প্রাথমিকে চাকরি হারানোর আশঙ্কা এই সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের!
বর্তমানে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রস্তুতির মধ্যেই শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ দুর্ণিতি নিয়ে অনেক জলঘোলা চলছে। জেলায় জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাদের চিহ্নিত করে ছাঁটাইয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকে চাকরি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে বহু শিক্ষক শিক্ষিকাদের!
মহামান্য আদালতের নির্দেশে এই বিষয়ে বৈঠকে বসেছে শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষা দপ্তর সূত্রের খবর প্রত্যেকের নিয়োগের নথি আবারও ভালো করে খতিয়ে দেখা হবে।
২০১৪ এবং ২০১৭ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বহু মামলা এখন হাইকোর্টে চলমান রয়েছে। এরই মাঝে শোনা যাচ্ছে প্রত্যেকে শিক্ষাগত শংসাপত্র এবং ওএমআর শিট ভালো করে খতিয়ে দেখা হবে।
নিয়মের অনিয়ম রূখতে শিক্ষা দপ্তর প্রত্যের ডিএলএড বা বিএড এর শংসাপত্র ভালো করে খতিয়ে দেখবে। খতিয়ে দেখা হবে চাকরি প্রাপ্যকের ওএমআর শিট, টেট সার্টিফিকেট, ট্রেনিং এর শংসাপত্রগুলি।
অভিযোগ উঠেছে প্রচুর শিক্ষক শিক্ষিকা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কলেজ থেকে ট্রেনিং শংসাপত্র কিনে ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তাদের চিহ্নিত করাই একমাত্র উদ্দেশ্য বলে জানা যাচ্ছে।
এমনকি সাদা খাতা জমা করে টাকার বিনিময়ে বহুজন চাকরি পেয়েছে বলে মনে করছেন মামলাকারীরা। তাদের চিহ্নিত করে ছাঁটাই শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কি কি নথি খতিয়ে দেখা হবে
- প্রত্যেকের ওএমআর শিট গুলি দেখা হবে
- টেট পরীক্ষার ফলাফলের সাথে মোট নম্বর মিলিয়ে দেখা হবে।
- ডিএলএড এর শংসাপত্র গুলি বৈধ কিনা খতিয়ে দেখা হবে
- কারা কারা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি করছে তাদের চিহ্নিত করা হবে।
- জেলার জেলার সকল বেআইনি ভাবে চাকরি করা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চিহ্নিত করা হবে
তাই বলাই যায় চাকরি যাওয়া শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কালীপুজা পর্যন্ত কতজনকে চিহ্নিত করা যায় সেই দিকে এখন সবার নজর রয়েছে।