ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস || ১৭ বার বিবর্তিত ভারতের জাতীয় পতাকা
History of Evolution of Indian National Flag
♦ ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস
আপনি কি জানেন? ১৭ বার বিবর্তিত ভারতের জাতীয় পতাকা, যেগুলি পাঠ্য বইয়ে নেই। তা আছে আসানসোলের কালী শঙ্কর ভট্টাচার্য্য বাবুর কাছে। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি পতাকার মতো বিষয় নিয়ে প্রথম গবেষণা করে ডক্টরেট হয়েছেন। কালীবাবুর অপ্রকাশিত বিশাল গবেষণা থেকে ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস জানা যায়। আজ সেই তথ্যগুলি বিভিন্ন সূত্র মারফৎ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

দিনটা ছিল ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই। ওই বিশেষ দিনেই গণপরিষদের একটি অধিবেশনে বর্তমান ভারতবর্ষের পতাকার বর্তমান রূপটি ভারত অধিরাজ্যের সরকারি পতাকা হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করলে পতাকাটি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকার মর্যাদা লাভ করে। আইনত খাদিবস্ত্র দিয়ে প্রস্তুত করা জাতীয় পতাকাটি কেন্দ্রে চব্বিশটি দণ্ডযুক্ত নীল “অশোকচক্র” সহ গেরুয়া, সাদা ও সবুজ আনুভূমিক আয়তাকার ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা।তাই ভারতের এই পতাকাটিকে সাধারণত “ত্রিরঙ্গা পতাকা” বা “ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা” বলা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপট্টনম গ্রামের পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া কৃত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের “স্বরাজ” পতাকার ভিত্তিতে এই পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল। ২০০৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, কর্ণাটক খাদি গ্রামোদ্যোগ সংযুক্ত সংঘ জাতীয় পতাকার একমাত্র উৎপাদক। ভারতবর্ষের এই পতাকা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বাধাবিপত্তির মধ্য দিয়ে নানান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমানরূপ গ্রহন করেছে। আজ আমরা ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেবো। তার আগে জাতীয় পতাকার টুকিটাকি তথ্য সবার জানা খুব প্রয়োজন।
♦ ভারতীয় জাতীয় পতাকার আকার-
ভারতের জাতীয় পতাকাটি আয়তাকার এবং দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ৩ : ২। অর্থাৎ লম্বা হবে ২ ফুট এবং আড়ে হবে ৩ ফুট। এর সাথে তিনটি রঙের আয়তক্ষেত্রের আয়তনের অনুপাত সমান রাখতে হবে।
♦ ভারতীয় জাতীয় পতাকার রঙ
ভারতীয় জাতীয় পতাকায় গেরুয়া, সাদা, সবুজ ও নীল – এই চারটি রং ব্যবহৃত হয়েছে। ভারতে জাতীয় পতাকাটির উপরে থাকে গেরুয়া, মাঝখানে সাদা এবং নীচে থাকে গাঢ় সবুজ রং সমানুপাতে। পতাকাটির মাঝখানে গাঢ় নীল রঙের চক্র রয়েছে। ভারতের জাতীয় পতাকার এই চারটি রঙ বিভিন্ন অর্থ বহন করে। যেমন-
১. ওপরে গাঢ় গৈরিক বা গেরুয়া বর্ণ- ত্যাগ, বৈরাগ্য ও সাহসিকতার প্রতীক ।
২. মাঝে সাদা রং- শান্তি, পবিত্রতা ও সত্যের প্রতীক ।
৩. নীচের সবুজ রং- জীবনধর্ম, নির্ভীকতা্, বিশ্বাস ও প্রাণ প্রাচুর্যের ইঙ্গিত বহন করে ।

৪. নীল রঙের চব্বিশটি দণ্ডযুক্ত “অশোকচক্র” – ন্যায়, ধর্ম, উন্নতি ও প্রগতির প্রতীক ।
ভারতীয় জাতীয় পতাকার রঙের এইচটিএমএল কোড (HTML Code) হল – গেরুয়া (#FF9933), সাদা (#FFFFFF), সবুজ (#138808), ও নীল (#000080)।
♦ ভারতীয় পতাকার মাঝে অবস্থিত অশোক চক্র-
আশোক চক্রটি মহারাজ আশোকের রাজধানীতে সারনাথের সিংহমূতির আদলে নির্মিত।এই স্তম্ভের মধ্যে ২৪ টি দন্ড আছে।এই দন্ডগুলি দিনের ২৪ ঘন্টার প্রতীক। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বীরত্ব, সাহসী পদক্ষেপ বা আত্মাহুতির জন্য দেওয়া ভারতের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ সামরিক পুরুষ্কারটিকেও বলা হয় অশোকচক্র। ভারতীয় জাতীয় পতাকায় অবস্থিত অশোক চক্রের ২৪টি দাগের অর্থ ২৪ রকমের। নিচের চিত্রের মাধ্যমে ২৪ টি অর্থ দেখানো হল।

♦ ভারতীয় জাতীয় পতাকা ব্যবহার নীতি-
ভারতীয় মানক ব্যুরো দ্বারা স্থির করে দেওয়া ভারতীয় পতাকাবিধি বা Indian flag code হল ভারতের জাতীয় পতাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া নিয়ম। পতাকা উৎপাদনের পদ্ধতি ও নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন এই পতাকাবিধির মধ্যে রয়েছে।
‘প্রিভেনশন অব ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট ১৯৭১ অ্যান্ড ফ্ল্যাগ কোড অব ইন্ডিয়া’র কথা ভারতীয় আইনে বলা আছে। জাতীয় পতাকার রং, তার মাপ, ফ্ল্যাগ পোলের উচ্চতা— এ সব নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে সেখানে। ২০০২ সালে এই ফ্ল্যাগ কোড ‘প্রভিশন্স অব এমব্লেম অ্যান্ড নেমস (প্রিভেনশন অব ইনপ্রপার ইউজ) অ্যাক্ট ১৯৫০ অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০০৫’-এর সঙ্গে জুড়ে যায়। ভারতীয় জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নির্দিষ্ট কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। যেমন-
১. মুক্ত আকাশের তলায় সূর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলিত হয় এবং সূর্যাস্তের সময় নামিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারী ভবনে রাতেও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের রীতি আছে।

২. নতুন পতাকাবিধি অনুযায়ী মর্যাদা, গৌরব ও সম্মান অক্ষুন্ন রেখে যে কোনো নাগরিক বছরের যে কোনো দিনেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবে।
৩. জাতীয় পতাকার স্থান থাকবে অন্যান্য পতাকার থেকে সবার ওপরে
৪. গেরুয়া রং উপরের দিকে রাখতে হবে।
৫. ছিঁড়ে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত পতাকা তোলা যাবে না।
৬. টেবিলক্লথ হিসাবে বা কোনো প্লেটফর্মের সামনে আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না
৭. জাতীয় পতাকা কখনো মাটি বা জলকে স্পর্শ করবে না

৮. জাতীয় পতাকায় কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আটকানো যাবে না
৯. ২০০৫ সালের ৫ জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা ইউনিফর্ম হিসাবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করে।
১০. অন্তর্বাস হিসাবে, গাড়ির কভার রুমাল উত্তোলনের আগে ফুলের পাপরির বাইরে অন্য কোনো বস্তু তাতে বাঁধা বা পতাকাটিতে কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ।

১১. কোনো মিছিলে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করলে, তা সকলের সামনে হাকবে কিন্তু কখনই তা অনুভুমিক ভাবে হাকবে না।
১২. কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির নির্দেশিকা অনুসারে শোকের চিহ্ন হিসাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার রীতি আছে; রাষ্ট্রপতি সেইক্ষেত্রে শোককালীন সময়সীমাও নির্ধারিত করে দেন। অর্ধনমিত করার আগে পতাকাটি একবার সম্পূর্ণভাবে উত্তোলিত করা হয়।
১৩. জাতীয় পতাকা ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা অপরিস্কার হলে, একে ফেলে দেওয়া বা অমর্যাদায় নষ্ট করা যায় না।

১৪. সভাকক্ষে বক্তার কাছে প্রদর্শিত করতে হলে জাতীয় পতাকাকে বক্তার ডানদিকে রাখতে হয়। অন্য সময়ে পতাকাকে শ্রোতার ডানদিকে রাখতে হয়। (বিস্তারিত জানুন)
♦ ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস
১. ১৮৮৩ সালের পতাকা-

কালী শঙ্কর ভট্টাচার্য্য বাবুর গবেষণা থেকে জানা যায় ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকার প্রবর্তন হয়েছিল ১৮৮৩ সালে।তখন থেকেই ‘জাতীয়’ কথাটির উদ্ভবও হয়। দেশপ্রেম জাগতে শুরু করে। সেই সময়ের পতাকাটি ছিল সাদা বর্গাকার পতাকার মাঝে ছিল একটি রক্তিম লাল সূর্য। বর্তমান পাকিস্তানের লহৌর নিবাসী শিরিষ চন্দ্র বসু কতৃক এই পতাকাটি প্রস্তাবিত হয়। শিরিষ বাবু পানিনি অফিসে কাজ করতেন।
২. ১৯০৫ সালের পতাকা-
‘অনুশীলন সমিতির’ সভাপতি ব্যারিষ্টার প্রমথ নাথ মিত্র, যিনি ১৯০৫ সালের ৭ অগাস্ট জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করেছিলেন। পতাকার রং ছিল ত্রিবর্ণ। উপরে লাল, মাঝে হলুদ নীচে সবুজ। লালের উপর আঁকা অষ্টবৃন্তের আটটি কুসুম। হলুদের উপর সংস্কৃতে লেখা বন্দেমাতরম। সবুজের উপর সূর্য ও অর্ধচন্দ্র।

এরপর ওই একই আদলে চার রকমের পতাকা বিবর্তন হয়। মেদিনীপুরের স্বদেশী আন্দোলনকারীরা একটি পতাকার প্রস্তাবনা করেছিলেন। তা ছিল লাল হলুদ ও নীল। মাঝে বাংলায় লেখা বন্দেমাতরং। ব্রিটিশ শাসনে আটটি প্রদেশকে চিহ্নিত করতে কখনও প্রস্ফুটিত পদ্ম কখনও অষ্ট কুসুমকে পতাকার উপরে স্থান দেওয়া হয়েছিল ।

৩. ১৯০৬ সালের পতাকা-

বিপ্লবী সংগঠন যুগান্তর সমিতি পার্টি কংগ্রেসে একটি পতাকার প্রস্তাব করেছিলেন। পতাকাটি ছিল লাল রঙের এবং তলোয়ার ও ত্রিশূল গুনিতক আকারে অবস্থান করছে। উপরে চাঁদ ও নীচে চক্র। । ঋষি অরবিন্দের ভাই বিপ্লবী বারীন্দ্র কুমার ঘোষ ও স্বামী বিবেকানন্দের ছোট ভাই ভূপেন্দ্র নাথ দত্তের প্রস্তাবিত ছিল পতাকাটি ।
৪. ১৯০৭ সালের পতাকা-

১৯০৭ সালের ২২ আগস্ট মাদাম কামা নামে সর্বজনপরিচিত ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা নারী জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে এক আন্তর্জাতিক সমাজবাদী সম্মেলনে ভারতের হয়ে একটি ত্রিবর্ণ পতাকা উড়িয়ে সকলের নজরে আসেন। পতাকার নাম ছিল সপ্তর্ষি পতাকা। উপরে গেরুয়া মাঝে হলুদ ও নীচে সবুজ। গৈরিকে উপর আঁকা একটি কুসুমের সঙ্গে সাতটি তারা। মাঝে বন্দেমাতরম লেখা। ও নীচে সবুজের উপর সূর্য, চন্দ্র।
৫. ১৯০৯ সালের পতাকা-

ভগিনী নিবেদিতা এই পতাকার প্রস্তাব করেন। পতাকাটি ছিল লাল রঙের। পতাকার মাঝে ছিল বজ্র, কুসুম ও দন্ড। তার মধ্যে লেখা বন্দে মাতরম। যেহেতু দধিচির হাড় দিয়ে বজ্র তৈরি হয়েছিল, তাই তিনি বজ্রকে ত্যাগের প্রতীক বলে বর্ণনা করেছিলেন। আর ভারতবর্ষের মানুষের মন কসুমের মতো।
৬. ১৯১৬ সালের পতাকা-

হোমরুল আন্দোলনের কালে কংগ্রেসের নেতারা মনে করলেন ভারতের জন্য একটি জাতীয় পতাকা গড়া উচিত। মরাঠা নেতা বাল গঙ্গাধর তিলক এবং অ্যানি বেসান্তের নেতৃত্বে একটি নতুন পতাকা তৈরি করা হল। পতাকাটি ছিল পাঁচটা লাল এবং চারটে সবুজ স্ট্রাইপের। উপরের বাঁদিকের কোনে ইউনিয়ন জ্যাকের সিম্বল। এছাড়া উপরের ডোরায় ছিল সাদা অর্ধচন্দ্র ও তারা। হিন্দুদের পবিত্র সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রতীকরূপী সাতটি সাদা তারা পতাকায় শোভা পেত। এটি ছিল পঞ্চকোনি অর্থ্যাৎ পাঁচ কোনের পতাকা।
৭. ১৯২২-২৩ সালের পতাকা-

১৯২২ সালে বিজয়ওয়ারায় কংগ্রেস কমিটি মিটিংয়ে গান্ধীজির উপস্থিতিতে একটি জাতীয় পতাকার প্রস্তাব করা হয়। পতাকাটির উপরে ছিল লাল এবং নীচে সবুজ। মাঝে চরকার ছবি ছিল। পরবর্তীকালে ১৯২৩ সালে কংগ্রেস কমিটির মিটিংয়ে ওই লাল-সবুজ পতাকাটি উল্টে দেওয়া হয়। পরিবর্তে নীচে লাল উপরে সবুজ ও তার উপর সাদা ও মাঝে চরকা আঁকা হয়। লাল এখানে বৃহত্তর হিন্দু ধর্ম যারা সমস্ত ধর্মকে বহন করবে। তাই লাল রঙ নীচে। উপরে সবুজ মানে মুসলিম সম্প্রদায়। ও তার উপরে সাদা মানে সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। পতাকাটি ১৯৩০ সাল পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়।

৮. ১৯৩১ সালের পতাকা-

১৯৩১ সালের ২ এপ্রিল কংগ্রেসের কর্মসমিতিতে সাত সদস্যের একটি নতুন পতাকা সমিতি গঠন করা হল। ‘পতাকায় ব্যবহৃত রঙ তিনটি নিয়ে আপত্তি আছে, কারণ এই রঙগুলি সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে চিহ্নিত’ এই মর্মে একটি প্রস্তাবও সেখানে পাস করা হল। ওই বছর কংগ্রেসের করাচি অধিবেশনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম শহরের নিকটবর্তী ভাটলাপেনামারু গ্রামের বাসিন্দা পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া অঙ্কিত একটি ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা স্বীকৃতি পায়। পতাকার উপরে গেরুয়া। মাঝে সাদা। নীচে সবুজ। মাঝে চরকা। চরকা এখানে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক।
৯. ১৯৪৭ সালের পতাকা-
অবশেষে ১৯৪৭ সালের ২৩ জুন জাতীয় গণপরিষদে একটি পতাকা কমিটি গড়া হল। রাজেন্দ্রপ্রসাদের নেতৃত্বে সেই কমিটিতে আর যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, সরোজিনী নাইডু, চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী, কে এম মুন্সি এবং বি আর আম্বেদকর উল্লেখযোগ্য। অনেক আলোচনার পর ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই ভারতের তৎকালীন প্রধান রাজনৈতিক দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ রঙের তেরঙা পতাকাটিকেই ভারতের স্বাধীন সরকারের জন্য নির্দিষ্ট করল। ১৯৪৭ সালের ২২ শে অগাস্ট চরকার পরিবর্তে সারনাথে যে অশোক চক্রটি রয়েছে, সেই ২৪ স্পোকের চক্রটি নীল রঙের আঁকা হয়। অশোক বিশ্বজয় করেছিলেন অহিংসা দিয়ে তাই অশোকের চক্রটিকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
এ হল আমার দেশের জাতীয় পতাকার একটা ছোট্ট ইতিহাস। যা সকল ভারতবাসী সগর্বে কয়েক দশক ধরে বহন করে আসছেন, এবং ভবিষ্যতেও বহন করে যাবো আমরা। পৃথিবীর কোনো শত্রু আমাদের পতাকাকে মাটিতে লুটিয়ে ফেলে দিতে পারবেনা এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা। জয় হিন্দ। বন্দেমাতরম।
ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস পোস্টটি লেখার ক্ষেত্রে আমরা যাদের সাহায্য পেয়েছি-
কালী শঙ্কর ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের গবেষণাপত্র
এবেলা ডট ইন
এনেডু ইন্ডিয়া
আনন্দবাজার পত্রিক
Tag- Indian National Flag, History of Indian Flag, ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস , ভারতের জাতীয় পতাকা, ভারতের পতাকার নক্সা কে করেছেন? পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া, ভারতের ইতিহাস, ভারতের জাতীয় পতাকার রঙের অর্থ, অশোক চক্রের অর্থ, ভারতের জাতীয় পতাকার মাঝে অশোক চক্র থাকার অর্থ কী, ভারতের প্রথম পতাকা কবে তৈরি হয়, ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস