তিলোত্তমা কলকাতা সম্পর্কে ৩০ টি জানা অজানা তথ্য জেনে নিন!
এই শহরের মোট আয়তন হল ৭১ বর্গ মাইল বা ১৮৫ বর্গ কিলোমিটার। শহরের মহানগরী কলকাতা অঞ্চল ৭২৮.৪৫ বর্গ মাইল বা ১,৮৮৬.৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্হিত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই শহরের জনসংখ্যা হল প্রায় ৪,৪৮৬,৬৭৯ জন। এটি ভারতের সপ্তম জনবহুল শহর। শহরের মহানগরী অঞ্চলে ১৪,১১২,৫৩৬ জন মানুষ বাস করে এবং ভারতের সবচেয়ে জনবহুল মহানগরী শহর হিসাবে এটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্বে কলকাতায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ২৪,২৫০ জন বা প্রতি বর্গ মাইলে ৬৩,২০০ জন মানুষ বাস করে।

কলকাতার ভৌগোলিক অবস্থান-
- শহরের স্থানাঙ্ক হল ২২.৮২ ডিগ্রী উত্তর এবং ৮৮.২০ ডিগ্রী পূর্ব।
- শহরটির সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড়ে প্রায় ১৭ ফুট উচ্চে অবস্থিত।
- বঙ্গপোসাগর উপকূল, এই শহরের দক্ষিণ দিকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
- শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানটি অবস্থিত।
- সমূদ্র তীরে অবস্থিত হওয়ায় কলকাতায় ক্রান্তীয় জলবায়ু অনুভূত হয়।
- এখানে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে এবং শীতকালীন তাপমাত্রা ১২ থেকে ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে।
- বৃষ্টিপাতের মূল উৎস মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ।
- আপনি কলকাতা ভ্রমনে যেতে চান? তাহলে কলকাতায় ভ্রমণের জন্য শ্রেষ্ঠ সময় হল সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন এখান থেকে।
কলকাতার আঞ্চলিক বিভাগঃ-
কলকাতা শহরকে নিম্নলিখিত এলাকায় শ্রেণীবিভক্ত করা যেতে পারে: –
উত্তর কলকাতা – শোভাবাজার, শ্যামবাজার, কাশীপুর, চিৎপুর, সিঁথি, বরানগর এবং দমদম সাধারনত উত্তর কলকাতার মধ্যে পড়েছে।
মধ্য কলকাতা – বিবাদী বাগ, এসপ্ল্যানেড, ফ্রী স্কুল স্ট্রীট (মির্জা গালিব স্ট্রীট), পার্ক স্ট্রীট, চাঁদনী চৌক, ডালহৌসি স্কোয়্যার, সদর স্ট্রীট এবং বড় বাজার। এটি শহরের কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলা (সি.বি.ডি) হিসাবে পরিচিত।
দক্ষিণ কলকাতা – আলিপুর, বালিগঞ্জ, ল্যান্সডাউন, নিউ আলিপুর, টালিগঞ্জ, ভবানীপুর, লেক গার্ডেন্স, যোধপুর পার্ক, যাদবপুর, গল্ফগ্রীন ও কসবা।
কলকাতার শহরতলীয় অঞ্চলগুলি মধ্যে রয়েছে- বেহালা, গার্ডেন রীচ, কূদঘাট, ঠাকুরপুকুর, বাঁশদ্রোণী, রাণীকুঠি, গড়িয়া এবং বাঘাযতীন।
কলকাতার নাম হল কীভাবে?
কলকাতার নামকরনের ইতিহাস নিয়ে প্রচুর বিতর্ক থাকলেও, কয়েকটি সূত্র অনুসারে কলকাতার নামকরন নিম্নরূপ-
১৭শ শতাব্দীর শেষভাগে সুতানুটি, ডিহি কলিকাতা ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। এর মধ্যে ডিহি কলিকাতা নামটি থেকে কলকাতা নামটির উৎপত্তি।
“কলিকাতা” বা “কলকাতা” নামটির উৎপত্তি সম্পর্কে গবেষকদের মধ্যে মতান্তর রয়েছে:
একটি মতে, “কালীক্ষেত্র” (হিন্দু দেবী কালীর ক্ষেত্র) নামটি থেকে “কলিকাতা” বা “কলকাতা” নামটির উৎপত্তি। মতান্তরে, বাংলা “কিলকিলা” (অর্থাৎ,”চ্যাপ্টা এলাকা”) কথাটি থেকে “কলিকাতা” নামটির উৎপত্তি হয়। অন্য এক মতে বাংলা খাল ও কাটা শব্দ দু’টির বিকৃতির ফলে কলকাতা নামটির উৎপত্তি ঘটে। অপর মতে, এই অঞ্চলটি কলিচুন ও কাতা (নারকেল ছোবড়ার আঁশ) উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিল। সেই থেকেই কলিকাতা নামটির উৎপত্তি ঘটে। (সূত্র)
যাই হোক, এসব বিতর্ক চলতেই থাকবে, আজ আমাদের আসল উদ্দেশ্য, কলকাতার কয়েকটি জানা অজানা মজার তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরা, এবার সেগুলি দেখে নিন আমাদের সকলের প্রিয় তিলোত্তমার সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই চলুন-
১. Geographical Indication (GI) পাওয়া ‘বাংলার রসগোল্লা’-

কলকাতার কথা ভাবলেই আপনার মনে হবে ‘রসগোল্লার’ কথা, কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকে হয়ত জানেন না এই রসগোল্লা নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার সাথে একটি বিতর্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছিল। আসলে ‘রসগোল্লার’ প্রকৃত দাবিদার কে সেটা নিয়ে একটি দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু ১৪ নভেম্বর ২০১৭ সালে রসগোল্লাকে Geographical Indication (GI) দিয়ে ‘বাংলার রসগোল্লা’ হিসাবে পরিচিতি দেওয়া হয়। আপনি কি জানেন ‘রসগোল্লার জনক’ হিসাবে পরিচিত কে? তাঁর নাম হল ‘নবীন চন্দ্র দাশ’। কলকাতা তথা বাংলাতে রসগোল্লার সাথে সাথে মিষ্টি দই এবং সন্দেশ ও খুবই জনপ্রিয়।
২. রহস্যময় মেট্রো স্টেশনঃ রবীন্দ্রসরবর-
আমরা জানি আজ থেকে প্রায় ৩৩-৩৪ বছর আগে কলকাতাতে মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে। জানলে অবাক হবে মেট্রোতে যতজন মানুষের প্রান গিয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় ৭০% প্রানের পেছনে ‘রবীন্দ্র সরোবর’ নামক স্টেশনের নামটি জড়িয়ে রয়েছে। এই ট্রেকেই সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়।
৩. কলকাতার স্ট্রিট ফুড-

ভারতের সকল শহরের নিজস্ব একটি খাওয়ার তালিকা রয়েছে, খাওয়ারের বৈচিত্রতার ভিত্তিতে আমরা অনেকে শহর ও সেখান কার সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হই। কলকাতার রাস্তার ধারের খাওয়ার অথবা স্ট্রিট ফুড এর জন্য খুবই বিখ্যাত। এখানে আপনি নানান ধরনের খাওয়ার পেয়ে যাবেন- মাটির কাপের চা থেকে শুরু করে ঝাল মুড়ি, ফুচকা, সিঙ্গারা, কচুরি, তেলেভাজা ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ধরনের রোল, মোগলাই, মোমো। সঙ্গে মিষ্টি দই, রসগোল্লা তো রয়েছে! শুধু তাই নয় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের স্থানীয় খাওয়ারের তালিকাও খুঁজলে পেয়ে যাবেন কলকাতার ফুটপাতে।
৪. ব্যস্ত তম রেল স্টেশনঃ হাওড়া

ভারতের মধ্যে ব্যস্ততম রেল স্টেশন হল হাওড়া রেল স্টেশন। ভারতের অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহত্তম স্টেশন এটি।
৫. নদীর জলের তলা দিয়ে মেট্রো চলাচল

কলকাতাই হল ভারতের মধ্যে প্রথম শহর, যেখানে নদীর জলের নীচে দিয়ে মেট্রো রেল চলাচল করে (পড়ুন করবে)। হাওড়া থেকে হুগলী নদীর ৩০ মিটার নীচে দিয়ে কলকাতার সাথে যুক্ত হবে। এর ফলে হাওড়া স্টেশন ও শিয়ালদা স্টেশনকে যুক্ত করা যাবে।
৬. ভারতের প্রথম মেট্রো রেল-
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে ভারতের প্রথম মেট্রো রেল চলাচল শুরু হয়েছিল কলকাতাতেই।
৭. কলকাতা স্টেশন-
২০০৬ সাল পর্যন্ত কলকাতার বুকে স্থায়ী কোনো স্টেশন ছিলনা। সব কাজ হত হাওড়া এবং সিয়ালদহ স্টেশন দিয়ে। কলকাতার বুকে একটি নতুন স্টেশন গডা হয়েছে। নাম হল, কলকাতা স্টেশন।
৮. প্রাচীন বন্দর খিদিপুর

ভারতের প্রাচিনতম বন্দর গুলির মধ্যে কলকাতার খিদিরপুর বন্দরকে ধরা হয়। এই বন্দরটি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি বানিয়েছিল, তৎকালীন সময়ে পাট রপ্তানির জন্য। এটি ভারতের অন্যতম বৃহৎ ড্রাই ডক যুক্ত বন্দর।
৯. দুর্গা পুজা মানে কলকাতা-
দুর্গা পূজা কলকাতার সবচেয়ে প্রতীক্ষিত এবং চটুল উৎসব। প্রতিবছর খুব জমজমাট করে শুধু মাত্র কলকাতা শহরেই কয়েক হাজার পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। বাঙালীর সবচেয়ে বড় পুজা হিসাবে পরিচিত দুর্গা পুজা। পুজার সময় দেশ বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পর্যটক কলকাতাতে এসে ভিড় জমায়।
১০. City of Joy-
আনন্দ অল্লাসের জন্য কলকাতা বিশ্ববাসীর কাছে কলকাতা City of Joy নামে খুবি জনপ্রীয়।
১১. মিছিলের শহর-
প্রচলিত রয়েছে কলকাতায় বছরে যত মিটিং মিছিল হয় তা আর অন্যান্য রাজ্যের কোথাও হয় না। তাই কলকাতাকে মিছিলের শহর ও বলা হয়।
১২. বই মেলা-
বই মেলার জন্য কলকাতা একটি আলাদা স্থান দখল করে রয়েছে। ফ্রাঙ্কফ্রুট এবং লন্ডন বইমেলার পর কলকাতা বইমেলা হল এশিয়ার বৃহওম বইমেলা।
১৩. পোলো এবং গলফ ক্লাব
কলকাতার পোলো ক্লাব সবচেয়ে পুরানো এবং ব্রিটেনের বাইরে সবথেকে পুরানো গল্ফ ক্লাব হল রয়েল কলকাতা গল্ফ ক্লাব।
১৪. নামকরণ
বাংলায় কলিকাতা বা কলকাতা নামটি প্রচলিত হলেও ইংরেজি ভাষায় এই শহর আগে ক্যালকাটা (ইংরেজি: Calcutta) নামে পরিচিত ছিল। ২০০১ সালে নামের বাংলা উচ্চারণের সঙ্গে সমতা রেখে ইংরেজিতেও শহরের নাম কলকাতা (ইংরেজি: Kolkata) রাখা হয়।
১৫. বাঙালীর ফুটবল

আমরা হয়ত বর্তমানে ক্রিকেটের প্রতি বেশি মন নিবেশ করি, কিন্তু ফুটবলের প্রতি একটা ভালবাসা বাঙালীদের চিরকালী থেকে গিয়েছে। দেশের সবচেয়ে 1898 সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতা ফুটবল লিগ দেশের সবথেকে পুরানো টুরনামেন্ট। যেটা কিনা আবার বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ফুটবল লীগ। কলকাতা ক্রিকেট এবং ফুটবল ক্লাব দুনিযার দ্বিতীয সবথেকে পুরানো ক্রিকেট ক্লাব।
১৬. সল্টলেক ফুটবল ময়দান
সল্টলেক ফুটবল ময়দান ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফুটবল মাঠ। এখানে বর্তমানে প্রায় ৮৫হাজার দর্শক বসে খেলা দেখতে পারে। ২০১১ সাল পর্যন্ত এখানে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার আসন সংখ্যা ছিল, সেই সময় এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাঠ হিসাবে পরিচিত ছিল।
১৭. ইডেন গার্ডেন
ভারতের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের মধ্যে আসন সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট মাঠ হল ইডেন গার্ডেন্স।
১৮. ন্যাশানাল লাইব্রেরি, কলকাতা

ভারতের বৃহত্তম পাঠাগারটি কলকাতায় অবস্থিত। ভারতের বৃহওম লাইব্রেরি হল কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি।
১৯. বই পাগলের এর শহর
কলকাতাতে বিশ্বের সকল বিখ্যাত কবিদের জন্মস্থান। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবহৃত বই কেন্দ্র যেখানে বিশ্বের প্রায় কোন বই পাওয়া যাবে।
২০. বিশ্বের দ্বিতীয় বই বাজার

বিশ্বের দ্বিতীয় পুরাতন বই এর বাজার অবস্থিত কলকাতার কলেজ স্ট্রীটে। এখানে আপনি সকল ধরণের যত পুরানো বই হোক না কেন সবই পেয়ে যাবেন। প্রচলিত রয়েছে যে বই কলেজ স্ট্রীটে পাওয়া যায় না, সেই বই এর কোনো অস্তিত্ব নেই।
ভারতের সব চেয়ে প্রাচীন চিড়িয়াখানাটি কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত।
২২. কলকাতার ট্রাম

১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শিয়ালদহ ও আর্মেনিয়ান ঘাটের মধ্যে ২.৪ কিলোমিটার পথে কলকাতায় প্রথম ট্রাম চলেছিল। পরিচালনার অভাবে সেই বছরেরই ২০ নভেম্বর এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। ১৮৮২ সালে পরীক্ষামূলক স্টিম ইঞ্জিন চালু করা হয়। ১৯০৫ সালের জুন মাসে হাওড়া স্টেশন থেকে বাঁধাঘাট পর্যন্ত ট্রামরুটটি চালু হয়। এই বছরেই বৈদুতিনকরণের কাজ শেষ হয়। শহরটির ইতিহাস ধারণ করে রয়েছে কলকাতার ট্রাম। এশিয়ার প্রাচীনতম ট্রাম চলাচল ব্যবস্থাটি কলকাতায় অবস্থিত।
২৩. হাতে টানা রিক্সা

কলকাতাতে ট্রাম, মেট্রো, টেক্সি সকল যানবাহন থাকা সত্যেও এখানে এখন ব্রিটিশ আমলের ক্লান্তীকর হাতে টানা রিক্সার দেখা মেলে। যেটা আপনি হয়ত আর কোথাও দেখতে পাবেন না।
২৪. বিডলা প্ল্যানেটোরিয়াম

কলকাতা মন্দির ও প্রাসাদ শহর হতে পারে, কিন্তু কলকাতার বিডলা প্ল্যানেটোরিয়াম হল এশিয়ার বৃহওম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহওম প্ল্যানেটোরিয়াম।
২৫. বোটানিক্যাল গার্ডেন
বোটানিক্যাল গার্ডেন রয়েছে সবথেকে বড় বটগাছ। এটি তৈরি হয়েছে 300 মিটার অঞ্চল নিয়ে।
২৬. সেন্ট টেরেসার দ্বিতীয় স্বদেশ!
নোবেল বিজয়ী মাদার তেরেসা (বর্তমানে সেন্ট উপাধি পেয়েছেন) ১৯২৯ সালে এখানে এসেছিলেন। তিনি এই শহরের দারিদ্র্যের অবস্থার দ্বারা এতটাই স্পর্শ কাতর হয়েছিলেন যে তিনি এখানে মানবতার সেবা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এখানে তার জীবনের একটি বড় অংশ কাটিয়েছেন, যার ফলে তাঁর দ্বিতীয় হোম টাউন হিসাবে পরিচিত।
২৭. ভারতীয় চীনা রান্না কলকাতার প্রায় ১০০ বছর আগে আবির্ভূত হয়
কলকাতায় ২০০০ এর অধিক হক্কা বংশোদ্ভুত চীনা নাগরিক বসবাস করতেন, তারাই বিখ্যাত ভারতীয় চীনা রন্ধনপ্রণালীকে জন্ম দেয় বলে জানা যায়।
২৮. ভূতপূর্ব ভারতের রাজধানী শহর
ব্রিটিশ সময়কাল থেকে কলকাতা হল ভারতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের লন্ডনের পর এই শহরটি ছিল দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর। তাই ১৯১১ সাল পর্যন্ত কলকাতাই ছিল ভারতের রাজধানী। বর্তমানে যেটি নতুন দিল্লীতে অবস্থিত।
২৯. কলকাতার বসবাস উপযোগী স্থান-
কলকাতা সকলের জন্য পকেট উপযোগী। আপনি এখানে আপনার মনের মত বাজেট অনুযায়ী বিলাসবহুল থেকে শুরু করে স্বল্প মূল্যের হোটেল বেছে নিতে পারবেন। এখানকার প্যাঁচ তারা হোটেল গুলির মধ্যে অন্যতম হল- ওয়েবার গ্র্যান্ড হোটেল, দ্য পার্ক হোটেল, দ্য তাজ বেঙ্গল এবং দ্য হায়াত রিজেন্সি।
৩০. অদ্বৈত-
কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানাতে অদ্বৈত নামক একটি দৈত্যাকার কচ্ছপ ছিল, যেটির বয়স প্রায় ২৫০ বছরে্র বেশি ছিল। প্রানীটি ১৮৭৫ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানাতে আসে এবং ২০০৬ সালে এর মৃত্যু হয়। সেসেলসের ব্রিট্রিশ নাবিকেরা এটি রবার্ট ক্লাইভকে উপহার দিয়েছলো।