মহাকাশ থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে কেমন লাগে দেখুন
মহাকাশ থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে কেমন লাগে
মার্কিন সংস্থা স্কাই ল্যাবের উপগ্রহ থেকে পাঠানো ৫৯৭ ফুট (১৮২ মিটার) উচ্চতার ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র ছবি এই প্রথম প্রকাশ্যে এল। স্কাই ল্যাব হল আমেরিকান কমস্টিলেশন অফ স্যাটেলাইট সংস্থা। এই সংস্থার মাধ্যমেই জানতে পারলাম মহাকাশ থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে কেমন লাগে । স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, ভারতের লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ওই মূর্তির ছবি স্কাই ল্যাবের আমেরিকান কমস্টিলেশন অফ স্যাটেলাইট থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ছবিটি টপ অ্যাঙ্গেল থেকে নেওয়া। কাছেই নর্মদা নদী।
নর্মদা নদীর পাশে কেভাদিয়ায় তৈরি এই সৌধটিকে দেখা গেল একেবারে ‘টপ ভিউ’ থেকে। গুগল স্যাটেলাইট ম্যাপে এটির অবস্থান দেখা গেলেও এত সুস্পষ্ট ছবি দেখা যেত না, এই প্রথম প্রকাশ্যে এল এত সুস্পষ্ট ছবি ।
২০১৭ সালে ভারতীয় স্পেশ রিসার্চ অর্গানাইজেশন ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছিল ১০৪টি স্যাটেলাইট এক সঙ্গে ছেড়ে। আমেরিকার এই কোম্পানির ৮৮টি আর্থ ইমেজিং ডোভ স্যাটেলাইট ছাড়া হয়েছিল পিএসএলভি মহাকাশ যান থেকে।
নীচে দেখুন সেই টুইট-
At 597 feet, India’s Statue of Unity is now the tallest statue in the world and clearly seen from space! Oblique SkySat image captured today, November 15, 2018. pic.twitter.com/FkpVoHJKjw
— Planet (@planetlabs) November 15, 2018
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকি উপলক্ষে তাঁর এই সৌধ উন্মোচন করা হয়। এই সৌধটির ডিজাইন করেছেন পদ্মভূষণে সম্মানিত ভাষ্কর্যশিল্পী রাম সুতার। এই সৌধটি তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ২৯৮৯ হাজার কোটি টাকা।
চিনের স্প্রিং টেম্পল বুদ্ধের থেকেও মূর্তিটির উচ্চতা ১৭৭ ফুট উঁচু । আগে চিনের স্প্রিং টেম্পল বুদ্ধের মূর্তিটি ছিল সর্বোচ্চ মূর্তি।‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র মূর্তিটি নিউ ইয়র্কের স্ট্যাচু অফ লিবার্টির দ্বিগুণ বড়। এটি বানাতে খরচ হয়েছে ২৯৮৯ কোটি টাকা।
♥ বিশ্বের উচ্চতম মূর্তিটির মূল আকর্ষন
১.সর্দার প্যাটেলের জীবনী বিষয়ক সংগ্রহশালা।
২.ভারত ভবন প্রদর্শনী কক্ষ।
৩. 3-D প্রোজেকশন ম্যাপিং।
৪.১৫৩ মিটার ওপর থেকে পর্যটক রা উপভোগ করবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
৫.২৫০ টি তাবু নিয়ে তাবু শহর।
৬.উপজাতি বিষয়ক সংগ্রহশালা, হস্তশিল্প সামগ্রীর বাজার।
৭.ফুলের উপত্যকা।
৮.বিভিন্ন রাজ্যের অতিথিশালা।
♥ ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র কিছু অজানা তথ্য
১. মূর্তিটি বসানো হয়েছে গুজরাতের নর্মদা জেলার সর্দার সরোবর বাঁধ লাগোয়া সাধু বেট টাপুতে তৈরি করা হয়েছে। সর্দার সরোবর বাঁধ থেকে এটি প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার দূরত্বে স্থিত।
২. সাত কিলোমিটার দূর থেকে এই মূর্তি দেখা যায়।
৩. মূর্তির পায়ের উচ্চতাই কেবল ৮০ ফুট। হাতের উচ্চতা ৭০ ফুট, কাঁধের উচ্চতা ১৪০ ফুট এবং মুখের উচ্চতা ৭০ ফুট।
৪. সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি তৈরি করতে প্রায় ৫ বছর লেগেছে।
৫. নদীর থেকে দ্বীপে যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আড়াইশো মিটার লম্বা একটি সেতুও।
৬. সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের এই মূর্তির নকশা তৈরি করেছেন পদ্মভূষণে সম্মানিত শিল্পী রাম ভি সুতার। বল্লভভাইয়ের দু’ হাজারেরও বেশি ছবি দেখে তিনি মূর্তির নকশা তৈরি করেছেন।
৭. ১ লক্ষ ৬৯ হাজারটি গ্রামের প্রায় ১ কোটি কৃষক ১২৯ টন লোহা দান করেছেন৷
৮. অসাধারণ ব্রোঞ্জের কাজ টি করেছে চিনের বিখ্যাত সংস্থা৷
৯. একসঙ্গে ২০০ মানুষ যাতে মূর্তিটি চাক্ষুষ করতে পারেন, তার জন্য বিশাল গ্যালারি তৈরি করা হয়েছে৷
১০. মূর্তিটি তৈরি করেছে ইনজিনিয়ারিং সংস্থা L&T৷ এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, রিখটার স্কেলে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পেও কোনও ক্ষতি হবে না মূর্তির৷ এমন একটি জায়গায় মূর্তিটি রাখা হচ্ছে, যেখানে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের সংযোগস্থল৷
নিচের ছবিটি মিশরের পিড়ামিডের, যেটি তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে।
দুবাই তে অবস্থিত মানুষের সৃষ্টি এই দ্বীপপুঞ্জের ছবি ধরা পরেছে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৫০ কিমি উচ্চতায়।
সূত্র
Tag- স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি, ৫৯৭ ফুট উচ্চতার স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, Statue of Unity, মহাকাশ থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে কেমন লাগে
Pingback: ফেব্রুয়ারী মাস ২৮ দিনের হয় কেন || আসল তথ্যটি জানলে অবাক হবেন