জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 | National Education Policy 2020
জাতীয় শিক্ষানীতি 2020
২৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদীর পৌরহিত্যে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুমােদন করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষা স্তরে বিপুলভাবে সংস্কারের সুযােগ তৈরি হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে এটিই প্রথম শিক্ষানীতি, ৩৪ বছর আগে ১৯৮৬-র শিক্ষারওপর জাতীয় নীতির পরিবর্তে এটি কার্যকর হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশ, সমদর্শীতা, গুণমান, আয়ত্বের মধ্যে পঠন-পাঠনের সুযােগ এবং দায়বদ্ধতা এগুলির ওপর ভিত্তি করে এই নীতি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ধ্বনি পরিবর্তনের নিয়ম ও তালিকা
স্কুল শিক্ষায় সর্বস্তরে সর্বজনীন প্রবেশ নিশ্চিত করা :
পরিকাঠামােগত পরিবর্তন ও উদ্ভাবনী শিক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে। স্কুল ছাত্রছাত্রীদের মূল ধারায় নিয়ে আসা হবে। শিক্ষালাভের মাত্রার মূল্যায়ণ, প্রথাগত এবং প্রথা বহির্ভূত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা, পরামর্শদাতা অথবা সুশিক্ষিত সমাজকর্মীদের বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মত-বিনিময়ের সুযােগ সৃষ্টি করা, তৃতীয়, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির জন্য এনআইওএস এবং রাজ্য মুক্ত বিদ্যালয়গুলির মধ্যে মুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির সমতুল পর্ষদ শিক্ষাসূচী, কারিগরি পাঠক্রম, বয়স্ক স্বাক্ষরতা এবং জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থাপনা এই শিক্ষানীতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।
শৈশব থেকেই বিজ্ঞানসম্মত পাঠক্রম ও শিক্ষানীতি:
শৈশবের শুরুতে শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য ১০ + ২ শিক্ষা কাঠামাের । পরিবর্তে ৫ + ৩ + ৩ + ৪ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। এরফলে ৩ থেকে ৮, ৮ থেকে ১১, ১১ থেকে ১৪ এবং ১৪ থেকে ১৮ বছর ধাপ অনুযায়ী শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
এই ব্যবস্থায় ৩ থেকে ৬ বছরের শিশুদের বিদ্যালয় ব্যবস্থায় নিয়ে আনা সম্ভব হবে। নতুন ব্যবস্থায় ১২ বছর বিদ্যালয় শিক্ষার আগে ৩ বছর অঙ্গনওয়াড়ি বা প্রাক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা থাকছে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের যৌথ পরিচালনায় ৮ বছর পর্যন্ত শিশুদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে অঙ্গনওয়াড়ি ও প্রাক বিদ্যালয়গুলিকে শক্তিশালী করা হবে, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মূল স্বাক্ষরতা এবং গণনা বিদ্যা অর্জন :
স্বাক্ষরতা এবং গণনা বিদ্যাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক একটি ন্যাশনাল মিশন অন ফান্ডামেন্টাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউম্যারেসি গড়ে তুলবে।
বিদ্যালয় শিক্ষার পাঠক্রম এবং শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার :
একবিংশ শতাব্দীর সময়ােপযােগী সার্বিক বিকাশের উদ্দেশ্যে বর্তমান পাঠক্রমকে হ্রাস করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও জটিল বিষয় নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যেন চিন্তাভাবনা করতে পারে তার জন্য বিভিন্ন বিষয় প্রয়ােগের ওপর জোর দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীরা বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুযােগ পাবে। তাদের বিষয় পরিবর্তনের সুবিধা দেওয়া হবে।
বহুভাষিকতা এবং ভাষার শক্তি:
এই শিক্ষানীতি অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেরি পর্যন্ত মাতৃভাষা/স্থানীয় ভাষা আঞ্চলিক ভাষার মাধ্যমে লেখাপড়া করানাের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভারতের ভাষা সমূহ’-এর আওতায় একটি প্রকল্পে অংশ নেবে—এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত ‘উদ্যোগে এই প্রকল্প কার্যকর হবে। দেশজুড়ে ভারতীয় সংকেত ভাষার (সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ) একটিই সংস্করর তৈরি করা হবে।
মূল্যায়নের সংস্কার :
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে সংকলিত মূল্যায়ণ ব্যবস্থার পরিবর্তে গঠনমূলক মূল্যায়ণ চালু করা হবে। ছাত্রছাত্রীরা তৃতীয়, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে বিদ্যালয়ের পরীক্ষা বসবে। দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে পর্ষদ পরীক্ষা নিলেও পারফরমেন্স অ্যাসেসমেন্ট, রিভিউ অ্যান্ড অ্যানালিসিস অফ নলেজ ফর হলিস্টিক ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান ও অধীত বিদ্যার মূল্যায়ণ করা হবে।
সমদর্শী ও সমন্বিত শিক্ষা :
জন্মগত, সামাজিক ও আর্থিকভাবে পশ্চাদপদ গােষ্ঠীলিঙ্গ, আর্থ-সামাজিক এবং ভৌগলিক পরিচিতির কারণে পিছিয়ে পড়া কোনাে গােষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সাধারণ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে পারবে। প্রয়ােজনে তাদের জন্য স্পেশাল এডুকেটর, রিসাের্স সেন্টার, সহায়ক যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবস্থা থাকবে।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ােগ সহ বৃত্তিমূলক ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ উদ্যোগ:
স্বচ্ছতার সঙ্গে বলিষ্ঠভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ােগ করা হবে। তাদের পদোন্নতি মেধার ভিত্তিতে করা হবে। এরজন্য তাঁদের পারফরমেন্স নির্দিষ্ট সময় অন্তর মূল্যায়ণ করা হবে। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন, শিক্ষকদের পেশাগত মান বজায় রাখার জন্য দেশজুড়ে একটি অভিন্ন ব্যবস্থাপনা ২০২২ সালের মধ্যে চালু করবে।
২০৩৫ সালের মধ্যে জিইআর বৃদ্ধি :
উচ্চশিক্ষার জন্য একটিই নিয়ন্ত্রক। আলাদাভাবে থাকবে না ইউজিসি, এআইসিটিই। মানের নিরিখে বহু কলেজকে পরিচালন স্বাধীনতা। উচ্চশিক্ষায় আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য গ্রস এনরােলমেন্ট রোশ (জিইআর) বাড়ানাে হবে। এরমধ্যে কারিগরি শিক্ষাও অন্তর্গত।
সর্বাঙ্গীন বহুস্তরীয় শিক্ষা ব্যবস্থা।
বিভিন্ন বিষয় বাছাই করার ক্ষেত্রে নানা সুযােগ সুবিধের পাশাপাশি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকেও যুক্ত করা হবে| ছাত্রছাত্রীরা বহুস্তরীয় পদ্ধতিতে স্নাতক স্তরে তিন বা চার বছরের পাঠক্রমে এক বছর পড়াশােনার পর সার্টিফিকেট, দুবছর পড়াশােনার শেষে অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা, তিন বছর পড়াশােনর পর স্নাতক এবং চার বছর শেষে সরাসরি পিএইচডি-র সুযােগ-সহ স্নাতক ডিগ্রি পাওয়া যাবে। চাকরিমুখী হলে তিন বছরই যথেষ্ট। একইভাবে স্নাতকোত্তরও ১/২ বছরের। থাকবেনা এম-ফিল।
ব্যবস্থাপনা :
উচ্চশিক্ষার জন্য হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (এইচসিআই) গঠন করা হবে। এইচসিআই-এর অধীনে ৪টি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান থাকবে। ব্যবস্থাপনার জন্য ন্যাশনাল হায়ার এডুকেশন রেগুলেটরি কাউন্সিল, মান নির্ধারণের জন্য জেনারেল এডুকেশন কাউন্সিল, তহবিল যােগানের জন্য হায়ার এডুকেশন গ্রান্ডস কাউন্সিল এবং স্বীকৃতিদানের জন্য ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গড়ে তােলা হবে। বেসরকারি এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এই নিয়ম মেনে পরিচালিত হবে। কলেজগুলির স্বীকৃতি প্রতি ১৫ বছর পর পর মূল্যায়ণ করা হবে।
উৎসাহপ্রদানকারী দক্ষ-শিক্ষক-শিক্ষিকা :
উৎসাহপ্রদানকারী দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র পাঠদানই করবেন না, তাঁদের দায়বদ্ধতার দিকটিও নিশ্চিত করা হয়েছে।
শিক্ষক শিক্ষিকাদের শিক্ষা :
এনসিআরটি-র সঙ্গে পরামর্শক্রমে একটি নতুন ও সর্বাত্মক ব্যবস্থা গড়ে তােলা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ন্যূনতম যােগ্যতা হিসেবে ৪ বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হবে।
মেন্টারিং মিশন :
ন্যাশনাল মিশন ফর মেন্টারিং তৈরি করা হবে। এই মিশনে প্রথিতযশা প্রবীণ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদরা যুক্ত থাকবেন। ভারতীয় ভাষায় পাঠদান করতে পারবেন। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকশিক্ষিকাদের স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন উদ্যোগে সাহায্য করবেন।
মুক্ত ও দূরশিক্ষা :
অনলাইনের মাধ্যমে পাঠক্রম, গবেষণার জন্য অর্থের সংস্থান, ছাত্রছাত্রীদের পরিষেবা বৃদ্ধি, ক্রেডিট ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই ব্যবস্থায় সর্বোচ্চমানের শিক্ষাদান নিশ্চিত করা হবে।।
অনলাইন ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান :
যেখানে প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকার সামনে পাঠদান সম্ভব। নয় সেখানেই এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
বৃত্তিমূলক শিক্ষা :
উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সমস্ত বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে যুক্ত করতে হবে। বিভিন্ন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়, আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বহু বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।
শিক্ষায় অর্থে সংস্থান :
শিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়ােগের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি একযােগে কাজ করবে। দেশের মােট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৬ শতাংশ যাতে এই ক্ষেত্রে বিনিয়ােগ করা যায় সেটি নিশ্চিত করা হবে।
প্রায় আড়াই লক্ষ পঞ্চায়েত, ৫ হাজার ৬০০ টি ব্লক, ৬ হাজার পুরসভা ও ৬৭৬টি জেলা থেকে ২ লক্ষের বেশি পরামর্শ গ্রহণ করে এক অভূতপূর্ব পদ্ধতিতে জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ তৈরি করা হয়েছে।
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ব্যাপক, সর্বাত্মক এবং যত বেহি সম্ভব পরামর্শ নেওয়ার জন্য ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই কাজ শুরু করেছিল। প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব স্বর্গীয় টিএসআর সুহ্মমনিয়ামের নেতৃত্বে কমিটি ফর রিভলিউশন অফ দ্য নিউ এডুকেশন পলিসি এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন ২০১৬-র মে মাসে জমা দেয়।
তার ওপর ভিত্তি করে মন্ত্রক জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১৬-র খসড়া তৈরি করেছিল। পরবর্তীতে ২০১৭-র জুন মাসে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী পদ্মবিভূষণ ড: কে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করা হয়। এই কমিটিও জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া তৈরি করেছে।
২০১৯-এর ৩১ মে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয় মন্ত্রীর কাছে কমিটি তার প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর মন্ত্রকের ওয়েবসাইটও মাই গভ ইনােভেট পাের্টালে সেই খসড়াটি আপলােড করা হয়েছিল। সেখানে শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা ছাড়াও জনসাধারণ এই খসড়া নীতির প্রয়ােজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী পর্যায়ে শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ:
- স্বাধীন ভারতে স্থাপিত প্রথম শিক্ষা সংক্রান্ত কমিশন হল ইউনিভার্সিটি এডুকেশন কমিশন, যা ১৯৪৮ সালে ও সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের চেয়ারম্যাপনশিপে গঠিত হয়েছিল।
- দ্বিতীয় শিক্ষা সংক্রান্ত কমিশন হল সেকেন্ডারি এডুকেশন কমিশন যা ১৯৫২ সালে ডঃ এ লক্ষনস্বামী মুদালিয়ারের চেয়ারম্যানশিপে গঠিত হয়েছিল।
- ১৯৬৪ সালে ডঃ কোটারির চেয়ারম্যানশিপে গঠিত হয় ইন্ডিয়ান এডুকেশন কমিশন, যা কোটারি কমিশন নামে পরিচিত।
- কোটারি কমিশনের সুপারিশ দ্বারা তৈরি করা হয় ১৯৬৮ সালের ন্যাশনাল পলিশি অন এডুকেশন। এই পলিশি ‘তিনটি ভাষার ফর্মুলা দেওয়ার জন্য প্রবল সমালােচনার সম্মুখীন হয়।
- ১৯৮৬ সালের ন্যাশনাল পলিশি অন এডুকেশন এর মাধ্যমে দিল্লিতে স্থাপন করা হয় ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি।
- ১৯৯২ সালের ন্যাশনাল প্রােগ্রাম অফ অ্যাকশনের সুপারিশ মাধ্যমে ১৯৯২ এর ন্যাশনাল পলিশি অন এডুকেশন গঠিত হয়।
- ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি এডুকেশন প্রােগ্রাম চালু করা হয় ১৯৯৩-৯৪ সালে।
- ২০০০-২০০১ সালে শুরু হয় অপারেশন এডুকেশন ফর অল বা সর্বশিক্ষা অভিযান।
- ১ এপ্রিল, ২০১০ থেকে লাগু হয় রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট। এর মাধ্যমে ৬-১৪ বছর বয়সি সমস্ত শিশুরা বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষা পাবে।
জাতীয় শিক্ষা নীতি PDF Download
Source:
- অ্যাচিভার্স মাসিক পত্রিকা
- উইকিপিডিয়া
- www.education.gov.in