Uttar Pradesh
5 Group of Monuments at Mahabalipuram 1984 Tamil Nadu
6 Sun Temple, Konarak 1984 Orissa
7 Churches and Convents of Goa 1986 Goa
8 Elephanta Caves 1987 Maharashtra
9 Group of Monuments at Hampi 1986 Karnataka
10 Fatehpur Sikri 1986 Uttar Pradesh
11 Khajuraho Group of Monuments 1986 Madhya Pradesh
12 Group of Monuments at Pattadakal 1987 Karnataka
13 Great Living Chola Temples 1987 Tamil Nadu
14 Buddhist Monuments at Sanchi 1989 Madhya Pradesh
15 Humayun’s Tomb, Delhi 1993 Delhi
16 Mountain Railways of India 1999 Tamil Nadu
17 Qutb Minar and its Monuments, Delhi 1993 Delhi
18 Mahabodhi Temple Complex at Bodh Gaya 2002 Bihar
19 Champaner-Pavagadh Archaeological Park 2004 Gujarat
20 Chhatrapati Shivaji Terminus (Formerly Victoria Terminus) 2004 Maharashtra
21 Rock Shelters of Bhimbetka 2003 Madhya Pradesh
22 Red Fort Complex 2007 Delhi
23 The Jantar Mantar, Jaipur 2010 Rajasthan
24 Hill Forts of Rajasthan 2013 Rajasthan (Chittorgarh, Kumbhalgarh, Ranthambhore, Amber Sub-Cluster, Jaisalmer, Gagron)
25 Rani-Ki-Van (the Queen’s Stepwell) at Patan, Gujarat 2014 Gujarat
26. Archaeological Site of Nalanda Mahavihara (Nalanda University) at Nalanda 2016 Rajasthan Bihar
27. The Architectural Work of Le Corbusier, an Outstanding Contribution to the Modern Movement 2016 Chandigarh
28. Historic City of Ahmedabad 2017 Ahmedabad, Gujarat, India
29. Victorian Gothic and Art Deco Ensembles 2018 Mumbai, Maharashtra
30. The walled city of Jaipur 2019 Rajasthan

ভারতের সংস্কৃতির সাথে মেলবন্ধন যুক্ত এমন ২৯টি সাইটকে ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সেগুলি সংক্ষিপ্ত আকারে দেখে নেওয়া যাক।

১. আগ্রা দুর্গ

স্থান- উত্তর প্রদেশ

স্বীকৃত বর্ষ-১৯৮৩

আয়তন- ২.৫ কিমি দীর্ঘ

আগ্রা দুর্গ
আগ্রা দুর্গ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- আগ্রার লালকেল্লা মুঘল স্থাপত্যের এক অনবদ্য নিদর্শন। আকবরের রাজত্বকালে তৈরি। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ৮ বছর (১৬৬৫-৭৩)।

২. অজন্তা গুহাসমূহ

স্থান- মহারাষ্ট্র

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৩

অজন্তা গুহাসমূহ
অজন্তা গুহাসমূহ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- প্রথম পর্বের নির্মাণকার্য শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে। দ্বিতীয় পর্বে গুপ্ত যুগে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শতাব্দীতে আরও কয়েকটি নতুন সংযোজন এর সঙ্গে যুক্ত হয়। এখানে মোট ৩১টি পাথরখোদিত গুহা স্মারক রয়েছে, যা বৌদ্ধদের ধর্মীয় চিত্রকলার এক অনন্য নিদর্শন বহন করে।

৩. নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়া

স্থান- বিহার

স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৬

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়া
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়া

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- গুপ্ত সম্রাট প্রথম কুমার গুপ্ত প্রতিষ্ঠিত এই মহাবিহার প্রাচীন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

৪. বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির চত্বর

স্থান- বিহার

স্বীকৃত বর্ষ- ২০০২

বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির চত্বর
বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির চত্বর

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- মন্দিরটি ইষ্টকনির্মিত। কথিত আছে, ৫৩১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ৩৫ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ গৌতম এখানেই বোধি বা বুদ্ধত্ব লাভ করেন। এরপর তিনি বৌদ্ধধর্ম প্রচার শুরু করেছিলেন। এই কারণে বৌদ্ধদের নিকট জায়গাটি অত্যন্ত পবিত্র। সারা বিশ্ব থেকে বৌদ্ধরা এখানে তীর্থ করতে আসেন।

৫. সাঁচীর বৌদ্ধ স্মারকসমূহ

স্থান- মধ্যপ্রদেশ

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৯

সাঁচীর বৌদ্ধ স্মারকসমূহ
সাঁচীর বৌদ্ধ স্মারকসমূহ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ভোপাল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে সাঁচী নামক স্থানে অবস্থিত। মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে এই স্মারকগুলি গড়ে উঠেছিল।

৬. চম্পানের-পাওয়াগড় প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যান

স্থান- গুজরাট

স্বীকৃত বর্ষ- ২০০৪

চম্পানের-পাওয়াগড় প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যান
চম্পানের-পাওয়াগড় প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যান

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- চম্পানের-পাওয়াগড় প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যান গুজরাত রাজ্যের পাঁচমহল জেলায় অবস্থিত। এখানে ধ্বংসাবশেষ, দুর্গ, প্রাসাদ, ধর্মীয় স্থাপনা, ধ্বংসপ্রাপ্ত আবাসস্থল, কৃষি স্থাপনা, জলের উৎস ইত্যাদি রয়েছে।

৭. ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস

স্থান- মহারাষ্ট্র

স্বীকৃত বর্ষ- ২০০৪

ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস
ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- পূর্বনাম ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস। ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস মুম্বইয়ের একটি ঐতিহাসিক রেলস্টেশন। এটি মধ্য রেলের প্রধান কার্যালয়। ফ্রেডরিক উইলিয়াম স্টিভেনস নামে এক উপদেষ্টা স্থপতির নকশা অনুযায়ী ১৮৮৭-৮৮ সালে চালু হয়।

৮. গোয়ার গির্জা ও মঠ

স্থান- গোয়া

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৬

গোয়ার গির্জা ও মঠ
গোয়ার গির্জা ও মঠ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী অংশে গোয়ার পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক শাসকেরা এগুলি নির্মাণ করেন।

৯. এলিফ্যান্টা গুহাসমূহ

স্থান- মহারাষ্ট্র

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৭

এলিফ্যান্টা গুহাসমূহ
এলিফ্যান্টা গুহাসমূহ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- পঞ্চম থেকে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে এই প্রস্তরখোদিত ভাস্কর্য নির্মিত হয়। গুহাগুলিতে প্রস্তরখোদিত ভাস্কর্য রয়েছে। এগুলি হিন্দু শৈব সম্প্রদায়ের প্রধান দেবতা শিবের। গুহাগুলি দুটি শ্রেণিতে বিন্যস্ত। প্রথম শ্রেণিটি বৃহৎ, এই শ্রেণিতে পাঁচটি হিন্দু গুহা অবস্থিত। দ্বিতীয় শ্রেণিটি ক্ষুদ্রতর, এখানে দুটি বৌদ্ধ গুহা রয়েছে।

১০. ইলোরা গুহাসমূহ

স্থান- মহারাষ্ট্র

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৩

ইলোরা গুহাসমূহ
ইলোরা গুহাসমূহ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ইলোরা গুহাসমূহ বা ইলোরা চত্বর বৌদ্ধধর্ম, হিন্দুধর্ম ও জৈনধর্মের সাংস্কৃতিক কলার একটি মিশ্র কেন্দ্র।

১১. ফতেহপুর সিক্রি

স্থান- উত্তরপ্রদেশ

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৬

ফতেহপুর সিক্রি
ফতেহপুর সিক্রি

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- মোগল সম্রাট আকবর ১৫৬৯ সালে তৈরি করেছিলেন। ১৫৭১-১৫৮৫ সাল পর্যন্ত এই শহরটি মোগল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল।

১২. মহান চোল মন্দিরসমূহ

স্থান- তামিলনাডু

স্বীকৃত বর্ষ- ২০০৪

মহান চোল মন্দিরসমূহ
মহান চোল মন্দিরসমূহ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- মহান চোল মন্দিরসমূহ চোল সম্রাটদের দ্বারা নির্মিত। এর মধ্যে তিনটি বৃহৎ মন্দির রয়েছে, এগুলি হল তাঞ্জাভুরের বৃহদীশ্বর মন্দির, গঙ্গইকোণ্ডচোলীশ্বরমের বৃহদীশ্বর মন্দির ও দরসুরমের ঐরাবতেশ্বর মন্দির।

১৩. হাম্পি স্মারকসমূহ

স্থান- কর্ণাটকা

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৬

হাম্পি স্মারকসমূহ
হাম্পি স্মারকসমূহ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- বিজয়নগর সাম্রাজ্যের আমলে চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতকে নির্মিত হয়েছিল। হাম্পিতে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অধুনালুপ্ত রাজধানী বিজয়নগরের ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত। এই শহরের চারিদিকে ছড়িয়ে আছে দ্রাবিড় মন্দির ও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ।

১৪. মহাবলীপুরম স্মারকসমূহ

স্থান- তামিলনাডু

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৪

মহাবলীপুরম স্মারকসমূহ
মহাবলীপুরম স্মারকসমূহ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এটি সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীতে পল্লব রাজারা নির্মাণ করিয়েছিলেন। সমগ্র মন্দিরনগরীটিতে প্রায় ৪০টি স্মারক রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল বিশ্বের বৃহত্তম মুক্তাঙ্গনস্থ বাস-রিলিফ।

১৫. পট্টডাকাল স্মারকসমূহ

স্থান- কর্ণাটকা

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৭

পট্টডাকাল স্মারকসমূহ
পট্টডাকাল স্মারকসমূহ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এখানে নয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু মন্দির ও একটি জৈন মঠ বিদ্যমান।

১৬. রাজস্থানের হিল ফোর্ট

স্থান- রাজস্থান

স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৩

রাজস্থানের হিল ফোর্ট
রাজস্থানের হিল ফোর্ট

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এই হিল ফোর্ট অঞ্চলটি ছয়টি ফোর্ট অঞ্চলকে যুক্ত করেছে।

১৭. ঐতিহাসিক শহর আহমেদাবাদ

স্থান- গুজরাট

স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৭

ঐতিহাসিক শহর আহমেদাবাদ
ঐতিহাসিক শহর আহমেদাবাদ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- সবরমতী নদীর তীরে ১৫ শতকের সুলতান আহমেদ এই ঐতিহাসিক শরহটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

১৮. হুমায়ুনের সমাধিস্থল

স্থান- দিল্লী

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৯৩

হুমায়ুনের সমাধিস্থল
হুমায়ুনের সমাধিস্থল

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ১৫৬৯-৭০ সালে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের বিধবা পত্নী বিগা বেগম (হাজি বেগম) এটি নির্মাণ করান। কথিত আছে, মির্জা গিয়াথ এটি নির্মাণ করেছিলেন।

১৯. খাজুরাহোর স্মারকসমূহ

স্থান- মধ্যপ্রদেশ

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৬

খাজুরাহোর স্মারকসমূহ
খাজুরাহোর স্মারকসমূহ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- খাজুরাহো স্মারকসমূহ রাজপুত বংশোদ্ভুত চান্দেলা রাজবংশ দ্বারা ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত হয়েছে।

২০. ভারতের পার্বত্য রেলপথ

স্থান- হিমাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডু অঞ্চলে অবস্থিত

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৯৯ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল, ২০০৫ সালে নীলগিরি পার্বত্য রেল ও ২০০৮ সালে কালকা-শিমলা রেল সম্প্রসারিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

ভারতের পার্বত্য রেলপথ
ভারতের পার্বত্য রেলপথ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- দার্জিলিং হিমালয়ান রেল, নীলগিরি পার্বত্য রেল ও কালকা-শিমলা রেল একত্রে ভারতের পার্বত্য রেলপথ নামে তালিকাভুক্ত। ভারতের পাঁচটি পার্বত্য রেলের মধ্যে তিনটিকে “দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও সাহসী ও অনবদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতায় কার্যকরী রেলপথ স্থাপনের নিদর্শন” হিসেবে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২১. কুতুব মিনার ও সংলগ্ন স্মারকসমূহ

স্থান- দিল্লী

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৯৩

কুতুব মিনার ও সংলগ্ন স্মারকসমূহ
কুতুব মিনার ও সংলগ্ন স্মারকসমূহ

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এই চত্বরের কেন্দ্রে রয়েছে কুতুব মিনার। লাল বেলেপাথরে নির্মিত এই মিনারটির উচ্চতা ৭২.৫ মিটার । মিনারটির ব্যাস পাদদেশে ১৪.৩২ মিটার ও শীর্ষদেশে ২.৭৫ মিটার ।

২২. রানি কী ভাভ (দ্য কুইন’স স্টেপওয়েল)

স্থান- গুজরাট

স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৪

রানি কী ভাভ (দ্য কুইন’স স্টেপওয়েল)
রানি কী ভাভ (দ্য কুইন’স স্টেপওয়েল)

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- গুজরাটের স্বরস্বতী নদীর তীরে অবস্থিত। ১০৫০ সালে এর নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল।

২৩. লালকেল্লা চত্বর

স্থান- দিল্লী

স্বীকৃত বর্ষ- ২০০৭

 লালকেল্লা চত্বর
লালকেল্লা চত্বর

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- লালকেল্লা চত্বর মুঘল সম্রাট শাহজাহান (১৬২৮-৫৮) কর্তৃক সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত একটি প্রাসাদ দুর্গ। পারসিক, তৈমুরি ও ভারতীয় স্থাপত্যের সংমিশ্রণে এই দুর্গ নির্মিত হয়। দুর্গটি লাল বেলেপাথরের দ্বারা বেষ্টিত বলে এটি লালকেল্লা নামে পরিচিত।

২৪. ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্র

স্থান- মধ্যপ্রদেশ

স্বীকৃত বর্ষ- ২০০৩

ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্র
ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্র

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ১৮৯৩ হেক্টর এলাকায় বেলেপাথরের আধারের উপর এই প্রস্তরক্ষেত্র প্রসারিত। ১৯৫৭ সালে এই প্রস্তরক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। এখানে “পাঁচটি প্রস্তরক্ষেত্র অংশে” “মেসোলিথিক যুগ থেকে ঐতিহাসিক যুগ পর্যন্ত” সময়ের চিত্রকলা রক্ষিত আছে।

২৫. কোণার্ক সুর্য মন্দির

স্থান- ওড়িশা

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৪

কোণার্ক সুর্য মন্দির
কোণার্ক সুর্য মন্দির

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এটি “ব্ল্যাক প্যাগোডা” নামেও পরিচিত। এটি সূর্যের (অর্ক) চব্বিশ চক্রবিশিষ্ট রথের আকারে নির্মিত। এই মন্দিরটি নির্মাণ করান পূর্ব গঙ্গ রাজবংশের রাজা প্রথম নরসিংহদেব।

২৬. তাজমহল

স্থান- উত্তরপ্রদেশ

স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৩

তাজমহল
তাজমহল

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ১৬৩১ সালে সম্রাট শাহজাহানের তৃতীয়া পত্নী বেগম মুমতাজ মহলের মৃত্যু হলে তাঁর স্মৃতিতে এই সৌধটি নির্মিত হয়। শ্বেতপাথরের এই সমাধিসৌধটি মুঘল স্থাপত্যকলার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। তাজমহল পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম।

২৭. আর্কিটেকচারাল ওয়ার্ক অফ লি কর্বুসিয়ার

স্থান- চন্ডীগড়

স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৬

আর্কিটেকচারাল ওয়ার্ক অফ লি কর্বুসিয়ার
আর্কিটেকচারাল ওয়ার্ক অফ লি কর্বুসিয়ার

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- জগদ্বিখ্যাত স্থপতি লে করবুজার, যার অবদান আজকের আধুনিক মানুষের কাছে অপরিমেয়। চন্ডিগড় শহরের পরিকল্পনাবিদ ছিলেন লে করবুজার। লে করবুজার খুবই সুন্দরভাবে এই শহরের রাস্তাঘাট এবং বিল্ডিংগুলো ডিজাইন করেন।

২৮. যন্তর মন্তর

স্থান- জয়পুর, রাজস্থান

স্বীকৃত বর্ষ- ২০১০

যন্তর মন্তর
যন্তর মন্তর

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ১৭২৭ থেকে ১৭৩৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মহারাজা দ্বিতীয় জয়সিংহ তাঁর নতুন রাজধানী জয়পুরে মুঘল রাজধানী দিল্লিতে তাঁরই নির্মিত যন্তর মন্তরের আদলে এটি নির্মাণ করেন।

২৯. মুম্বাইয়ের গথিক ও আর্ট ডেকো

স্থান- মুম্বাই, মহারাষ্ট্র

স্বীকৃত বর্ষ – ২০১৮

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই শহরের ওভাল মেইডেন এলাকায় অবস্থিত যত ভিক্টোরিয়ান গথিক ও আর্ট ডেকো ধাঁচের স্থাপত্য রয়েছে সেগুলো ২০১৮ তে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পেয়েছে। মুম্বাইয়ের ফোর্ট অঞ্চলে এই ধরনের স্থাপত্য অনেক বেশি চোখে পড়ে। ভিক্টোরিয়ান গথিক স্টাইলে এসব সৌধ নির্মিত হয়েছিল উনিশ শতকে এবং আর্ট ডেকোগুলো নির্মাণ করা হয় বিংশ শতকে। আরব সাগরের তীর বরাবর যেন সারিবদ্ধভাবে এসব অট্টালিকা দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই এই জায়গাটিকে একসময় এসপ্ল্যানেড বলা হতো। মুম্বাই শহরে ৯৪টি সৌধ এই ধাঁচে তৈরি করা হয়েছে।

এই ধাঁচের যেসব সৌধ আছে সেগুলোর মধ্যে বিশষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো বম্বে হাইকোর্ট, মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়, সিটি সিভিল ও সেশনস কোর্ট, ইরস থিয়েটার, রাজাভাই ক্লকটাওয়ার, ওল্ড সেক্রেটারিয়েট, ইউনিভার্সিটি গ্রন্থাগার ও কনভেনশন হল, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট অফিস, ওয়াটসনস হোটেল, ডেভিড স্যাসন গ্রন্থাগার, এলফিস্টোন কলেজ প্রভৃতি।

৩০. গোলাপি শহর জয়পুর

স্থান- রাজস্থান

স্বীকৃত বর্ষ – ২০১৯

জয়পুরের গোড়াপত্তন ১৭২৭ খ্রিষ্টাব্দে, রাজা দ্বিতীয় সোয়াই জয় সিংহ-র শাসনকালে। তাঁর নামেই শহরের নামকরণ। আধুনিক ভারতের প্রথমদিকের পরিকল্পিত শহরের মধ্যে অন্যতম জয়পুর। শহরের নক্সা করেছিলেন বিখ্যাত বাঙালি স্থপতি বিদ্যাধর ভট্টাচার্য। পরবর্তীকালে রাজা সোয়াই প্রথম রাম সিংহ-এর জয়পুর গোলাপি সাজে সেজে উঠেছিল প্রিন্স অব ওয়েলসকে স্বাগত জানাতে। সেই থেকে শহরের নতুন পরিচয়, পিঙ্ক সিটি বা গোলাপি নগরী। পরবর্তীকালে প্রিন্স অব ওয়েলসই হন ভারতের অধীশ্বর, সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড। আর স্বাধীন ভারতে রাজস্থানের রাজধানী বলে পরিচতি পায় জয়পুর।

♣ নিচে কিছু চিত্র দেওয়া হল দেখুন

ভারতের ৩৭তম বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান
চিত্র ১

 

ভিক্টোরিয়া গথিক
ভিক্টোরিয়া গথিক

ভারতের নতুন ওয়াল্ড হেরিটেজ স্থান

 

C. মিশ্র ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইট

S. No. Name of Mixed World Heritage Site Year of Inclusion State
1 Khangchendzonga National Park 2016 Sikkim

ইউনেস্কোর ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইটের মিশ্র বিভাগে ভারতের একটি সাইট রয়েছে-

১. কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশানাল পার্ক

স্থান- সিকিম

স্বীকৃতি বর্ষ- ২০১৬

কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশানাল পার্ক
কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশানাল পার্ক

বিশেষ বৈশিষ্ট্য- হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এটি একটি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এবং জাতীয় উদ্যেন। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো এটিকে মিশ্র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অকমা প্রদান করে।

সকল ছবি ও তথ্যসূত্র

ইউনেস্কো

উইকিপিডিয়

 

ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কয়টি, ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সম্পর্কে জানুন, UNESCO ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কে কতগুলি ভাগে ভাগ করেছে, UNESSCO world heritage sites in India, ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এর তালিকা, ভারতের নতুন ওয়াল্ড হেরিটেজ স্থানের নাম কি

Students Care

স্টুডেন্টস কেয়ারে সকলকে স্বাগতম! বাংলা ভাষায় জ্ঞান চর্চার সমস্ত খবরা-খবরের একটি অনলাইন পোর্টাল "স্টুডেন্ট কেয়ার"। পশ্চিমবঙ্গের সকল বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সমস্ত চাকুরী প্রার্থীদের জন্য, এছাড়াও সকল জ্ঞান পিপাসু জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবর্গদের সুবিধার্থে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: স্টুডেন্টস কেয়ার কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত !!