বি-উপনিবেশীকরণ বা অব-উপনিবেশীকরণ কি ? এর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক তাৎপর্য কি?
আজকে ২০১৮ সালের উচ্চমাধ্যমিকে ইতিহাস বিষয়ে আসা বড়ো প্রশ্নের উত্তর গুলি নিয়ে আলোচনা করা হল। আজকের প্রশ্ন হল বি-উপনিবেশীকরণ বলতে কি বোঝায় ? এর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। উত্তরটি নিচে দেওয়া হল-
বি-উপনিবেশীকরণ বলতে কি বোঝায় ? এর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো
উঃ
উপনিবেশ কাকে বলে?
যখন কোনাে শক্তিশালী রাষ্ট্র তার অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির জোরে এক বা একাধিক দুর্বল রাষ্ট্রের ওপর নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, তখন দুর্বল রাষ্ট্রটিকে শক্তিশালী রাষ্ট্রটির উপনিবেশ (Colony) বলা হয়। একটি উপনিবেশের উদাহরণ হল, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে প্রায় ২০০ বছর ব্যাপী ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতবর্ষ।
বি-উপনিবেশীকরণ বা অব-উপনিবেশীকরণ কি?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় সাম্রাজ্যবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিভিন্ন দেশের আত্মপ্রকাশ হওয়ার ঘটনাকেই অব-উপনিবেশীকরণ (Decolonisation) বলা হয়।
Spring Hall তাঁর ‘Encyclopedia of social science‘-এর সাম্রাজ্যবাদ শীর্ষক অংশে অব-উপনিবেশবাদ বলতে বুঝিয়েছেন, ভূতপূর্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কর্তৃক উপনিবেশগুলির রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব সমর্পণ অথবা সার্বভৌম ক্ষমতা সাম্রাজ্যের হাত থেকে জাতি রাষ্ট্রগুলির হাতে সমর্পণ করা। অব-উপনিবেশীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যে ক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদী শাসক তাদের ঔপনিবেশিক ক্ষমতা ও প্রতিপত্তিকে প্রত্যাহার করে নেয়।
এককথায় উপনিবেশবাদের বা ঔপনিবেশিক নীতির বিপরীত হল বি-উপনিবেশবাদ বা অব-উপনিবেশীকরণ। যখন কোনো মাতৃদেশ বিভিন্ন কারণে তার উপনিবেশগুলিকে একে একে স্বাধীনতাদানের নীতি গ্রহণ করে তখন তাকে বি-উপনিবেশিকরণ বা Decolonisation বলে।
কে ‘অব-উপনিবেশীকরণ’ (Decolonisation) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন?
জার্মান বিশেষজ্ঞ মরিৎস জুলিয়াস বন ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম Decolonisation বা অব-উপনিবেশীকরণ’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
অব-উপনিবেশিকরণের প্রক্রিয়া আধুনিক বিশ্ব তথা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাসে এক নতুন যুগ সূচিত করেছিল।
এর পরিণতিতে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের পর মাত্র ৩৫ বছরের মধ্যে অসংখ্য পরাধীন দেশ ও উপনিবেশ ক্রমে ঔপনিবেশিক শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সমগ্র মানবসভ্যতার ইতিহাসে অব-উপনিবেশিকরণের মতো এত দ্রুততার সঙ্গে কোনো বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়নি।
অব-উপনিবেশীকরণের ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা:
অব-উপনিবেশীকরণের তিন ধরনের ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, যেমন
(১) জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গী :
এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী দেশজ প্রতিরোধ এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার মাধ্যমে উপনিবেশগুলি স্বাধীনতা লাভ করে। সাম্রাজ্যবাদীরা নিপীড়নের সঙ্গে আপোস নীতি গ্রহণ করে। তাঁরা পরিকল্পিতভাবে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটায় বলে মনে করা হলেও এজাতীয় পদক্ষেপ ছিল অনিবার্য। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ভারতে নিপীড়ন থেকে আপোষ নীতিতে উত্তরণ ঘটেছিল।
(২) আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট ও অব-উপনিবেশীকরণ :
এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে যে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাতে ঔপনিবেশিক কৰ্তৃত্ব বজায় রাখা কার্যত দুরূহ হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে আটলান্টিক চার্টারে (১৯৪১ খ্রি.) উপনিবেশগুলিকে স্বাধীনতা দেওয়ার উল্লেখ এবং ১৯৬০ সালের সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ঔপনিবেশিক শাসনকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করার কথা উল্লেখ করা যায়।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির দুর্বল হয়ে পড়া এবং পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত এলিটগোষ্ঠীর স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনও অব-উপনিবেশীকরণের পথ প্রশস্থ করে।
(৩) আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতা :
এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আভ্যন্তরীণ বাধ্যবাধকতা ও জাতীয় স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে উপনিবেশগুলি অর্থনৈতিক, সামরিক ও আন্তজাতিক দিক থেকে অর্থহীনও বোঝাতে পরিণত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পৃথিবী থেকে পশ্চিমি সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশগুলির পতন ঘটতে থাকে এবং বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক তাৎপর্য লক্ষ করা যায়।
অব-উপনিবেশীকরণের সামাজিক তাৎপর্য
১। বর্ণবৈষম্যবাদের গতিরোধ :
ঔপনিবেশিক শাসনকালে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন উপনিবেশের বাসিন্দারা বর্ণবৈষম্যবাদের শিকার হয়েছিল। শ্বেতাঙ্গ শাসকদের সঙ্গে শাসিত কৃয়াঙ্গ জনগোষ্ঠীর বিস্তর ব্যবধান ও অসাম্য সৃষ্টি হয়েছিল।
কিন্তু অব-উপনিবেশীকরণের ফলে জাতিবৈরিতা ও বর্ণবৈষম্যবাদের গতি রুদ্ধ হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকা, রোডেশিয়া থেকে ক্রমে বর্ণবৈষম্যবাদ বিদায় নিতে থাকে।
২। অস্থির পরিস্থিতির উদ্ভব :
কিছু কিছু উপনিবেশ, বিশেষ করে আফ্রিকার বেশ কিছু উপনিবেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে এবং অভ্যন্তরীণ বিভেদ-দ্বন্দ্বে এতটাই দুর্বল ছিল যে, তারা স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত ছিল না।
এই পরিস্থিতিতে তারা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করলেও দেশে সঠিক সুস্থ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব গৃহযুদ্ধের দিকে মোড় নেয়।
৩। এলিট গোষ্ঠীর শক্তিবৃদ্ধি :
ঔপনিবেশিক শক্তি বিদায় নেওয়ার পর সদ্য-স্বাধীন বহু রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা সেদেশের শিক্ষিত ও ধনী এলিট গোষ্ঠীর করায়ত্ত হয়। তারা দেশে নিজ গোষ্ঠীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। দেশের সাধারণ দরিদ্র মানুষের সঙ্গে এই সমস্ত গোষ্ঠীর সামাজিক স্তর ও অর্থনৈতিক সামর্থ্যের বিস্তর পার্থক্য ছিল।
অব-উপনিবেশীকরণের রাজনৈতিক তাৎপর্য
১। তৃতীয় বিশ্বের উত্থান :
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বহু উপনিবেশ বিদেশি সাম্রাজ্যবাদের শাসনমুক্ত হয়, অর্থাৎ অব-উপনিবেশীকরণ ঘটে। এর ফলে এইসব মহাদেশের অন্তর্গত বিভিন্ন দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। সদ্য-স্বাধীন এইসব দেশতৃতীয় বিশ্ব নামে পরিচিত।
তৃতীয় বিশ্বের এই দেশগুলি পৃথিবী থেকে উপনিবেশবাদ ও বর্ণবৈষম্য দুর করতে যথেষ্ট উদ্যোগী হয়ে ওঠে। তারা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্যপদ গ্রহণ করে এবং উপনিবেশবাদ ও বর্ণবৈষম্য দূর করতে জাতিপুঞ্জের সাহায্য নেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে জাতিপুঞ্জের ১৭৯টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১০০টি সদস্য রাষ্ট্রই ছিল সদ্য-স্বাধীন। তৃতীয় বিশ্বের উত্থানের ফলে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের পরিধি, কার্যাবলির যথেষ্ট প্রসার ঘটে ও তার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
(২) জাতিভিত্তিক নতুন বিশ্বব্যবস্থার উদ্ভব :
অব-উপনিবেশীকরণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে বিশ্বের রাজনৈতিক কাঠামো গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অব-উপনিবেশীকরণের ফলে পুরোনো ইউরোপীয় সাম্রাজ্যগুলির অধীনতা ছিন্ন করে জাতিভিত্তিক ক্ষুদ্র-বৃহৎ অসংখ্য রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ফলে নতুন রাজনৈতিক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
(৩) সাম্রাজ্যবাদের গতিরোধ :
অব-উপনিবেশীকরণের ফলে সাম্রাজ্যবাদী অধীনতা ছিন্ন করে অসংখ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের উত্থান ঘটে। সদ্য-স্বাধীন এসব রাষ্ট্র দীর্ঘকাল ধরে সাম্রাজ্যবাদের কুফল ভোগ করার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সাম্রাজ্যবাদের বিরোধী হয়ে ওঠে।
স্বাধীনতা লাভের পরও এসব দেশ অন্যান্য পরাধীন দেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন জুগিয়ে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়। ফলে ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের প্রচেষ্টা বাধাপ্রাপ্ত হয়।
(৪) রাজনীতিক প্রসার :
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত ইউরোপ মহাদেশ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পরিধি প্রসারিত ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় বহু নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটলে পূর্বেকার ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি এসব রাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রক্ষা করতে বাধ্য হয়।
এভাবেই অব-উপনিবেশীকরণের ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতির দিগন্ত বহুদুর প্রসারিত হয়। ইউরোপের বাইরে ক্ষুদ্র-বৃহৎ রাষ্ট্রগুলির নিজেদের মধ্যেও সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যাও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্থান করে নেয়।
(৫) নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতার উদ্ভব :
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ব্রিটেন, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশগুলির নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় অর্থাৎ অঞ্চল বা উপনিবেশগুলির অব-উপনিবেশীকরণ ঘটে।
এর ফলে সদ্য স্বাধীন এসব (দেশে) অঞ্চলে যে শক্তিশূন্যতার সৃষ্টি হয় তা পূরণ করতে বিশ্বের দুই বৃহৎ শক্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত রাশিয়া এগিয়ে আসে। ফলে এই বৃহৎ শক্তি দুটির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধি পায়।
(৬) ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রসার :
ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির কবল থেকে মুক্ত হলেও সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রগুলিতে সোভিয়েত রাশিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ প্রচার ও প্রসারে এবং আমেরিকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন পুঁজিবাদের প্রসারে সক্রিয় উদ্যোগ নেয়।
আদর্শগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক দখলদারির কারণে সৃষ্ট ঠান্ডা লড়াইয়ের ফলে সদ্যস্বাধীন এসব রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। রাশিয়া ও আমেরিকা উভয়েই এসব দেশে নিজেদের স্বার্থে আর্থিক ও সামরিক সাহায্য দানের জন্য এগিয়ে এলে দেশগুলি আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘটিত ঠান্ডা লড়াইয়ের বৃত্তে প্রবেশ করে।
অব- উপনিবেশীকরণের অর্থনৈতিক তাৎপর্য
অর্থনৈতিক দুর্বলতা-
ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি দীর্ঘদিন ধরে তাদের অধীনস্থ উপনিবেশগুলিকে শোষণ করার ফলে উপনিবেশগুলি অর্থনৈতিকভাবে একসময় নিঃস্ব হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক শক্তির ওপরই এই উপনিবেশগুলি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
পরবর্তী সময়ে এ উপনিবেশগুলি স্বাধীনতা লাভ করলেও তারা অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণে দেশের কৃষি উৎপাদন, শিল্পায়ন প্রভৃতি ব্যাহত হয় এবং সামগ্রিক উন্নয়ন থমকে যায়।
সদ্য-স্বাধীন এসব দেশে বেকারত্ব এবং কোথাও কোথাও খাদ্যাভাব তীব্র আকার ধারণ করে।
নয়া উপনিবেশবাদ-
ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর সদ্য স্বাধীন এই দেশ নিরাপত্তা, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রভৃতির প্রয়োজনে ইউরোপ বা অন্যান্য স্থানের বৃহৎ শক্তিগুলির ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য হয়। সুযোগ বুঝে বৃহৎ শক্তিগুলি সদ্য-স্বাধীন এ দেশে অর্থনৈতিক সহায়তা দান করে সেখানে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি ও পরোক্ষভাবে শোষণ বৃদ্ধি করে।
ফলে ঔপনিবেশিক শক্তির অধীনতা ছিন্ন করার পরও এসব রাষ্ট্র ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির অর্থনৈতিক উপনিবেশবাদের শিকার হয়। এই সদ্য- স্বাধীন দেশগুলিতে ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির অর্থনৈতিক সহায়তাদানের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করার ঘটনাই হল নয়া-উপনিবেশবাদ।
উচ্চমাধ্যমিক ২০১৮ ইতিহাসের অন্যান্য প্রশ্ন ও উত্তর গুলি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করো
উচ্চমাধ্যমিকের বিগত বছরের প্রশ্ন ও উত্তর PDF ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করো।
Source: wbchse.nic.in