রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন পুরুলিয়ার গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র
রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন পুরুলিয়ার গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র
পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র শিক্ষক হিসাবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন পুরুলিয়ার গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র । আজ আমরা গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নানান কৃতিত্বগুলি সকলের সাথে ভাগ করে নেবো।
♦ সংক্ষেপে পুরুলিয়া জেলা পরিচিতি-
পুরুলিয়া জেলা ভারত প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুর বিভাগে অবস্থিত একটি জেলা। জেলাসদর পুরুলিয়া। পশ্চিমবঙ্গের সর্বপশ্চিমে অবস্থিত জেলা। দক্ষিণে ২২º৪৩′ উত্তর অক্ষাংশ থেকে উত্তরে ২৩º৪২′ উত্তর অক্ষাংশ এবং পশ্চিমে ৮৫º৪৯′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে পূর্বে ৮৬º৫৪′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে এই জেলা অবস্থিত। জেলার মোট ভৌগোলিক আয়তন ৬২৫৯ বর্গ কিলোমিটার (পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বৃহত্তম জেলা)। বিধানসভা কেন্দ্র গুলি হল-বলরামপুর, বান্দোয়ান, পাড়া, রঘুনাথপুর, কাশীপুর, হুড়া, মানবাজার, আর্দ্রা, ঝালদা, জয়পুর, পুরুলিয়া। পুরুলিয়া জেলার চারটি মহকুমা রয়েছে। মহকুমাগুলি হল- পুরুলিয়া সদর, ঝালদা, রঘুনাথপুর, এবং মানবাজার।
♦ পুরুলিয়া গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচিতি
পুরুলিয়ার মানবাজার ১ ব্লকের গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৬২ সালে। বাংলা মিডীয়ামের কোয়েড স্কুল।
পুরুলিয়া গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিকানা হল-
Vill-Gobindapur
Po Kantadih
Ps-Arsha
Dist-Purulia, Arsha,
Purulia – 723201
রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন পুরুলিয়ার গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র. । এবছর বাংলার মধ্যে একমাত্র তিনিই পাচ্ছেন এই সান্মানিক জাতীয় পুরস্কার। কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, রাজ্যের এত স্কুল থাকতে কেনই বা এই প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলটির এক শিক্ষক পাচ্ছেন এই পুরস্কার? কি কারণ রয়েছে এর পেছনে? এর উওর পাওয়ার জন্য আমাদের কয়েক বছর আগে ফিরে গিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে।
এই সেই গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, যে স্কুলে পুরুলিয়া জেলার মধ্যে প্রথম কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হয়েছিল। অর্থাৎ স্কুলে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে আলো এবং পাখা চলার ব্যাবস্থা রয়েছে। এর সাথে সাথে স্কুলের পড়ুয়াদের মিড ডে মিল রান্নার জন্য এলপিজি গ্যাসের সংযোগ ব্যাবস্থাও রয়েছে এই স্কুলে।
পুরুলিয়া জেলার গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কৃতিত্ব এখানেই শেষ নয়, গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে স্কুলের সাফল্য নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছে ইউনিসেফ (UNICEF : United Nations International Children’s Emergency Fund) । গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে নির্মল বিদ্যালয়, ২০১৪ সালে শিশু মিত্র এবং ২০১৬ সালে যামিনী রায় প্রভৃতি রাজ্য সরকারের পুরস্কার একের পর এক পেয়েছে। এমনকী, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ বিদ্যালয় পুরস্কারের সম্মানও পেয়েছে। ওরা কিন্তু ওদের কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। শুধু স্কুলের মধ্যেই নয়, পড়ুয়ারা বাড়িতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে কি না, তাও শিক্ষকেরা নজরে রাখেন। একটা স্কুল গ্রামে তথা সমাজজীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পেরেছে, তা ওই স্কুলের পরিবেশে না এলে আপনি অনুভব করএ পারবেন না!

কিন্তু যদি আমরা বর্তমান দিন হেকে ১২ থেকে ১৩ বছর আগে ফিরে যাই তাহলে বিদ্যালয়ের চিত্রটা ছিল ভিন্নরূপের। তফসিলি প্রধান গ্রাম গোবিন্দপুরের স্কুলটি বছর ১২ আগে ছিল টালির ছাদ। পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক থাকলেও স্কুলে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল নগন্য। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে আসার পর অমিতাভ মিশ্র পুরো চিত্রটা বদলে দিয়েছেন। স্কুলের প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘‘১১৮ জন পড়ুয়ার মধ্যে দৈনিক ১১২-১১৫ জন পড়ুয়া স্কুলে উপস্থিত থাকে।’’ এক নজরে আপনারাই দেখে নিন স্কুলের কিছু চিত্র-




যেটুকু তথ্য আমরা বিভিন্ন সামাজিক গনমাধ্যমের মারফৎ পেলাম সেটুকু আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার- সকল ছবিগুলি আমরা সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকের সৌজন্যে পেয়েছি। প্রকৃত সূত্র আমরা জানতে পারলাম না। আপনাদের মধ্যে যদি কারও এই ছবিগুলির প্রকৃত সূত্র জানা থাকে তাহলে দয়াকরে আমাদের ফেসবুক পেজে জানাবেন এছাড়া মেল করবেন [email protected] আমরা তা উল্লেখ করে দেওয়ার প্রতি দায়বদ্ধ।
—সমাপ্ত—
Tag- গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরুলিয়া জেলা,অমিতাভ মিশ্র, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন পুরুলিয়ার গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র