ভারতের জাতীয় প্রতীক ও তাদের গুরুত্ব || Indian National Symbols
Indian National Symbols
♦ ভারতের জাতীয় প্রতীক
ভারতের জাতীয় প্রতীক গুলি আমাদের দেশের ভাবমূর্তির বর্ণনা দেয় এবং এগুলি খুবই যত্ন সহকারে মনোনীত করা হয়েছে। যেমন ধরুন, জাতীয় পশু বাঘ – ক্ষমতার প্রতীকস্বরূপ, জাতীয় ফুল পদ্ম – শুদ্ধতার প্রতীকস্বরূপ, জাতীয় বৃক্ষ বট – চিরন্তনতার প্রতীকস্বরূপ, জাতীয় পাখি ময়ূর – কমনীয়তার প্রতীকস্বরূপ এবং জাতীয় ফল আম – ভারতের ক্রান্তীয় জলবায়ুর প্রতীকস্বরূপ। তেমনভাবেই, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় গীত হল স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় থেকেই প্রেরণার উৎস। ভারতের জাতীয় স্তম্ভটি চারটি সিংহের চার দিকে মুখ করে দন্ডায়মান অবস্থায় রচিত, যেগুলি ক্ষমতা, সাহস, গর্ব ও আস্থার প্রতীকস্বরূপ। হকি যখন তার চরম শিখরে ছিল তখন এটি ভারতের জাতীয় খেলা হিসাবে গৃহীত হয়। এখানে ভারতের জাতীয় প্রতীক সম্পর্কে আরোও বেশ কিছু তথ্য বর্ণনা করা হয়েছে।
১. জাতীয় পতাকা
ভারতের জাতীয় পতাকাটি তিনটি রঙের সম্মেলনে তৈরি। তাই জাতীয় পতাকাকে তেরঙ্গা নামে ডাকা হয়। পতাকাটি নকশা করেছিলেন পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়া। উপরের হয়েছে সবার উপরে গেরুয়া, মাঝখানে সাদা এবং নীচে গাঢ় সবুজ। প্রস্থ এবং দৈর্ঘ্যের অনুপাত ২ : ৩। মাঝখানে একটি চক্র রয়েছে , ২৪ টি স্পোকের সমন্বয়ে গঠিত চক্রের রং নীল। গেরুয়া রঙ সাহস ও আত্মাহুতিকে প্রতিনিধিত্ব করে, সাদা শান্তি ও সত্যকে তুলে ধরে এবং সবুজ হল বিশ্বাস ও বীরত্বের প্রতীক। জাতীয় পতাকা ২২ জুলাই, ১৯৪৭ এ স্বীকৃত ও গৃহীত হয়। ভারতের জাতীয় পতাকার ১৭ বার বিবর্তন হয়েছে। ভারতের জাতীয় পতাকার সম্পূর্ণ ইতিহাস জানার আগ্রহ হলে এখানে ক্লিক করুণ।
© কপি রাইট- স্টুডেন্টস কেয়ার দ্বারা সংরক্ষি। অনুমতি ব্যাতিত কোনো পোস্ট কপি করে ফেসবুক, হয়াটস্যাপ বা কোনো প্রকার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা নিষিদ্ধ। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করুণ
২. জাতীয় সংগীত বা রাষ্ট্রগান (ন্যাশানাল অ্যানথেম)
জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতের জাতীয় সংগীত। এই গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক তৎসম বাংলা ভাষায় রচিত। মোট পাঁচটি স্তবকে রচিত। এটির হিন্দি সংস্করণ ২৪ জানুয়ারি ১৯৫০ সালে স্বাধীন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রূপে স্বীকৃতি লাভ করে এর প্রথম স্তবকটি । ২৭ ডিসেম্বর ১৯১১ সালে জাতীয় কংগ্রেসের একটি সভায় এটি প্রথম গীত হয়। ভারতের জাতীয় সংগীত ৫২ সেকেন্ডের মধ্যে সমাপ্ত করার নিয়ম রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় ১৯১২ সালে ‘জনগণমন’ গানটি প্রথম ‘ভারত বিধাতা’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে ‘Morning songs of India’ শিরোনামে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। নীচে পাঁচটি স্তবক সহকারে গানের সম্পূর্ণ পাঠটি দেওয়া হল।
[১]
জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিষ মাগে,
গাহে তব জয়গাথা।
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।
[২]
অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত, শুনি তব উদার বাণী
হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন পারসিক মুসলমান খৃস্টানী
পূরব পশ্চিম আসে তব সিংহাসন-পাশে
প্রেমহার হয় গাঁথা।
জনগণ-ঐক্য-বিধায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।
[৩]
পতন-অভ্যুদয়-বন্ধুর পন্থা, যুগ যুগ ধাবিত যাত্রী।
হে চিরসারথি, তব রথচক্রে মুখরিত পথ দিনরাত্রি।
দারুণ বিপ্লব-মাঝে তব শঙ্খধ্বনি বাজে
সঙ্কটদুঃখত্রাতা।
জনগণপথপরিচায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।
[৪]
ঘোরতিমিরঘন নিবিড় নিশীথে পীড়িত মূর্ছিত দেশে
জাগ্রত ছিল তব অবিচল মঙ্গল নতনয়নে অনিমেষে।
দুঃস্বপ্নে আতঙ্কে রক্ষা করিলে অঙ্কে
স্নেহময়ী তুমি মাতা।
জনগণদুঃখত্রায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।
[৫]
রাত্রি প্রভাতিল, উদিল রবিচ্ছবি পূর্ব-উদয়গিরিভালে –
গাহে বিহঙ্গম, পূণ্য সমীরণ নবজীবনরস ঢালে।
তব করুণারুণরাগে নিদ্রিত ভারত জাগে
তব চরণে নত মাথা।
জয় জয় জয় হে জয় রাজেশ্বর ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।
৩. জাতীয় স্তোত্র বা রাষ্ট্রগীত (ন্যাশানাল সং)
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম গানটি ভারতের জাতীয় গান। ১৮৯৬ সালে ২৮ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এর ১২তম অধিবেশনে প্রথমবার গানটি কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে গাওয়া হয়। গানটি বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ(১৮৮২)’ উপন্যাসের অংশ। এই গানটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন শ্রী অরবিন্দ ঘোষ। সম্পূর্ণ গানটি নীচে দেওয়া হল। গানটির প্রথম দুটি স্তবক ভারতের জাতীয় গান হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বন্দে মাতরম ।
সুজলাং সুফলাং মলয়জশীতলাম
শস্যশ্যামলা মাতরম।
শুভ্র-জ্যোৎস্না-পুলকিত-যামিনীম
ফুল্লকুসমিত-দ্রুমদল শোভিনীম
সুহাসিনীং সুমধুরভাষিণীম
সুখদাং বরদাং মাতরম।
সপ্তকোটীকণ্ঠ-কল-কল-নিনাদকরালে
দ্বিসপ্তকোটীভূজৈর্ধৄত খরকরবালে
অবলা কেন মা এত বোলে!
বহুবল ধারিনীং ননামি তারিনীং
রিপুদলবারিনীং মাতরম।
তুমি বিদ্যা তুমি ধর্ম
তুমি হৃদি তুমি মর্ম্ম
ত্বং হি প্রাণাঃ শরীরে
বাহুতে তুমি মা শক্তি
হৃদয়ে তুমি মা ভক্তি
তোমারই প্রতিমা গড়ি মন্দিরে মন্দিরে
ত্বং হিং দুর্গা দশ প্রহরণধারিণী
কমলা-কমল-দলবিহারিণী
বাণী বিদ্যাদায়িনী নমামি ত্বাং
নমামি কমলাম অমলাং অতুলাম
সুজলাং সুফলাং মাতরম
বন্দে মাতরম
শ্যামল সলাং সুস্মিতাং ভূষিতাম
ধরণীং ভরণীম মতরম।
…বন্দে মাতরম
স্বর্গীয় ঋষি অরবিন্দকৃত প্রথম স্তবকের ইংরাজী গদ্যানুবাদটি এইরকম:
আই বাউ টু দি, মাদার,
রিচলি-ওয়াটার্ড, রিচলি-ফ্রুটেড,
কুল উইদ দ্য উইন্ডস অফ দ্য সাউথ,
ডার্ক উইদ দ্য ক্রপস অফ দ্য হারভেস্টস,
দ্য মাদার!
হার নাইটস রিজয়সিং ইন দ্য ইন দ্য গ্লোরি অফ দ্য মুনলাইট,
হার ল্যান্ডস ক্লোদড বিউটিফুলি উইদ হার ট্রিজ ইন ফ্লাওয়ারিং ব্লুম,
সুইট অফ লাফটার, সুইট অফ স্পিচ,
দ্য মাদার, গিভার অফ বুনস, গিভার অফ ব্লিস
৪. ভারতের জাতীয় স্তম্ভ
গৌতম বুদ্ধ উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর অদূরে সারনাথে প্রথম ধর্মপ্রচার করেন এবং এখানে প্রথম বৌদ্ধ সংঘ স্থাপিত হয় । এই স্থানটি চিহ্নিত করে রাখার জন্য ভারত সম্রাট মহামতি অশোক একটি সিংহশীর্ষযুক্ত অশোকস্তম্ভ নির্মাণ করান । এই সারনাথে প্রাপ্ত অশোক স্তম্ভের মাথায় অবস্থিত সিংহমূর্তি ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের জাতীয় স্তম্ভ [National Emblem of India] রূপে গৃহীত হয়েছে ।
এটি একটি বৃত্তাকার স্তম্ভশীর্ষফলকের উপর চারদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকা চারটি এশীয় সিংহের সমন্বয়ে গঠিত। স্তম্ভশীর্ষফলকটিতে একটি হাতি, একটি ঘোড়া, একটি ষাঁড় ও একটি সিংহের ভাস্কর্য্য রয়েছে। সেগুলি মাঝখানে চক্র দ্বারা বিভাজিত। চক্রটিকে ‘ধর্ম চক্র/আইনের চাকা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘সত্যমেব জয়তে’ শব্দটি সত্যের জয় হিসেবে মুন্ডাকা উপনিষদ থেকে গৃহীত হয় জাতীয় স্তম্ভটি একটি পূর্ণ প্রস্ফুটিত উল্টানো পদ্ম ফুলের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।
৫. ভারতের জাতীয় দিন পঞ্জিকা
ভারতের জাতীয় ক্যালেন্ডারটি সকা যুগের (Saka Era) আদলে বানানো। ভারতের জাতীয় ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকাটিকে ‘শকাব্দ’ বলা হয়। যায় প্রথম মাস হল চৈত্র এবং একটি বছরে দিনের সংখ্যা ৩৬৫। ১৯৫৭ সালের ২২ মার্চ ক্যালেন্ডার সংস্কার কমিটির সভাপতি বিজ্ঞানী মেঘনাথ সাহার সুপারিশে শকাব্দটি গৃহীত হয়েছে। জাতীয় ক্যালেন্ডারের তারিখ কিছুটা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে মিল আছে। ১ লা চৈত্র হল মার্চ মাসের ২২ তারিখ। নিচের ভারতের জাতীয় ক্যালেন্ডার দেখানো হল-
৬. ভারতের জাতীয় পাখি
১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩ সালে ময়ূর ভারতের জাতীয় পাখি হিসাবে ঘোষিত হয়, কারণ এটি সামগ্রিকরূপে ভারতের প্রচলিত রীতিনীতি ও সংস্কৃতির এক অংশ ছিল। যার বৈজ্ঞানিক নাম: Pavo cristatus।
৭. ভারতের জাতীয় পশু
বাঘ বা পেন্থেরা টাইগ্রিস ভারতে জাতীয় প্রাণীর শিরোপা অর্জন করেছে। ভারতে মোট 8 টি প্রজাতির বাঘ রয়েছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার তাদের মধ্যে দুর্লভতম। ভারতে বাঘ রক্ষা করার জন্য ১৯৭৩ সালে ‘প্রজেক্ট টাইগার’ চালু করা হয়েছে। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ভারতের জাতীয় পশু ছিল সিংহ, পরবর্তীকালে বাঘ সিঙ্ঘের স্থানটি অর্জন করে নেয়।
৮. ভারতের জাতীয় বৃক্ষ
ভারতের জাতীয় বৃক্ষ হল বট। ১৯৫০ সালে বট গাছকে ভারতের জাতীয় বৃক্ষর মর্যাদা দেওয়া হয়। যার বিজ্ঞানসম্মত নাম ফিকাস বেঙ্গালেনসিস। বৃক্ষটি কল্পবৃক্ষ নামে পরিচিত, যার অর্থ হল ‘ইচ্ছা পূরণের বৃক্ষ’। বট বৃক্ষ নামেও অভিহিত কারণ বট বৃক্ষের অপরিমেয় ঔষধি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং দীর্ঘায়ুর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। ভারত এবং তার বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করে এই বৃক্ষ।
৯. ভারতের জাতীয় ফুল
পবিত্র ফুল পদ্ম (নেলুম্ব নাসিফেরা গার্টেন) ভারতের জাতীয় ফুল। এটি দেবী লক্ষীর পুষ্প এবং ধন-সম্পদ, সমৃদ্ধি ও উদ্ভাবনশীলতার প্রতীকস্বরূপ। পদ্ম ফুল অপবিত্রতা-অশুদ্ধতা থেকে অস্পর্শিত থাকে। এটি বিশুদ্ধতা, কৃতিত্ব, দীর্ঘ আয়ু ও সৌভাগ্যের প্রতীকস্বরূপ। ১৯৫০ সালে পদ্মকে জাতীয় ফুলের মর্যাদা দেওয়া হয়।
১০. ভারতের জাতীয় জলজ প্রাণী
নদীর শুশুক (River Dolphin) ভারতের একটি বিপন্ন প্রজাতি। ১৯৭২ সালে এটিকে ভারতের জাতীয় জলজ প্রাণী হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
১১. ভারতের জাতীয় ফল
আম বা ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা ভারতের জাতীয় ফল। এটি ভিটামিন এ, সি অ্যান্ড ডি এর একটি সমৃদ্ধ উৎস।
১২. ভারতের জাতীয় নদী
ভারতের দীর্ঘতম এবং পবিত্র নদী গঙ্গা হল ভারতের জাতীয় নদী। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর গঙ্গাকে ভারতের জাতীয় নদী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
১৩. ভারতের জাতীয় ঐতিহ্যবাহী পশু
স্থলভাগের বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রজাতি, এশিয়াটিক হাতিগুলি কে ভারতের জাতীয় ঐতিহ্যবাহী পশু হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ২০১০ সালের ২২ অক্টোবর ভারতের জাতীয় ঐতিহ্যবাহী পশু হিসাবে হাতিকে মর্যাদা দেওয়া হয়।
১৪. ভারতের জাতীয় মুদ্রা
ভারতের সরকারি মুদ্রা হল ভারতীয় রুপি বা INR। জাতীয় মুদ্রার প্রতীক হিসেবে রোমান ‘আর’ এবং দেবনাগরী অক্ষর ‘রা’ এর সংমিশ্রণ এ বর্তমান চিহ্নটি তৈরী হয়। তিরঙ্গাকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মাঝখানে একটি ধাপ কাটা রয়েছে। ২০১০ সালের ১৫ জুলাই ক্যাবিনেটের বৈঠকে ডি উদয় কুমারের অঙ্কিত প্রতীকটি সর্বসম্মতভাবে ভারতীয় মুদ্রার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়।
১৫. ভারতীয় জাতীয় খেলা
ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় খেলা হল ফিল্ড হকি। তবে ভারতের জাতীয় খেলা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে!
১৬. ভারতের জাতীয় ভাষা
ভারতের সংবিধান স্বীকৃত মোট ভাষা ২২টি। এর মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো একটিকে জাতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃত এখনও দেওয়া না হলেও, হিন্দির ব্যাবহার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন কেন্দ্র সরকারি কাজকর্মে হিন্দি ভাষার প্রচলন বেশি রয়েছে।
১৭. ভারতীয় স্ট্যান্ডার্ড টাইম (আইএসটি)
ভারত, স্ট্যান্ডার্ড টাইমের বা ভারতীয় প্রমান সময়ের মানটি জিএমটি (গ্রিনিচের সময় থেকে) থেকে ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট ঘণ্টা এগিয়ে এবং ভারতীয় প্রমান সময় হিসাব করা হয় ৮২ ডিগ্রি ৩০ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমার সাপেক্ষে। যেটি এলাহাবাদের নিকটে অবস্থিত।
১৮. ভারতের জাতীয় স্মৃতিসৌধ
ইন্ডিয়া গেট, হল ভারতের বৃহত্তম জাতীয় স্মৃতিসৌধ, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত এই স্মারক যুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ। এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ৯০ হাজার সৈন্যের স্মরণে নির্মান করা হয়েছিল।
১৯. ভারতের জাতীয় পানীয়
ভারতের জাতীয় পানীয় হল চা। দার্জিলিং এর চা স্বাদে ও গন্ধে বিশ্বের কাছে প্রসিদ্ধ লাভ করেছে।
২০. ভারতের জাতীয় জীবাণু
ভারতের জাতীয় জীবাণু হল ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস। এটি একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া। ২০০২ সালের ১৮ অক্টোবর হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত “বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন অ্যান্ড এডুকেশন ফর সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সে’ এই ব্যাকটেরিয়াকে ভারতের জাতীয় জীবাণু হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
কপি রাইট
© কপি রাইট- স্টুডেন্টস কেয়ার দ্বারা সংরক্ষি। অনুমতি ব্যাতিত কোনো পোস্ট কপি করে ফেসবুক, হয়াটস্যাপ বা কোনো প্রকার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা নিষিদ্ধ। বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করুণ
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুণ এখানে ক্লিক করে