কৃষ্ণসার হরিণ কেমন? কেন সালমান খানের সাজা ঘোষণা হল? জানুন বিস্তারিত
১. কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেই সালমান খানের পাঁচ বছরের জেল!
বলিউডের ভাইজান অর্থাৎ সলমনের পাঁচ বছরের সাজা শুনিয়েছেন যোধপুর আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানার ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি দুই দিন যোধপুর জেলে কয়েদি নম্বর ১০৬ হিসাবে কাটিয়েছেন। যদিওবা বর্তমানে ৫০,০০০ হাজার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়ে গিয়েছেন বলিউডের ভাইজান! কিন্তু কেন এমন বিচার দেওয়া হল? এর পেছনের কারনটি আপনারা নিশ্চই জানেন, সালমান এর দোষ; তিনি ‘হরিণ’ যাকে আমরা ‘ কৃষ্ণসার হরিণ ’ নামে চিনি, এই হরিণ শিকার করার জন্য তাঁর এই সাজা। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, একটা সামান্য হরিণ মেরেছে তার জন্য পাঁচ বছরের সাজা কেন? ভারতে রোজ কত কত মানুষ খুন হচ্ছে, মহিলারা ধর্ষিত হচ্ছে তাদের সবার সাজা হচ্ছে না কেন? এর উত্তর দেওয়াটা জটিল হলেও খুব একটা কঠিন কাজ নয়। এর পেছনে রয়েছে অনেক মানুষের ভালোবাসা, আবেগ, বিশ্বাস, ধর্মীয় নীতি; এবং সবার ওপরে প্রকৃতির জীববৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষা, আরও অনেক কিছু। আজ সেই সকল বিষয়গুলির একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
প্রথমে জানতে হবে ১৯৯৮ সালের ওই দিনে কি ঘটেছিল? কেকে ছিল সালমানের সাথে ওই দিনে? কিভাবে হল এসব। সেগুলি আগে আমাদের জানা দরকার।
১.১. ১৯৯৮ সালের ওই দিনে ঠিক কি ঘটেছিল?
ঘটনা ঘটেছে ২০ বছর আগে ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে। সুপারহিট বলিউড সিনেমা ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ শুটিং চলছিল। শুটিং চলছিল রাজস্থানের যোধপুরে। ওই শুটিং এর শেষে সালমান খান যোধপুরের নিকটবর্তী আলাদা আলাদা দুই জায়গাতে ‘বিলুপ্ত প্রায়’ কৃষ্ণসার হরিণের শিকার করেন সালমান। সালমান সহ ওই সফরের সঙ্গী ছিলেন অভিনেতা সাইফ আলী খান এবং অভিনেত্রী টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলম কোঠারিক। এ মামলার ওনাদের সকলেই আসামি করা হয়েছিল। তবে ‘পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে’ রায়ে বিচারক তাদের খালাস দিয়েছেন।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সলমন। গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত হরিণটিকে পড়েও থাকতে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি যে জিপসি গাড়িটি সলমন চালাচ্ছিলেন সেটিও দেখতে পান। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন তাঁরা। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা। এরপর বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী সালমান সহ সকলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর পরের ঘটনা সকলের প্রায় জানা। না জানা থাকলে জেনে নিন।

বাকি অংশ জানার আগে আমরা ওই বিখ্যাত হরিণটির সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই। কে সেই কৃষ্ণসার হরিণ?
১.২.. কৃষ্ণসার হরিণের পরিচিতি-
কৃষ্ণশার বা কৃষ্ণসার বা Blackbuck; এন্টিলোপ গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রকার হরিণবিশেষ। যার বৈজ্ঞানিক নাম: Antilope cervicapra।
১.৩. এদের আবাসস্থল কোথায়?
প্রধানতঃ ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে এদের আবাসস্থল। এছাড়াও, পাকিস্তানের কিছু অংশসহ নেপালে এদেরকে দেখা যায়, এছাড়াও আফ্রিকাতে সামান্য পরিমানে লক্ষ করা যায়। কয়েক যুগ আগে উত্তর-পূর্বাংশ ছাড়া ভারতের সর্বত্র কৃষ্ণসার ব্যাপক সংখ্যায় বাস করতো। কিন্তু বর্তমানে এরা বিলুপ্তির পথে যার ফলে মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে দেখতে পাওয়া যায়।
১.৪. কৃষ্ণসার হরিণের বৈশিষ্ট্যাবলী-
পুরুষ ও স্ত্রীজাতীয় কৃষ্ণসারের দেহকাঠামোর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন-
- পুরুষ কৃষ্ণসার ঘন বাদামী, কালো এবং সাদা রঙের হয়ে থাকে। এদের পেঁচানো শিং রয়েছে।
- অন্যদিকে স্ত্রীজাতীয় কৃষ্ণসারের কোন শিং নেই এবং ফন রঙের অধিকারী।
- কব হরিণের সাথে কৃষ্ণসারের বেশ মিল রয়েছে।
- এদের দেহের দৈর্ঘ্য: ১০০-১৫০ সেন্টিমিটার (৩.৩-৪.৯ ফুট);
- কাঁধের দৈর্ঘ্য: ৬০-৮৫ সে.মি (২-২.৭৯ ফুট);
- লেজের দৈর্ঘ্য: ১০-১৭ সে.মি. (৩.৯-৬.৭ ইঞ্চি) এবং
- ওজন: ২৫-৩৫ কেজি (৫৫-৭৭ পাউন্ড) হয়ে থাকে।
- একটি প্রভাববিস্তারকারী পুরুষজাতীয় কৃষ্ণসারের নিয়ন্ত্রণে থেকে ১৫ থেকে ২০টি স্ত্রীজাতীয় কৃষ্ণসার একত্রে থাকে।
- গতিবেগ ঘন্টায় ৮০ কিমি/ঘ (৫০ মা/ঘ) রেকর্ড করা হয়েছে।
- কৃষ্ণসার প্রধানতঃ ঘাস খেয়ে জীবনধারণ করে। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের বীজ, ফুল এবং ফল সহায়ক খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
- সর্বোচ্চ জীবনকাল ১৬ বছর এবং গড় আয়ু ১২ বছর।
এতক্ষনে আপনারা সকলের জেনে গিয়েছেন, কৃষ্ণসার হরিণ এক প্রকার ‘বিরল বা বিলুপ্ত প্রায়’ প্রানীর তালিকাতে রয়েছে। কিন্তু কি এই বিরল প্রানী? একে চিহ্নিত করা হয় কিভাবে? পৃথিবীর কোন প্রানী বিলুপ্তপ্রায় সেটি চিহ্নিত করবে কে? প্রশ্ন জাগতে পারে। তাই সমগ্র ব্যপারটি সংক্ষিপ্ত আকারে নিম্নে দেওয়া হল।
১.৫. আগে জানা যাক ‘সংরক্ষণ অবস্থা’ কী?
কোন একদল জীব পৃথিবীতে কি হারে বেঁচে আছে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা তাদের সংরক্ষণ অবস্থার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সাধারণত প্রজাতিকে একক ধরে সংরক্ষণ অবস্থা বিচার করা হয়। কেবলমাত্র জীবের মোট সংখ্যা বিবেচনায় এনে তাদের সংরক্ষণ অবস্থা বিচার করা হয় না। সময়ের সাথে সাথে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাসের হার, সফল প্রজননের হার, জীবনধারণের জন্য হুমকিসমূহ ইত্যাদি বিষয়ও বিবেচনায় আনা হয়।
১.৬. কারা ‘সংরক্ষণ অবস্থা’ প্রকাশ করে?
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের সংরক্ষণ অবস্থা প্রকাশ করার জন্য আইইউসিএন (IUCN) বিপদগ্রস্ত প্রজাতিসমূহের ‘লাল তালিকা’ একটি জনপ্রিয় ও স্বীকৃত তালিকা। IUCN বা International Union for Conservation of Nature and natural resources ১৯৬৩ সালে লাল তালিকাভুক্ত জীব প্রজাতিকে ১০টি শ্রেণিতে ভাগ করেছে। IUCN প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে ‘রেড ডেটা বুকে’ (Red Data Book)। IUCN এর ওই ১০টি শ্রেনি নিম্নরূপ-

১. বিলুপ্ত প্রজাতি ( Extinct Species বা Ex)- এদের কোনো প্রমাণিত অস্তিত্ব নেই। উদাহরণ- ডোডো পাখি, প্যাসেঞ্জার পায়রা, গোলাপি মাথা হাঁস প্রভৃতি।

২. বন্য অবস্থায় বিলুপ্ত (Extinct in Wild Species বা EW)- এরা বন্য পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে কিন্তু মানুষের হস্তক্ষেপে কিছু পরিমান বেঁচে রয়েছে। উদাহরণ- কিং ক্র্যাব

৩. ভীষণভাবে বিপন্ন প্রজাতি (Critically Endangered Specied বা Cr)- শেষ ১০ বছরে ৮০% জীব অবলুপ্ত হয়েছে এবং বন্য অবস্থা থেকে বিলুপ্ত। উদাহরণ- রেড পান্ডা, বন্য শূকর।

৪. বিপন্ন প্রজাতি (Endangered Species বা En)- এদের ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতে এই ধরণের প্রায় ১১৩টি উদ্ভিদ ও ৫৪টি প্রানী প্রজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণসার হরিণের নাম। অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে- বন্য গাধা, কস্তুরি মৃগ, মেরু চিতা, কুমির, মেছো কুমির, রাজ ধনেশ, সিন্ধু ইগল, সর্পগন্ধা, কলশপত্রী, সুন্দরী, গরান প্রভৃতি।

৫. বিপদ্গ্রস্ত প্রজাতি (Vulnerable Species বা Vu)- শেষ ১০ বছরে এরা ৫০% অবলুপ্ত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি হল- সোনালি হনুমান, শকুন, চড়াই, রডোডেন্ড্রন।

৬. প্রায় বিপদগ্রস্ত প্রজাতি (Near Threatened বা NT) – বিপন্ন, ভীষণ ভাবে বিপন্ন ও বিপদ প্রবণ প্রজাতির থেকে ভালো অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হতে পারে।
৭. নূন্যতম উদ্বিগ্ন প্রজাতি (Least Concern Species বা LC)- যে সকল প্রজাতি বন্য জগতে সংখ্যা খুব বেশি এবং বিপন্নতা খুব কম, তারা এই বিভাগে অবস্থান করছে।
৮. স্বল্প জ্ঞাত প্রজাতি (Insufficiently Known Species বা K)- এই শ্রেনির প্রজাতি গুলি তথ্যের অভাবে আগের শ্রেনি গুলির মত কোনোটিতেই অন্তভুক্ত করানো যায়নি।
৯. অনির্ধারিত প্রজাতি (Indeterminate বা I)- যে সব প্রজাতির বিপন্ন মাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, তাদের অনির্ধারিত প্রজাতি বলে।
১০. বিরল প্রজাতি (Rare Species বা R)- এদের পরিমান স্বল্প এবং বর্তমানে বিপন্ন নয়। যেমন- ঘড়িয়াল, হিমালয়ান স্যালামাডার।
এবার নিশ্চই ধারণাটা আরও পরিষ্কার হয়ে গেলো আপনাদের যে, কৃষ্ণসার হরিণ একটি বিলুপ্তিপ্রায় প্রজাতি।অর্থাৎ En- শ্রেনিতে রয়েছে।যাকে বর্তমানে সংরক্ষন করা হচ্ছে বিভিন্ন আইনের মাধ্যমে। কিন্তু এই হরিণ এর সাথে কোন এক শ্রেনির সামাজিক সম্পর্ক রয়েছে যার জন্য সালমান কে আরও কঠোর প্রতিরোধের মূখে পরতে হয়েছে। ব্যপারটা যেনে নেওয়া যাক তাহলে।
১.৭. বিশনয় সম্প্রদায় ও এদের আচার আচরণ-
কোঙ্কনি গ্রামে বসবাস করে এই সম্প্রদায়। ভগবান বিষ্ণুর পূজারি হল বিশনয় সম্প্রদায়। এরা কয়েক শ’ বছর ধরে ২৯টি সামাজিক রীতি অক্ষরে অক্ষরে মানার চেষ্টা করে এবং এরা যুগ যুগ ধরে তা মেনেও চলেছে।এদের রীতির মোদ্দা কথা হল – প্রকৃতির সুরক্ষা করা, বৃক্ষ রক্ষা করা, জঙ্গলের উদ্ভিদ-প্রাণী রক্ষা। কৃষ্ণসার হরিণকে বিশনয় সম্প্রদায় পবিত্র হিসাবে গণ্য করে। এই হরিণকে তারা ভগবান হিসাবে পূজা করে। প্রাচীন হিন্দু পুরানের এই কৃষ্ণহরিণের উল্লেখ রয়েছে যে এরা ভগবান শ্রী কৃষ্ণের রথ টানত।

মনের বিশ্বাস এবং ভক্তির কারণেই প্রভাবশালী বিশনয় সম্প্রদায় ২০ বছর ধরে সালমানের বিরুদ্ধে এই মামলা লড়ে গিয়েছে। অবশেষে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতে তারা এই মামলায় জয়ী হয় যার ফলস্বরূপ বলিউডের ভাইজান সালমান খানের ৫ বছর জেল হয়। বাকি ঘটনা ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে নীচে তুলে ধরা হল।

১.৮. একনজরে দেখে নেওয়া যাক সমগ্র ঘটনার ধারাক্রম-
এপ্রিল ৭, ২০১৮; ৫০,০০০ হাজার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়ে আপাতত মুক্ত সলমান খান।
এপ্রিল ৫, ২০১৮: সালমান খান ২০ বছর পর কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন এবং পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়। বলিউড সুপারস্টার সলমন খানকে দু’রাত জোধপুর জেলের কয়েদি নম্বর ১০৬ হিসেবে কাটাতে হয়েছিল।

মার্চ ২৪, ২০১৮: চূড়ান্ত শুনানির কাজ শেষ।
জানুয়ারি ২০১৮: যোধপুর কোর্টে চূড়ান্ত শুনানিতে হাজির হন সালমান খান।
অক্টোবর ২৮, ২০১৭: অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শুনানি শুরু।
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭: অভিযোগকারী ও সাক্ষীদের চূড়ান্ত সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু।
জানুয়ারি ২৭, ২০১৭: অভিযুক্তদের সবাইকে আদালতে হাজির হয়ে বয়ান দাখিল করতে বলা হয়।
জানুয়ারি ১৩, ২০১৭: প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করার কাজ শেষ।
অক্টোবর ১৯, ২০১৬: ১৮ বছর আগের মামলায় সালমানকে আত্মসমর্পণ ও জেলে নেওয়ার দাবি করে রাজস্থান সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করে।
জুলাই ২৫, ২০১৬: কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় সালমান খানকে রাজস্থান হাইকোর্ট খালাস দেয়।
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৪:মামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের মেয়াদ সম্পর্কে সাক্ষ্য নিতে মুম্বাই জেলা পুলিশ কমিশনার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেন সালমান।
নভেম্বর ২০১৪: সালমানকে যুক্তরাজ্যের ভিসা দেওয়ার হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজস্থান সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
নভেম্বর ৫, ২০১৪: সালমান খান তার আপিলে সুপ্রিম কোর্টের কাছে যুক্তরাজ্যে ভিসা পেতে সুযোগ চান।
১৩ই নভেম্বর, ২০১৩: রাজস্থান হাইকোর্ট যেহেতু সাজা স্থগিত করেছে, সে জন্য শুটিংয়ের জন্য যুক্তরাজ্যে ভিসা পাওয়ার একটা সুযোগ চাওয়া হয়।
আগস্ট ২০১৩: দোষী সাব্যস্ত থাকায় যুক্তরাজ্যের ভিসা দেওয়া হয় না।
ডিসেম্বর ২০১২: আবার চার্জশিট দাখিলের আদেশ রাজস্থান হাইকোর্টের।বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৯/৫১ ধারায় আসামি করে নতুন চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আগস্ট ৩১, ২০০৭: রাজস্থান হাইকোর্ট সালমানের সাজা স্থগিত করে। এবং সালমান খান অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলেও আদেশ দেয়।
আগস্ট ২৪, ২০০৭: সেশন কোর্টে সালমান খানের আবেদন খারিজ এবং আগের রায় বহাল।
এপ্রিল ১০, ২০০৬:হরিণ হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছরের জেল দেওয়া হয়। সঙ্গে ৫ হাজার রুপি জরিমানা।
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০০৬: আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
নভেম্বর ৯, ২০০০: মামলাটি যোধপুরের বিভাগীয় বিচারকের আদালতে ওঠে।
অক্টোবর ১২, ১৯৯৮: এই মামলায় গ্রেফতার হন সালমান খান এবং পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যেই জামিনে মুক্ত হন।
অক্টোবর ২, ১৯৯৮: হরিণ হত্যায় সালমান খান, সাইফ আলি খান, নীলম, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে, ট্র্যাভেল এজেন্ট দুশমন্ত সিং ও দীনেশ গাওরের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
সেপ্টেম্বর ২৮, ১৯৯৮: যোধপুরের ঘটনার দুই দিন পর আবারও আরেকটি হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে।
সেপ্টেম্বর ২৬, ১৯৯৮: যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে গিয়ে হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে সালমান খান, সাইফ আলি খান, নীলম, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে, দুশমন্ত সিং ও সালমানের সহকারী দীনেশ গাওরের বিরুদ্ধে।
তথ্য সংগ্রহে- Students Care :: স্টুডেন্টস কেয়ার
তথ্য সূত্র-
উইকিপিডিয়া
সংবাদ প্রতিদিন
IUCN
United Nation
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও
আনন্দবাজার পত্রিকা)