UNESCO প্রদত্ত ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কয়টি বিস্তারিত জানুন
ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট
ভারতের বিশ্ব ঐতিহ্য বহনকারী স্থানের তালিকা
UNESSCO world heritage sites in India
বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বিশেষ ১০ ধরণের মানদন্ডের সাপেক্ষে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রণীত এক বা একাধিক স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে। ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট গুলি সম্পর্কে জানার আগে আমরা জেনে নেই বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান গুলিকে চিহ্নিত করার জন্য কি কি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করা হয়।
{{এই ধরনের পোস্টের আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত হন}}
♠ বিশ্ব ঐতিহ্য নির্বাচন করার মানদণ্ডগুলি কি কি?
২০০৪ সাল পর্যন্ত, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য ছয়টি এবং প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের জন্য চারটি মানদণ্ড দিয়ে বিশ্ব ঐতিহ্য নির্বাচন করা হত। কিন্তু ২০০৫ সালে, দশটি মানদণ্ড মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সেট করা হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক ১০টি মানদণ্ড কেমন-
১. মানুষের সৃজনশীল প্রতিভার সেরা কারুকার্য শিল্পকর্ম
২. স্থাপত্য শিল্পকলা, শহরে-পরিকল্পনার নকশা ও উন্নয়ন, দীর্ঘ ব্যাপ্তিকাল বা বিশ্বের একটি সাংস্কৃতিক যুগের মধ্যে, মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা প্রদর্শন করা;
৩. একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, যা বর্তমানে আছে বা হারিয়ে গেছে, যা একটি সভ্যতার ব্যতিক্রমী সাক্ষ্য বহন করে থাকে।
৪. একটি বিশেষ ধরনের বিল্ডিং, স্থাপত্য, ভূ-দৃশ্যর একটি চমৎকার উদাহরণ যা মানুষের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় ব্যাখ্যা করে।
৫. একটি ঐতিহ্যগত মানুষের নিষ্পত্তির, ভূমি ব্যবহার, বা সমুদ্রের ব্যবহারের একটি অসামান্য উদাহরণ, যেটি পরিবেশের সঙ্গে একটি সংস্কৃতি বা মানুষের সঙ্গে পরিবেশের আন্তসম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে বিশেষত অপরিবর্তনীয় পরিবর্তন প্রভাব অধীনে ধংসপ্রবন।
৬. সরাসরি বা বাস্তব ঘটনা বা জীবিত ঐতিহ্য, ধারনা, বা বিশ্বাস, যার সাথে শৈল্পিক ও সাহিত্যের অসামান্য সার্বজনীন সম্পর্ক যুক্ত।
৭. মহীয়ান প্রাকৃতিক শক্তি বা ব্যতিক্রমী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নান্দনিক গুরুত্ব রয়েছে এমন জিনিস।
৮. পৃথিবীর ইতিহাসের প্রধান প্রধান যুগের প্রতিনিধিত্বমূলক অসামান্য উদাহরণ,যার মধ্যে জীবনের ইতিহাস, গুরুত্বপূর্ণ চলমান মহাদেশ, উন্নয়নের ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া, বা গুরুত্বপূর্ণ ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য প্রভৃতির বৈশিষ্ট রয়েছে।
৯. চলমান উদ্ভিদ ও প্রাণীর পরিবেশগত ও জৈব বিবর্তন এবং বিশুদ্ধ জল, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়া, এবং উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার অসামান্য উদাহরণ রয়েছে এমন বস্তু।
১০. বিজ্ঞান বা সংরক্ষণ দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষন বিশেষত জৈব বৈচিত্র্য ইন-সিটু, জীব বৈচিত্র্য বিপন্ন প্রজাতির ধারণকারী এলাকা সংরক্ষণ।
[আরও পড়ুন- ভারতের সকল রাজ্যের নামকরণ কি ভাবে হল]
♠ ভারতে কয়টি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে?
১৯৮৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতে মোট ৩৮টি ইউনেস্কো দ্বারা স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে। ভারতের এই ৩৮টি স্থান কে ৩টি মানদন্ডের সাপেক্ষে বিভক্ত করে দেখানো হয়েছে। ৩টি বিভাগ নিম্নরূপ
১. প্রাকৃতিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (৭টি)
২. সাংকৃতিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (৩০টি)
৩. মিশ্র ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইট (১টি)
নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
A. প্রাকৃতিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট
S.No. | Natural World Heritage Site | Year of inclusion | State |
1 | Kaziranga National Park | 1985 | Assam |
2 | Keoladeo Ghana National Park | 1985 | Rajasthan |
3 | Nanda Devi National Park and Valley of Flowers | 1982 2005 |
Uttarakhand |
4 | Manas Wildlife Sanctuary | 1985 | Assam |
5 | Sunderbans National Park | 1984 | West Bengal |
6 | Western Ghats | 2012 | Maharashtra, Goa, Karnataka, Tamil Nadu and Kerala |
7 | Great Himalayan National Park | 2014 | Himachal Pradesh |
ভারতের বিভিন্ন প্রাকৃতিক বৈশিষ্টের ভিত্তিতে ৭টি প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক এদের সম্পর্কে-
১. গ্রেট হিমালয়ান জাতীয় উদ্যান-
স্থান- হিমাচল প্রদেশ
স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৪
আয়তন- ৯০৫.৪ বর্গ কিমি
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ১৯৮৪ সালে নির্মিত হয়েছিল এটি। হিমাচল প্রদেশের কুলু অঞ্চলে অবস্থিত। উচ্চ পর্বতশৃঙ্গ, সুন্দর উপত্যকা, তৃণভূমি ও ঘন জঙ্গল দ্বারা সমৃদ্ধ। উচ্চ গিরিশৃঙ্গ থেকে উদ্ভূত হিমাবাহ গলা জল এই অঞ্চলে বহু নদীর জন্ম দেয়।
২. কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান
স্থান- আসাম
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৫
আয়তন- ৪২৯.৯৬ বর্গ কিমি
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসমের ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীরের প্লাবন সমভূমিতে অবস্থিত। ১৯০৮ সালে গণ্ডারদের বিপন্ন প্রজাতিটিকে রক্ষা করার জন্য সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে এই উদ্যান স্থাপিত হয়। এবং ১৯১৬ সালে এই বনের নাম হয় “কাজিরাঙা গেম স্যাংচুয়ারি”। এরপর ১৯৫০ সালে এই বনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “কাজিরাঙা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য”। অবশেষে ১৯৭৪ সালে অভয়ারণ্যটি ‘জাতীয় উদ্যানের’ মর্যাদা পায়। এখানে গন্ডার ছাড়াও রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর প্রচুর দেখা মেলে।
[WBCS প্রস্তুতি নিচ্ছেন? তাহলে এখানে ক্লিক করুন]
৩. কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান
স্থান- রাজস্থান
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৫
আয়তন- ২৮.৭৩ বর্গ কিমি
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- রাজস্থানের এই উদ্যানটি ১৯০০ সালে মহারাজাদের হাঁস শিকারের জন্য সংরক্ষিত এলাকা ছিল। ১৯৫৬ সালে এটি একটি পাখিরালয়ে পরিণত হয়। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মহারাজাদের এখানে শিকার করার অনুমতি ছিল। ১৯৮১ সালে এটিকে রামসার জলাভূমি হিসাবে ঘোষিত হয়। ১৯৮২ সালে এটি জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয়। এরপর ১৯৮৫ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা লাভ করে। সমগ্র উদ্যানটি ১৭টি গ্রাম ও ভরতপুর শহর দ্বারা বেষ্টিত হয়ে রয়েছে। শীতের ঋতুতে আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, চীন ও সাইবেরিয়া থেকে প্রায় ৩৬৪টি প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এখানে ভিড় জমায়।
৪. মানস বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
স্থান- অসম
স্বীকৃত বর্ষ -১৯৮৫
আয়তন- ৩৯১.০০ বর্গ কিমি
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- হিমালয়ের পাদদেশে ভুটান সীমান্তে মানস নদী সমভূমিতে অবস্থিত। ১৯০৭ সালে এটি সংরক্ষিত বন ঘোষিত করা হয়। ১৯২৮ সালে এটিকে অভয়ারণ্য ঘোষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালে “ব্যাঘ্র প্রকল্প”-এর অংশ হিসাবে এটিকে “ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র”-র মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পায়। ১৯৯২ সালে এই কেন্দ্রটি “বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্য” তালিকাভুক্ত হয়েছিল। বিপন্ন প্রজাতিগুলির মধ্যে এখানে রয়েছে বাঘ, পিগমি হগ, মেঘলা চিতা, স্লথ বেয়ার, ভারতীয় গণ্ডার, বুনো মহিষ, ভারতীয় হাতি, গোল্ডেন লেঙ্গুর ও বেঙ্গল ফ্লোরিকান প্রভৃতি।
৫. নন্দাদেবী ও ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স জাতীয় উদ্যান
স্থান- উত্তরাখন্ড
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৮ সালে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া হলেও ২০০৫ সালে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স কে যুক্ত করে তালিকাটি সম্প্রসারিত করে পুনরায় প্রকাশ করা হয়।
আয়তন- নন্দাদেবীর আয়তন ৬৩০.০০ বর্গ কিমি এবং ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সের আয়তন ৮৭.৫০ বর্গ কিমি।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলি জেলার গাড়ওয়াল হিমালয়ে অবস্থিত ১৯৩৯ সালের ৭ জানুয়ারি একটি গেম স্যাংচুয়ারি হিসেবে এটি স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৮২ সালের ৬ নভেম্বর এটি জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এখানে অনেক দুর্লভ ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী বাস করে। এগুলির মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য প্রানী হোলও- এশীয় কালো ভাল্লুক, তুষার চিতা, বাদামি ভাল্লুক ও নীল ভেড়া।
৬. সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান
স্থান- পশ্চিমবঙ্গ
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৭
আয়তন- ১,৩৩০.১০
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত। ১৮৭৮ সালে সুন্দরবনের তৎকালীন ভারতীয় অংশটির সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে এখানকার মূল এলাকাটি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প রূপে ঘোষিত হয়। ১৯৮৪ সালের ৪ মে মাসে এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয়। ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য্র স্থান পায়। অঞ্চলটি গভীর ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ঢাকা।এবং বৃহত্তম রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণাগার হিসাবে পরিচিত।
৭. পশ্চিমঘাট পর্বতমালা
স্থান- গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকা, কেরালা, গোয়া ও তামিলনাডুর কিছু অংশে অবস্থিত।
স্বীকৃত বর্ষ- ২০১২
আয়তন- ১,৬০,০০০.০০ বর্গ কিমি
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- পশ্চিম ভারতের এই অংশটি একটি ‘হট স্পট অঞ্চলের অন্তর্গত (হট স্পট কি জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন)।
B. সাংকৃতিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট
S.No. | Name of Cultural World Heritage Site | Year of Notification | State |
1 | Agra Fort | 1983 | Uttar Pradesh |
2 | Ajanta Caves | 1983 | Maharashtra |
3 | Ellora Caves | 1983 | Maharashtra |
4 | Taj Mahal | 1983 | Uttar Pradesh |
5 | Group of Monuments at Mahabalipuram | 1984 | Tamil Nadu |
6 | Sun Temple, Konarak | 1984 | Orissa |
7 | Churches and Convents of Goa | 1986 | Goa |
8 | Elephanta Caves | 1987 | Maharashtra |
9 | Group of Monuments at Hampi | 1986 | Karnataka |
10 | Fatehpur Sikri | 1986 | Uttar Pradesh |
11 | Khajuraho Group of Monuments | 1986 | Madhya Pradesh |
12 | Group of Monuments at Pattadakal | 1987 | Karnataka |
13 | Great Living Chola Temples | 1987 | Tamil Nadu |
14 | Buddhist Monuments at Sanchi | 1989 | Madhya Pradesh |
15 | Humayun’s Tomb, Delhi | 1993 | Delhi |
16 | Mountain Railways of India | 1999 | Tamil Nadu |
17 | Qutb Minar and its Monuments, Delhi | 1993 | Delhi |
18 | Mahabodhi Temple Complex at Bodh Gaya | 2002 | Bihar |
19 | Champaner-Pavagadh Archaeological Park | 2004 | Gujarat |
20 | Chhatrapati Shivaji Terminus (Formerly Victoria Terminus) | 2004 | Maharashtra |
21 | Rock Shelters of Bhimbetka | 2003 | Madhya Pradesh |
22 | Red Fort Complex | 2007 | Delhi |
23 | The Jantar Mantar, Jaipur | 2010 | Rajasthan |
24 | Hill Forts of Rajasthan | 2013 | Rajasthan (Chittorgarh, Kumbhalgarh, Ranthambhore, Amber Sub-Cluster, Jaisalmer, Gagron) |
25 | Rani-Ki-Van (the Queen’s Stepwell) at Patan, Gujarat | 2014 | Gujarat |
26. | Archaeological Site of Nalanda Mahavihara (Nalanda University) at Nalanda | 2016 | Rajasthan Bihar |
27. | The Architectural Work of Le Corbusier, an Outstanding Contribution to the Modern Movement | 2016 | Chandigarh |
28. | Historic City of Ahmedabad | 2017 | Ahmedabad, Gujarat, India |
29. | Victorian Gothic and Art Deco Ensembles | 2018 | Mumbai, Maharashtra |
30. | The walled city of Jaipur | 2019 | Rajasthan |
ভারতের সংস্কৃতির সাথে মেলবন্ধন যুক্ত এমন ২৯টি সাইটকে ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সেগুলি সংক্ষিপ্ত আকারে দেখে নেওয়া যাক।
১. আগ্রা দুর্গ
স্থান- উত্তর প্রদেশ
স্বীকৃত বর্ষ-১৯৮৩
আয়তন- ২.৫ কিমি দীর্ঘ
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- আগ্রার লালকেল্লা মুঘল স্থাপত্যের এক অনবদ্য নিদর্শন। আকবরের রাজত্বকালে তৈরি। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ৮ বছর (১৬৬৫-৭৩)।
২. অজন্তা গুহাসমূহ
স্থান- মহারাষ্ট্র
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৩
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- প্রথম পর্বের নির্মাণকার্য শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে। দ্বিতীয় পর্বে গুপ্ত যুগে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শতাব্দীতে আরও কয়েকটি নতুন সংযোজন এর সঙ্গে যুক্ত হয়। এখানে মোট ৩১টি পাথরখোদিত গুহা স্মারক রয়েছে, যা বৌদ্ধদের ধর্মীয় চিত্রকলার এক অনন্য নিদর্শন বহন করে।
৩. নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়া
স্থান- বিহার
স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৬
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- গুপ্ত সম্রাট প্রথম কুমার গুপ্ত প্রতিষ্ঠিত এই মহাবিহার প্রাচীন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
৪. বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির চত্বর
স্থান- বিহার
স্বীকৃত বর্ষ- ২০০২
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- মন্দিরটি ইষ্টকনির্মিত। কথিত আছে, ৫৩১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ৩৫ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ গৌতম এখানেই বোধি বা বুদ্ধত্ব লাভ করেন। এরপর তিনি বৌদ্ধধর্ম প্রচার শুরু করেছিলেন। এই কারণে বৌদ্ধদের নিকট জায়গাটি অত্যন্ত পবিত্র। সারা বিশ্ব থেকে বৌদ্ধরা এখানে তীর্থ করতে আসেন।
৫. সাঁচীর বৌদ্ধ স্মারকসমূহ
স্থান- মধ্যপ্রদেশ
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৯
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ভোপাল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে সাঁচী নামক স্থানে অবস্থিত। মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে এই স্মারকগুলি গড়ে উঠেছিল।
৬. চম্পানের-পাওয়াগড় প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যান
স্থান- গুজরাট
স্বীকৃত বর্ষ- ২০০৪
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- চম্পানের-পাওয়াগড় প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যান গুজরাত রাজ্যের পাঁচমহল জেলায় অবস্থিত। এখানে ধ্বংসাবশেষ, দুর্গ, প্রাসাদ, ধর্মীয় স্থাপনা, ধ্বংসপ্রাপ্ত আবাসস্থল, কৃষি স্থাপনা, জলের উৎস ইত্যাদি রয়েছে।
৭. ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস
স্থান- মহারাষ্ট্র
স্বীকৃত বর্ষ- ২০০৪
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- পূর্বনাম ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস। ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস মুম্বইয়ের একটি ঐতিহাসিক রেলস্টেশন। এটি মধ্য রেলের প্রধান কার্যালয়। ফ্রেডরিক উইলিয়াম স্টিভেনস নামে এক উপদেষ্টা স্থপতির নকশা অনুযায়ী ১৮৮৭-৮৮ সালে চালু হয়।
৮. গোয়ার গির্জা ও মঠ
স্থান- গোয়া
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৬
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী অংশে গোয়ার পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক শাসকেরা এগুলি নির্মাণ করেন।
৯. এলিফ্যান্টা গুহাসমূহ
স্থান- মহারাষ্ট্র
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৭
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- পঞ্চম থেকে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে এই প্রস্তরখোদিত ভাস্কর্য নির্মিত হয়। গুহাগুলিতে প্রস্তরখোদিত ভাস্কর্য রয়েছে। এগুলি হিন্দু শৈব সম্প্রদায়ের প্রধান দেবতা শিবের। গুহাগুলি দুটি শ্রেণিতে বিন্যস্ত। প্রথম শ্রেণিটি বৃহৎ, এই শ্রেণিতে পাঁচটি হিন্দু গুহা অবস্থিত। দ্বিতীয় শ্রেণিটি ক্ষুদ্রতর, এখানে দুটি বৌদ্ধ গুহা রয়েছে।
১০. ইলোরা গুহাসমূহ
স্থান- মহারাষ্ট্র
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৩
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ইলোরা গুহাসমূহ বা ইলোরা চত্বর বৌদ্ধধর্ম, হিন্দুধর্ম ও জৈনধর্মের সাংস্কৃতিক কলার একটি মিশ্র কেন্দ্র।
১১. ফতেহপুর সিক্রি
স্থান- উত্তরপ্রদেশ
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৬
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- মোগল সম্রাট আকবর ১৫৬৯ সালে তৈরি করেছিলেন। ১৫৭১-১৫৮৫ সাল পর্যন্ত এই শহরটি মোগল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল।
১২. মহান চোল মন্দিরসমূহ
স্থান- তামিলনাডু
স্বীকৃত বর্ষ- ২০০৪
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- মহান চোল মন্দিরসমূহ চোল সম্রাটদের দ্বারা নির্মিত। এর মধ্যে তিনটি বৃহৎ মন্দির রয়েছে, এগুলি হল তাঞ্জাভুরের বৃহদীশ্বর মন্দির, গঙ্গইকোণ্ডচোলীশ্বরমের বৃহদীশ্বর মন্দির ও দরসুরমের ঐরাবতেশ্বর মন্দির।
১৩. হাম্পি স্মারকসমূহ
স্থান- কর্ণাটকা
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৬
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- বিজয়নগর সাম্রাজ্যের আমলে চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতকে নির্মিত হয়েছিল। হাম্পিতে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অধুনালুপ্ত রাজধানী বিজয়নগরের ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত। এই শহরের চারিদিকে ছড়িয়ে আছে দ্রাবিড় মন্দির ও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ।
১৪. মহাবলীপুরম স্মারকসমূহ
স্থান- তামিলনাডু
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৪
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এটি সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীতে পল্লব রাজারা নির্মাণ করিয়েছিলেন। সমগ্র মন্দিরনগরীটিতে প্রায় ৪০টি স্মারক রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল বিশ্বের বৃহত্তম মুক্তাঙ্গনস্থ বাস-রিলিফ।
১৫. পট্টডাকাল স্মারকসমূহ
স্থান- কর্ণাটকা
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৭
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এখানে নয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু মন্দির ও একটি জৈন মঠ বিদ্যমান।
১৬. রাজস্থানের হিল ফোর্ট
স্থান- রাজস্থান
স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৩
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এই হিল ফোর্ট অঞ্চলটি ছয়টি ফোর্ট অঞ্চলকে যুক্ত করেছে।
১৭. ঐতিহাসিক শহর আহমেদাবাদ
স্থান- গুজরাট
স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৭
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- সবরমতী নদীর তীরে ১৫ শতকের সুলতান আহমেদ এই ঐতিহাসিক শরহটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৮. হুমায়ুনের সমাধিস্থল
স্থান- দিল্লী
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৯৩
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ১৫৬৯-৭০ সালে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের বিধবা পত্নী বিগা বেগম (হাজি বেগম) এটি নির্মাণ করান। কথিত আছে, মির্জা গিয়াথ এটি নির্মাণ করেছিলেন।
১৯. খাজুরাহোর স্মারকসমূহ
স্থান- মধ্যপ্রদেশ
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৬
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- খাজুরাহো স্মারকসমূহ রাজপুত বংশোদ্ভুত চান্দেলা রাজবংশ দ্বারা ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত হয়েছে।
২০. ভারতের পার্বত্য রেলপথ
স্থান- হিমাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডু অঞ্চলে অবস্থিত
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৯৯ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল, ২০০৫ সালে নীলগিরি পার্বত্য রেল ও ২০০৮ সালে কালকা-শিমলা রেল সম্প্রসারিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- দার্জিলিং হিমালয়ান রেল, নীলগিরি পার্বত্য রেল ও কালকা-শিমলা রেল একত্রে ভারতের পার্বত্য রেলপথ নামে তালিকাভুক্ত। ভারতের পাঁচটি পার্বত্য রেলের মধ্যে তিনটিকে “দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও সাহসী ও অনবদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতায় কার্যকরী রেলপথ স্থাপনের নিদর্শন” হিসেবে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২১. কুতুব মিনার ও সংলগ্ন স্মারকসমূহ
স্থান- দিল্লী
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৯৩
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এই চত্বরের কেন্দ্রে রয়েছে কুতুব মিনার। লাল বেলেপাথরে নির্মিত এই মিনারটির উচ্চতা ৭২.৫ মিটার । মিনারটির ব্যাস পাদদেশে ১৪.৩২ মিটার ও শীর্ষদেশে ২.৭৫ মিটার ।
২২. রানি কী ভাভ (দ্য কুইন’স স্টেপওয়েল)
স্থান- গুজরাট
স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৪
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- গুজরাটের স্বরস্বতী নদীর তীরে অবস্থিত। ১০৫০ সালে এর নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল।
২৩. লালকেল্লা চত্বর
স্থান- দিল্লী
স্বীকৃত বর্ষ- ২০০৭
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- লালকেল্লা চত্বর মুঘল সম্রাট শাহজাহান (১৬২৮-৫৮) কর্তৃক সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত একটি প্রাসাদ দুর্গ। পারসিক, তৈমুরি ও ভারতীয় স্থাপত্যের সংমিশ্রণে এই দুর্গ নির্মিত হয়। দুর্গটি লাল বেলেপাথরের দ্বারা বেষ্টিত বলে এটি লালকেল্লা নামে পরিচিত।
২৪. ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্র
স্থান- মধ্যপ্রদেশ
স্বীকৃত বর্ষ- ২০০৩
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ১৮৯৩ হেক্টর এলাকায় বেলেপাথরের আধারের উপর এই প্রস্তরক্ষেত্র প্রসারিত। ১৯৫৭ সালে এই প্রস্তরক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। এখানে “পাঁচটি প্রস্তরক্ষেত্র অংশে” “মেসোলিথিক যুগ থেকে ঐতিহাসিক যুগ পর্যন্ত” সময়ের চিত্রকলা রক্ষিত আছে।
২৫. কোণার্ক সুর্য মন্দির
স্থান- ওড়িশা
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৪
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- এটি “ব্ল্যাক প্যাগোডা” নামেও পরিচিত। এটি সূর্যের (অর্ক) চব্বিশ চক্রবিশিষ্ট রথের আকারে নির্মিত। এই মন্দিরটি নির্মাণ করান পূর্ব গঙ্গ রাজবংশের রাজা প্রথম নরসিংহদেব।
২৬. তাজমহল
স্থান- উত্তরপ্রদেশ
স্বীকৃত বর্ষ- ১৯৮৩
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ১৬৩১ সালে সম্রাট শাহজাহানের তৃতীয়া পত্নী বেগম মুমতাজ মহলের মৃত্যু হলে তাঁর স্মৃতিতে এই সৌধটি নির্মিত হয়। শ্বেতপাথরের এই সমাধিসৌধটি মুঘল স্থাপত্যকলার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। তাজমহল পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম।
২৭. আর্কিটেকচারাল ওয়ার্ক অফ লি কর্বুসিয়ার
স্থান- চন্ডীগড়
স্বীকৃত বর্ষ- ২০১৬
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- জগদ্বিখ্যাত স্থপতি লে করবুজার, যার অবদান আজকের আধুনিক মানুষের কাছে অপরিমেয়। চন্ডিগড় শহরের পরিকল্পনাবিদ ছিলেন লে করবুজার। লে করবুজার খুবই সুন্দরভাবে এই শহরের রাস্তাঘাট এবং বিল্ডিংগুলো ডিজাইন করেন।
২৮. যন্তর মন্তর
স্থান- জয়পুর, রাজস্থান
স্বীকৃত বর্ষ- ২০১০
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- ১৭২৭ থেকে ১৭৩৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মহারাজা দ্বিতীয় জয়সিংহ তাঁর নতুন রাজধানী জয়পুরে মুঘল রাজধানী দিল্লিতে তাঁরই নির্মিত যন্তর মন্তরের আদলে এটি নির্মাণ করেন।
২৯. মুম্বাইয়ের গথিক ও আর্ট ডেকো
স্থান- মুম্বাই, মহারাষ্ট্র
স্বীকৃত বর্ষ – ২০১৮
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই শহরের ওভাল মেইডেন এলাকায় অবস্থিত যত ভিক্টোরিয়ান গথিক ও আর্ট ডেকো ধাঁচের স্থাপত্য রয়েছে সেগুলো ২০১৮ তে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পেয়েছে। মুম্বাইয়ের ফোর্ট অঞ্চলে এই ধরনের স্থাপত্য অনেক বেশি চোখে পড়ে। ভিক্টোরিয়ান গথিক স্টাইলে এসব সৌধ নির্মিত হয়েছিল উনিশ শতকে এবং আর্ট ডেকোগুলো নির্মাণ করা হয় বিংশ শতকে। আরব সাগরের তীর বরাবর যেন সারিবদ্ধভাবে এসব অট্টালিকা দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই এই জায়গাটিকে একসময় এসপ্ল্যানেড বলা হতো। মুম্বাই শহরে ৯৪টি সৌধ এই ধাঁচে তৈরি করা হয়েছে।
এই ধাঁচের যেসব সৌধ আছে সেগুলোর মধ্যে বিশষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো বম্বে হাইকোর্ট, মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়, সিটি সিভিল ও সেশনস কোর্ট, ইরস থিয়েটার, রাজাভাই ক্লকটাওয়ার, ওল্ড সেক্রেটারিয়েট, ইউনিভার্সিটি গ্রন্থাগার ও কনভেনশন হল, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট অফিস, ওয়াটসনস হোটেল, ডেভিড স্যাসন গ্রন্থাগার, এলফিস্টোন কলেজ প্রভৃতি।
৩০. গোলাপি শহর জয়পুর
স্থান- রাজস্থান
স্বীকৃত বর্ষ – ২০১৯
জয়পুরের গোড়াপত্তন ১৭২৭ খ্রিষ্টাব্দে, রাজা দ্বিতীয় সোয়াই জয় সিংহ-র শাসনকালে। তাঁর নামেই শহরের নামকরণ। আধুনিক ভারতের প্রথমদিকের পরিকল্পিত শহরের মধ্যে অন্যতম জয়পুর। শহরের নক্সা করেছিলেন বিখ্যাত বাঙালি স্থপতি বিদ্যাধর ভট্টাচার্য। পরবর্তীকালে রাজা সোয়াই প্রথম রাম সিংহ-এর জয়পুর গোলাপি সাজে সেজে উঠেছিল প্রিন্স অব ওয়েলসকে স্বাগত জানাতে। সেই থেকে শহরের নতুন পরিচয়, পিঙ্ক সিটি বা গোলাপি নগরী। পরবর্তীকালে প্রিন্স অব ওয়েলসই হন ভারতের অধীশ্বর, সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড। আর স্বাধীন ভারতে রাজস্থানের রাজধানী বলে পরিচতি পায় জয়পুর।
♣ নিচে কিছু চিত্র দেওয়া হল দেখুন
C. মিশ্র ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইট
S. No. | Name of Mixed World Heritage Site | Year of Inclusion | State |
1 | Khangchendzonga National Park | 2016 | Sikkim |
ইউনেস্কোর ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইটের মিশ্র বিভাগে ভারতের একটি সাইট রয়েছে-
১. কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশানাল পার্ক
স্থান- সিকিম
স্বীকৃতি বর্ষ- ২০১৬
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এটি একটি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এবং জাতীয় উদ্যেন। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো এটিকে মিশ্র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অকমা প্রদান করে।
সকল ছবি ও তথ্যসূত্র
ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কয়টি, ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সম্পর্কে জানুন, UNESCO ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কে কতগুলি ভাগে ভাগ করেছে, UNESSCO world heritage sites in India, ভারতের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এর তালিকা, ভারতের নতুন ওয়াল্ড হেরিটেজ স্থানের নাম কি