নিউটনের তিনটি গতিসূত্র ও ব্যাখ্যা PDF (Newtons Laws of Motion)
নিউটনের তিনটি গতিসূত্র (Newtons Laws of Motion)
নিউটনের তিনটি গতিসূত্র : কোনো বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে বস্তুটির স্থিতি ও গতি কেমন হবে — এইসব নানা প্রশ্নের সমাধান করতে গিয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন (Sir Isaac Newton) বস্তুর গতি সম্পর্কে তিনটি মূল্যবান সূত্র আবিষ্কার করেন । এই সূত্র নিউটনের গতিসূত্র নামে পরিচিত । সূত্রগুলো স্বতঃসিদ্ধ (assumption) — এদের কোন তত্ত্বগত (Theoretical) প্রমাণ নেই । কিন্তু পদার্থবিদ্যা (Physics)এবং কারিগরি বিদ্যার অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে নিউটনের গতিসূত্র দ্বারা । এই কারণে নিউটনের গতিসূত্রের গুরুত্ব খুবই বেশি । তিনটি স্যার আইজাক নিউটন তার বিখ্যাত Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica বইয়ে ৫ জুলাই ১৬৮৭ সালে প্রথম সংকলন করেন।
(১) নিউটনের প্রথম গতিসূত্র (Newton’s First Law of Motion):
বাইরে থেকে কোন বস্তুর উপর বল প্রয়োগ না করলে, স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে এবং গতিশীল বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখায় বা সরল পথে চলতে থাকে।
(২) নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র (Newton’s Second Law of Motion):
কোন বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকেই ঘটে।
(৩) নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র (Newton’s Third Law of Motion):
প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে ।
♦ গতিসূত্রের জ্ঞাতব্য বিষয়
(১) প্রথম সূত্রের আলোচনা-
প্রথম সূত্র থেকে আমরা দুটি বিষয় জানতে পারি (i) পদার্থের জড়তা বা জাড্য এবং (ii) বলের সংজ্ঞা।
(i) পদার্থের জড়তা বা জাড্য – স্থির বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম স্থির থাকা এবং সচল অর্থাৎ গতিশীল বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম তার গতি বজায় থাকার প্রবণতা বা ধর্মকে বলা হয় জাড্য (Inertia) বা জড়তা ধর্ম। স্থির বস্তু নিজে থেকে চলতে পারেনা এবং গতিশীল বস্তু নিজে থেকে থামতে পারেনা। পদার্থের জাড্যধর্ম দুই প্রকার – (i) স্থিতি জড়তা বা স্থিতিজাড্য ও (ii) গতি জড়তা বা গতিজাড্য।
(অ) স্থিতি জড়তা – স্থির বস্তুর চিরকাল স্থির থাকার প্রবণতাকে স্থিতিজড়তা বলে।
(আ) গতি জড়তা- গতিশীল বস্তুর সমগতিতে সরলরেখা বরাবর গতিশীল অবস্থা বজায় রাখার প্রবণতাকে গতি জড়তা বলে।
(২) দ্বিতীয় সূত্রের আলোচনা-
দ্বিতীয় গতিসূত্র থেকে জানা যায় দুটি বিষয়— i) ভরবেগের ধারণা ও ii) বলের পরিমাণগত সংজ্ঞা।
i)ভরবেগ: ভর ও বেগের সমন্বয়ে কোনাে গতিশীল বস্তুতে যে গতীয় ধর্মের উদ্ভব হয়, তাকেই ভরবেগ (Momentum) বলা হয়। এটি একটি ভেক্টর রাশি। এর অভিমুখ বেগের অভিমুখের সঙ্গে অভিন্ন।
ii)বলের পরিমাণগত সংজ্ঞা: বস্তুর ভর ও তাতে সৃষ্ট ত্বরণের গুণফলই হল বলের পরিমাপ।
(৩) দ্বিতীয় সূত্রের আলোচনা-
এই সূত্র থেকে জানা যায় যে প্রকৃতিতে বল সর্বদা জোড়ায় জোড়ায় ক্লিয়া করে অর্থাৎ প্রকৃতিকে একক বিচ্ছিন্ন বল বলে কিছু থাকতে পারে না ।
নিউটনের তিনটি গতিসূত্র ও ব্যাখ্যা PDF Download
Pingback: বিভিন্ন ভৌত রাশির একক তালিকা PDF | সি জি এস ও এস আই পদ্ধতি
Pingback: বল কাকে বলে PDF? বলের একক কি? বল কত প্রকার ও কি কি?
😍